তৃতীয় দেশ হিসেবে ইসরাইলের জেরুজালেমে দূতাবাস খুলেছে প্যারাগুয়ে। সোমবার দূতাবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট হোরাসিয়ো কার্তেস ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। এর আগে প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ও দ্বিতীয় দেশ হিসেবে গুয়াতেমালা পবিত্র শহরটিতে তাদের দূতাবাস উদ্বোধন করে। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, এক সপ্তাহ আগে তেল আবিব থেকে ইসরাইলে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ ও আন্তর্জাতিক নিন্দার মুখে পড়ে ট্রাম্প প্রশাসন। এর আগের সকল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও প্রায় সকল দেশই জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের বিপক্ষে ছিলেন। ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাপ্তি না ঘটিয়ে ও শান্তি চুক্তি প্রতিষ্ঠা না করে এমন পদক্ষেপ নিলে তা চলমান সংকট আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করেছিলেন তারা। কেননা, ফিলিস্তিনিদের কাছে পূর্ব জেরুজালেম হচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী। আর হয়েছেও তাই। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে গত বুধবার পবিত্র শহরটিতে দূতাবাস উদ্বোধন করে গুয়াতেমালা।
এদিকে, জেরুজালেমে প্যারাগুয়ের দূতাবাস উদ্বোধনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)। পিএলও’র নির্বাহী কমিটির মহাসচিব সায়েব এরেকাত সোমবার বলেন, আমরা আজকে প্রত্যক্ষ করলাম কিভাবে আন্তর্জাতিক আইন ভেঙ্গে ও মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি অর্জনের চেষ্টা প্রত্যাখ্যান করে প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট একজন দায়িত্বহীন রাজনীতিবিদের পরিচয় দিলেন। এছাড়া এরেকাত আরব বিশ্বের প্রতি, জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরকারী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে দূতাবাস উদ্বোধন নিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স কার্তেসকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, এ একটি ঐতিহাসিক দিন, যা প্যারাগুয়ে ও ইসরায়েলের বন্ধন আরো দৃঢ় করবে। নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলের জন্য এ এক অসাধারণ দিন। প্যারাগুয়ের জন্যও অসাধারণ এক দিন। আমাদের বন্ধুত্বের জন্যও অসাধারণ এক দিন।
No comments:
Post a Comment