ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের মতো অতটা পরিচিত মুখ না হলেও কলকাতায় বিকল্প ধারার বাংলা সিনেমায় প্রথম সারির অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেন। কলকাতায় তিনি 'ঋ' নামেই বেশি পরিচিত। 'গান্ডু' বা 'কসমিক সেক্স' এর মতো ছবিতে কাজ করে তিনি একই সাথে নিন্দিত ও প্রশংসিত হয়েছেন।
আবার এ জন্য ক্যারিয়ারও ঝুঁকিতে পড়েছে এ অভিনেত্রীর। কারণ অন্যসব নির্মাতারাও তাকে এ ধরনের চরিত্রেই নিতে চাইছেন। তাই সম্প্রতি মুম্বাইমুখী হয়েছেন তিনি। এ নিয়ে ঋতুপর্ণা সেন বলেন, আমি যে যে কাজ করেছি, তা করার সাহস কারও হবে না। হ্যাঁ, এটাও ঠিক যে তার জন্য পরবর্তীকালে আমার হাত থেকে অনেক কাজ চলে গেছে। আমার একটা ব্যক্তিত্ব আছে, লোকে তাকে হট ভাবতে পারে, সেক্সি ভাবতে পারে। তাতে আমার কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু বিচার করলে খারাপ লাগে। ওইভাবে আমাকে ভাঙা যাবে না। আগে যা করেছি, সব ভুল করেছি- ভেবে কোনওদিন হতাশা হব না।
সম্প্রতি মুম্বাইমুখী হওয়ার বিষয়ে ঋতুপর্ণা আরও বলেন, কলকাতার লোকে কখনও কলকাতার লোককে দাম দেয় না। আজ যদি আমি মুম্বাইয়ে একটা ছবিতে কাজ করে আসি কিংবা একটা ভোজপুরি ছবিতে নেচে আসি, তাহলে হাউ হাউ করে শোরগোল বাঁধাবে! শুধু আমার বেলায় নয়। সবার বেলায়। তাই তো, সকলে চলে যাচ্ছেন। আমি কলকাতায় সকলের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কিন্তু তাদেরও তো আমাকে নিয়ে কাজ করার ইচ্ছেটা থাকতে হবে!
ঋতুপর্ণা বলেন, এই মুহূর্তে কলকাতায় কোনও ছবি করছি না। বরং প্রচুর ওয়েব সিরিজ করছি। আগে যখন কাজ করতাম, তখন এত পিআরের (প্রচার, জনসংযোগ) চাপ ছিল না। সব জায়গাতেই এখন একটা দলবাজির ব্যাপার চলে এসেছে। কলকাতাতেও এসেছে। সবাই নিজের লোকজনদের নিয়ে কাজ করছে। নিজের বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে কাজ করছে। টিকে থাকার ক্ষেত্রে এটা খুব কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছে প্রচুর অভিনেতা-অভিনেত্রী এমনকী পরিচালকদের পক্ষেও! কাজের মান কমে যাচ্ছে, সেটা বাজেটই হোক বা বিষয়বস্তু। কাজের বৈচিত্র্য তো নেই। হয় টিভি করো, না হয় সিনেমা! নতুন কে বা কারা আসছেন, বলুন তো? কারণ, আসতে দেওয়াই তো হচ্ছে না। ওই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চার-পাঁচজন লোকই শুধু কাজ করে চলেছে।
No comments:
Post a Comment