ইরানের ওপর ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে এই হুমকি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইরান যদি তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ না করে, সিরিয়া যুদ্ধ থেকে সরে না যায় তাহলে তাদের কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, এই মাসের প্রথম দিকে ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তি থেকে বের হওয়ার পরপরই ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করা শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। পূর্বে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে যোগ হয় আরো কিছু নিষেধাজ্ঞা। এখন নতুন করে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিনতম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে ইরানের ওপর। এমনকি বিদেশে অবস্থানকারী ইরানী দোসরদের পিষে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে বলেন, ইরান যদি তাদের অগ্রহণযোগ্য ও নিরর্থক পথ থেকে সরে না যায় তাহলে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞার দংশন কেবল আরো যন্ত্রণাদায়কই হবে। নিষেধাজ্ঞাগুলো কার্যকর হলে ইরানকে তাদের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে রীতিমত যুদ্ধ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিবৃতিতে পম্পেও আরো বলেন, তবে ইরানের নীতিতে বাস্তব পরিবর্তন দেখলে ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে প্রস্তুত। উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর এটাই ছিল পম্পেওর প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি।
ইইউ ও ইরানের নিন্দা প্রকাশ
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পম্পেওর হুমকির প্রতি নিন্দা প্রকাশ করেছে পাল্টা জবাব দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ। পম্পেওর হুমকির জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের ব্যর্থ নীতিমালার হাতে বন্দি এবং এর জন্য তাদের পরিণতি ভোগ করতে হবে।
পম্পেওর বিবৃতির সমালোচনা করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিমালা বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ইরান চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়ে কিভাবে মধ্যপ্রাচ্যকে নিরাপদ করা যায় তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন পম্পেও। তিনি আরো বলেন, এই চুক্তির কোন বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য, ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলেও ইইউ জানিয়েছে তারা চুক্তি রক্ষা করে চলবে।
No comments:
Post a Comment