অনুমতি ছাড়া যেকোনো প্রকারের শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন মানেই ধর্ষণ। সম্প্রতি এই মর্মে আইন পাস করেছে সুইডেন। ভীতি প্রদর্শন বা হুমকি দেওয়া না হলেও সম্মতি না থাকলে তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে৷ আগামী ১লা জুলাই থেকে এই আইন কার্যকর হবে দেশটিতে। এই আইন অনুসারে, কারো সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পূর্বে অবশ্যই তার পরিষ্কার অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি মৌখিক বা শারীরিক হতে পারে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে আইনজীবীদের এখন থেকে সহিংসতা বা ধর্ষিতের দুর্বল অবস্থার কথা প্রমাণ করতে হবেনা। কেবল অনুমতির বিষয়টি প্রমাণ করাই যথেষ্ট। পুরনো আইনে জোর খাটানোর বিষয়টি প্রমাণের কথা বলা ছিল৷ মানবাধিকার কর্মীরা এই আইনকে স্বাগত জানিয়েছে।
সুইডেনের পার্লামেন্টে ২৫৭ ভোট পেয়ে আইনটি পাস হয়েছে। আর এর বিরুদ্ধে পড়েছে ৩৮টি ভোট৷ ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, লাক্সেমবার্গ, সাইপ্রাস ও জার্মানিতে আগ থেকেই এই ধরণের আইন কার্যকর করা আছে। তাদের সঙ্গে নতুন করে তালিকায় যুক্ত হল সুইডেন।
আইনে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি এমন কোন ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে চায় যে এই ব্যাপারে তেমন একটা আগ্রহী প্রতিক্রিয়া না দেখায় বা অস্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়, তাহলে সম্পর্ক স্থাপন করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে যে, অপর ব্যক্তি তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে ইচ্ছুক।
নতুন আইনে দু'টি অপরাধের কথা বলা হয়েছে– ধর্ষণের ক্ষেত্রে অবহেলা ও যৌন নিগ্রহের ক্ষেত্রে অবহেলা৷ আইনে বলা হয়, অবহেলার অংশটি এই বিষয়টির উপর জোর দেয় যে, যদি এক পক্ষ ইচ্ছাকৃত ভাবে অংশগ্রহণ না করে তাহলে অপর পক্ষের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আনা যাবে।
বিরোধী মডারেট পার্টি এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছে৷দলের মুখপাত্র টমাস টোব বলেন, বিলের একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তাঁরা বিলটি সমর্থন করেছেন৷ বিশেষত বিলে যারা নির্যাতনের শিকার, তাঁদের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে৷ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে তাঁরা যৌন সম্পর্কে আদৌ সম্মতি দিয়েছে কিনা৷ যাই হোক, তিনি মনে করেন নতুন আইন নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে সাহায্য করবে৷
No comments:
Post a Comment