Social Icons

Showing posts with label ব্রাজিল. Show all posts
Showing posts with label ব্রাজিল. Show all posts

Saturday, May 11, 2019

ব্রাজিলের ভিসা সহজ হওয়ায় পর্যটক বেড়েছে আগের তুলনায় ।

বাংলাদেশের ঢাকায় ব্রাজিল হাইকমিশনে প্রতিদিন জমা হচ্ছে ভিসা আবেদন পত্র । এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি চলতি বছরে আবেদন জমা হয়েছে । ব্রাজিল হাই কমিশন সুত্রে জানা জায় গত ৭ মাসে সব চেয়ে বেশি টুরিস্ট ভিসা ইসু হয়েছে ঢাকা থেকে । এছাড়া ফ্যামিলি ভিসা আর বিসনেস ভিসা তো আছেই । ভ্রমণ ভিসার আবেদনের চাপে ফ্যামিলি ভিসা প্রার্থীদের বিলম্ব হচ্ছে ভিসা পেতে । কারণ ফ্যামিলি ভিসা অনেক যাচাই-বাছাই করা হয় । আর ভ্রমন ভিসা যাচাই-বাছাই হয় কম ।ব্রাজিল পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় দেশ ।প্রতিবছর পর্যটনশিল্প থেকে ব্রাজিল সরকার আয় করে প্রচুর অর্থ । ব্রাজিলে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে সম্প্রতি ব্রাজিল সরকার ভিসা নীতি সহজ করে । সেই সুবাদে এ বছর সব ব্রাজিল হাই কমিশন থেকে প্রচুর ভ্রমণ ভিসা ইসু হচ্ছে । গত সাত মাসে ব্রাজিল আগের তুলনায় পর্যটক বেড়েছে ।

ব্রাজিল মুখী পর্যটকরা হাই কমিশনে অতিরিক্ত চাপ ।

বর্তমানে ব্রাজিলের ভিসা নিতি সহজ হওয়ায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ব্রাজিল হাই কমিশনে ভ্রমণ ভিসা,স্টুডেন্ট ভিসা , পারিবারিক ভিসা প্রার্থীদের ভিড় দেখা গেছে । অন্যদিকে পরিবর্তন করেছেন সাক্ষাতের সময়ের ও নিয়ম । রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এপয়েন্টমেন্ট নিতে হয় টেলিফোন করে ব্রাজিল হাইকমিশনের নির্দিষ্ট নাম্বারে । +৮৮-০২ ৫৫০৫২১২৬ ও +৮৮-০২ ৫৫০৫২১২৯ এই দুইটি নাম্বারে কল করে দর্শনার্থীদের এপয়েন্টমেন্ট নিতে হয় ।
অপরূপ সৌন্দর্যের দেশ ব্রাজিল । প্রতিনিয়ত ব্রাজিল পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হচ্ছেন । তাই বাড়ছে পর্যটন ভিসার চাহিদা ।সম্প্রতি পর্যটকদের ব্রাজিল ভ্রমণে উৎসাহিত করতে দেশটির সরকার ভিসা নীতি সহজ করেছেন।
সেই সুবাদে ব্রাজিল মুখী হচ্ছেন পৃথিবীর পর্যটন প্রেমী মানুষ ।পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ইতিমধ্যে ব্রাজিলের প্রতিটি অঙ্গরাজ্য দৃষ্টিনন্দন করতে কাজ করে যাচ্ছেন দেশটির সিটি কর্পোরেশন ও অঙ্গ সরকার

Thursday, April 11, 2019

ব্রাজিলের পূর্বভাগ আটলান্টিক মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত।

দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় অর্ধেক ভূখ- নিয়ে ব্রাজিল। দেশটি দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় মাঝখানে অবস্থিত। জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। ৮,৫১৪,৮৭৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটিতে বসবাসকৃত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২১ কোটি। এটি আমেরিকার একমাত্র পর্তুগীজভাষী দেশ এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ পর্তুগীজভাষী রাষ্ট্র। ব্রাজিলের পূর্বভাগ আটলান্টিক মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত। যার উপকূলীয় ভাগের দৈর্ঘ প্রায় ৭,৪৯১ কিমি। ব্রাজিলের উত্তরে ভেনিজুয়েলা, গায়ানা, সুরিনাম ও ফ্রান্সের সামুদ্রিক দেপার্ত্যমঁ ফরাসী গায়ানা। এছাড়াও এর উত্তর-পশ্চিমভাগে কলম্বিয়া; পশ্চিমে বলিভিয়া ও পেরু; দক্ষিণ-পশ্চিমে আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে এবং সর্ব দক্ষিণে দক্ষিণে উরুগুয়ে অবস্থিত। 
ব্রাজিলীয় সীমানায় আটলান্টিক মহাসাগরের কিছু দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত, যার মধ্যে রয়েছে ফের্নান্দু জি নরোনিঁয়া, রোকাস অ্যাটল, সেন্ট পিটার ও সেন্ট পল রকস এবং ত্রিনিদাজি এ মার্চিঁ ভাজ। ব্রাজিলের সঙ্গে চিলি ও ইকুয়েডর ব্যতীত দক্ষিণ আমেরিকার সকল দেশেরই সীমান্তসংযোগ রয়েছে। ১৫০০ সালে পর্তুগীজ অভিযাত্রী পেদ্রু আলভারেজ কাবরাউয়ের ব্রাজিলে এসে পৌঁছার পর থেকে ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ব্রাজিল ছিল একটি পর্তুগীজ উপনিবেশ। ১৮১৫ সালে এটি যুক্তরাজ্য, পর্তুগাল ও আলগ্রেভিজের সঙ্গে একত্রিত হয়ে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা গঠন করে। মূলত ১৮০৮ সালেই ব্রাজিলের ‘পর্তুগীজ উপনিবেশ’ পরিচয়ের ফাটল ধরে। কারণ নেপোলিয়নের পর্তুগাল আক্রমণের রেশ ধরে পর্তুগীজ সাম্রাজ্যের কেন্দ্র লিসবন থেকে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে সরিয়ে নেয়া হয়। ১৮২২ সালে ব্রাজিল পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। প্রাথমিক ভাগে এটি ব্রাজিলীয় সাম্রাজ্য হিসেবে সার্বভৌমত্ব অর্জন করলেও ১৮৮৯ সাল থেকে এটি একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে শাসিত হয়ে আসছে। ১৮২৪ সালে ব্রাজিলের প্রথম সংবিধান পাস হওয়ার পর থেকে দেশটিতে দুই কক্ষবিশিষ্ট সরকার ব্যবস্থা চলে আসছে, যা বর্তমানে কংগ্রেস নামে পরিচিত। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী ব্রাজিল একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র। একটি ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট, ২৬টি প্রদেশ ও ৫,৫৬৪টি মিউনিসিপ্যালিটি নিয়ে এর যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়েছে।
জাতিগোষ্ঠী ॥ ব্রাজিলে বিভিন্ন জাতের লোকের বাস। আদিবাসী আমেরিকান, পর্তুগীজ বসতিস্থাপক এবং আফ্রিকান দাসদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক ব্রাজিলের জাতিসত্তাকে দিয়েছে বহুমুখী রূপ। ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র পর্তুগীজ উপনিবেশ। ১৬শ’ শতকে পর্তুগীজদের আগমনের আগে বহু আদিবাসী আমেরিকান দেশটির সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। ১৬শ’ শতকের মধ্যভাগে পর্তুগীজরা কৃষিকাজের জন্য আফ্রিকা থেকে দাস নিয়ে আসা শুরু করে। এই তিন জাতির লোকের মিশ্রণ ব্রাজিলের সংস্কৃতি, বিশেষ করে এর স্থাপত্য ও সঙ্গীতে এমন এক ধরনের স্বাতন্ত্র্য এনেছে যে কেবল ব্রজিলেই যার দেখা মেলে। ১৯শ’ শতকের শেষদিকে ও ২০শ’ শতকের গোড়ার দিকে ব্রাজিলে আগমনকারী অন্যান্য ইতালীয়, জার্মান, স্পেনীয়, আরব ও জাপানী অভিবাসীরাও ব্রাজিলের সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছে। 
ব্রাজিলের ভৌগোলিক অবস্থা ॥ ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলভাগের সবচেয়ে বেশি অংশ জুড়ে রয়েছে, সেই সঙ্গে মহাদেশটির সবচেয়ে বেশি অংশটিও এই দেশটির আওতাধীন। ব্রাজিলের দক্ষিণে উরুগুয়ে; দক্ষিণ-পশ্চিমে আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে; পশ্চিমে বলিভিয়া ও পেরু; উত্তর-পশ্চিমে কলম্বিয়া এবং উত্তরে ভেনিজুয়েলা, সুরিনাম, গায়ানা এবং ফরাসী দেপার্ত্যমঁ ফরাসী গায়ানা অবস্থিত। ব্রাজিলের সঙ্গে ইকুয়েডর ও চিলি ব্যতীত দক্ষিণ আমেরিকার সকল দেশের সঙ্গেই সীমান্ত সংযোগ রয়েছে। ব্রাজিলীয় সীমানায় কিছু দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত, যার মধ্যে রয়েছে ফের্নান্দু জি নরোনিঁয়া, রোকাস অ্যাটল, সেন্ট পিটার ও সেন্ট পল রকস এবং ত্রিনিদাজি এ মার্চিঁ ভাজ। এর সুবিশাল আকৃতি, জলবায়ু, এবং খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য ব্রাজিলকে ভূতাত্ত্বিকভাবে একটি বৈচিত্র্যময় দেশে পরিণত করেছে।
জনপরিসংখ্যান ॥ ব্রাজিলের জনপরিসংখ্যান এবং ব্রাজিলীয় ২০০৮ সালের গণনা অনুযায়ী ব্রাজিলের জনসংখ্যা প্রায় ১৯ কোটি। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি কিলোমিটারে ২২.৩১ জন, এবং পুরুষ ও নারীর অনুপাত ০.৯৫:১। মোট জনসংখ্যার ৮৩.৭৫% ভাগ শহরাঞ্চলে বসবাস করে। ব্রাজিলে বেশিরভাগ মানুষ বাস দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব (৭ কোটি ৯৮ লাখ) ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। যদিও ভৌগোলিকভাবে দেশটির সবচেয়ে বড় অংশ হচ্ছে এর মধ্য-পশ্চিম এবং উত্তরাঞ্চল, যা ব্রাজিলের মোট ভূখ-ের ৬৪.১২% ভাগ দখল করে আছে, কিন্তু সে অঞ্চলগুলোতে বসবাসকৃত মানুষের সংখ্যা মাত্র ২ কোটি ৯১ লাখ। মৃত্যুহার কমে যাওয়ায় ১৯৪০ থেকে ১৯৭০-এর দশকে ব্রাজিলের জনসংখ্যা বেড়ে যায়। যদিও এ সময় জন্মহারও সামান্য পরিমাণে হ্রাস পায়। ১৯৪০-এর দশকে দেশটির জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার ছিল ২.৪%। ১৯৫০-এর দশকে এসে এই হার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৩.০%; ও ১৯৬০-এর দশকে এই হার ছিল ২.৯%। এ বছরগুলোতে মানুষের গড় আয়ুু ৪৪ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫৪ বছরে উন্নীত হয়। ব্রাজিলের ইন্সটিটিউট অব জিওগ্রাফি এ্যান্ড স্ট্যাটিসটিক্সের ২০০৮ সালের গণনা অনুসারে মোট জনসংখ্যার ৪৮.৪৩% ভাগ নিজেদের শেতাঙ্গ হিসেবে বর্ণনা করেছে; এবং ৪৩.৮০% ভাগ বাদামি, ৬.৮৪% কৃষ্ণাঙ্গ, ০.৫৮% এশী এবং ০.২৮% নিজেদের আমেরিন্ডিয়ান হিসেবে পরিচয় দিয়েছে।
ব্রাজিলের অর্থনীতি ॥ ক্রয়ক্ষমতা সমতা ও মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ভিত্তিতে ব্রাজিলের অর্থনীতি বর্তমানে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম অর্থনীতি। ব্রাজিলের অর্থনীতি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি। এর অর্থনৈতিক সংস্কার আন্তর্জাতিক বিশ্বে দেশটিকে একটি নতুন পরিচিতি দিয়েছে। ব্রাজিল জাতিসংঘ, জি-২০, সিপিএলপি, লাতিন ইউনিয়ন, অর্গানাইজেশন অব ইবেরো-আমেরিকান স্টেটস, মার্কুসাউ ও ইউনিয়ন অব সাউথ আমেরিকান নেশন্স এবং ব্রিক দেশের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ব্রাজিল জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশের দিকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান একটি দেশ হিসেবে বিবেচিত। ব্রাজিলে বিভিন্ন প্রকারের প্রকৃতি সংরক্ষণকেন্দ্র ও অভয়ারণ্য বিদ্যমান। এছাড়াও দেশটি সমৃদ্ধ খনিজসম্পদের অধিকারী, যা বিভিন্ন সময়ে এর অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। ব্রাজিল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমান উৎপাদনকারী দেশ। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল ও বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ব্রাজিলের অর্থনীতি দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ, বাজার বিনিময়ের ভিত্তিতে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম ও ক্রয়ক্ষমতা সমতার ভিত্তিতে বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম অর্থনীতি। ব্রাজিলের অর্থনীতি একটি মিশ্র অর্থনীতি। দেশটির যথেষ্ট পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, যা এর অর্থনীতির উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ভিত্তিতে ধারণা করা হয়, সামনের কয়েক দশকে ব্রাজিলের অর্থনীতি বিশ্বের পাঁচটি বৃহত্তম অর্থনীতির একটি হিসেবে পরিণত হবে।[৮৯] এর বর্তমান গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন হচ্ছে ১০,২০০ মার্কিন ডলার, যা বিশ্ব ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে ৬৪তম। ব্রাজিলের বৃহৎ ও উন্নত কৃষি, খনিশিল্প, উৎপাদন ব্যবস্থা এবং সেবাখাত রয়েছে।
সংস্কৃতি ॥ ব্রাজিলের সংস্কৃতি কার্নিভালে সাম্বা স্কুল প্যারেডের সাম্বা নৃত্য উপস্থাপন। কার্নিভাল ও সাম্বা নৃত্য বহির্বিশ্বের কাছে বব্রজিলের সংস্কৃতির সবচেয়ে পরিচিত অংশের একটি। তিন শ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে পর্তুগীজ ঔপনিবেশকদের শাসনের ফলে, ব্রাজিলের সংস্কৃতির মূল অংশটি এসেছে পর্তুগালের সংস্কৃতি থেকে। পর্তুগীজরা ব্রাজিলের সংস্কৃতির যেসকল স্থানে প্রভাব ফেলেছে তার মধ্যে আছে পর্তুগীজ ভাষা, ক্যাথলিক ধর্ম এবং ঔপনিবেশিক স্থাপত্যশিল্প। এছাড়াও ব্রাজিলের সংস্কৃতি আফ্রিকান, ও আদিবাসী ইন্ডিয়ানের নিজস্ব সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য দ্বারাও বেশ প্রভাবান্বিত হয়েছে। 
খেলাধুলা ॥ ফুটবল খেলাই ব্রাজিলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রীড়া হিসেবে পরিচিত। ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দল ফিফা বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থানীয় দল হিসেবে চিহ্নিত। দলটি এ পর্যন্ত পাঁচবার বিশ্বকাপ লাভ করেছে যা একটি রেকর্ড। ভলিবল, বাস্কেটবল, অটো রেসিং এবং মার্শাল আর্ট ক্রীড়াও ব্যাপকভাবে দর্শকপ্রিয়। ব্রাজিলের পুরুষ জাতীয় ভলিবল দলটি ওয়ার্ল্ড লীগ, বিশ্ব ভলিবল গ্রাঁ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ এবং বিশ্বকাপেও অন্যতম ফেবারিট দল। ব্রাজিলের অন্যান্য খেলার মধ্যে রয়েছে- টেনিস, হ্যান্ডবল, সুইমিং এবং জিমন্যাসটিক্স যা গত কয়েক দশক ধরে চর্চা হচ্ছে। 

Saturday, March 30, 2019

ব্রাজিলিয়ান রিয়েল এখন আন্তর্জাতিক বাজারে ।


আন্তর্জাতিক বাজারে ব্রাজিলিয়ান রিয়েল এর বিক্রি শুরু ।জাপান , চায়না ও বাংলাদেশের বাজারে ব্রাজিলিয়ান মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করতে দেখা গিয়েছে । যদিও লেতিন আমেরিকার বাজারে আগে থেকেই ব্রাজিলিয়ান মুদ্রা ক্রয় - বিক্রয় হচ্ছে । নতুন করে যুক্ত হল বাংলাদেশ সহ তিন দেশ । ব্রাজিলে নতুন সরকার আসার পর থেকে একের পর এক আইনের পরিবর্তন আসে, সেই সাথে কাজ করে যাচ্ছেন দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে । ইতিমধ্যেই গত কয়েক মাসে ব্রাজিলের নতুন প্রেসিডেন্ট বেশ কয়েকটি দেশের সাথে সম্পর্ক আরও গভীর করতে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করেছে । সেই সাথে সফর করেছেন বেশ কয়েকটি দেশে । ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্টের নির্বাচনী ওয়াদাতে ছিল দেশকে অর্থনৈতিক সম্মৃদ্ধ করে তুলবেন । তিনি আশা করছেন খুব শীঘ্রই ব্রাজিল পৃথিবীর উন্নত দেশের একটিতে পরিণত হবে ।

Saturday, March 23, 2019

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট তেমের দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার

Tuesday, March 19, 2019

প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমাল ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ব্রাজিলের ২০১৯ সালের জিডিপি প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস ২ দশমিক ২৮ শতাংশ থেকে ২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। গত সোমবার ব্রাজিলের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর সিনহুয়া।
ব্রাজিলের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি জরিপ অনুযায়ী, আগামী বছর ২ দশমিক ৮০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্লেষকদের মতে, চলতি বছর ব্রাজিলের মুদ্রাস্ফীতি হতে পারে ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং আগামী বছর তা দাঁড়াতে পারে ৪ শতাংশে। মুদ্রাস্ফীতির সরকারি লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। সহনশীলতার সীমা ধরা হয়েছিল ২ দশমিক ৭৫ থেকে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
পূর্বাভাসের এসব উপাত্ত থেকে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে যে, দেশটির আর্থিক কর্তৃপক্ষ তাদের বার্ষিক সেলিক সুদের হার অন্তত ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ বর্তমান পর্যায়েই রাখবে। বর্তমানে ব্রাজিলের সেলিক সুদের ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, যা কিনা দেশটির ইতিহাসে সর্বনিম্ন।

Saturday, March 16, 2019

দক্ষিণ আমেরিকার মানবপাচারকারিদের ধরতে মরিয়া ইন্টারপোল পুলিশ


আমেরিকায় মানব পাচারে সবচেয়ে ভালো ও সহজ রোড হিসেবে মানব পাচারকারীরা ব্যবহার করছে দক্ষিণ আমেরিকাকে । সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মানব পাচার রোধে এই সকল দেশের নেতাদের সাথে একাধিক বার কথা বলেছেন । সতর্কও করেছেন যদি মানব পাচার বন্ধ না হয় তবে আমেরিকা শক্ত পদক্ষেপ নিবেন । চলতি মাসে ল্যাটিন আমেরিকার ইন্টারপোল পুলিশ একটি তদন্ত প্রতিবেদন করেছেন । যেখানে দেখা গেছে আদম পাচারে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে অভিবাসীরা - কিছু অভিবাসী যারা দক্ষিণ আমেরিকায় বিভিন্ন দেশে নাগরিকত্ব পেয়েছেন । তারা সেই সুযোগে মাফিয়াদের সাথে মিশে অবাধে মানব পাচার করে যাচ্ছেন । মানব পাচারে দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় ঘাঁটি ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছেন বলিভিয়া কে । সম্প্রতি ইন্টারপোল পুলিশের হাতে বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি সহ বেশ কয়েকজন আদম পাচারকারী ধরা পড়েছেন তারপরে তারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জামিন পেয়েছেন । তবে কোর্ট থেকে জামিন পেয়ে তারা আবারও এই পেশায় জড়িয়ে পড়ছেন । মানব পাচারে বলিভিয়ার পর ইকুয়েডর কে ব্যবহার  করছেন মানব পাচারকারীরা মানব পাচারের জন্য । শুক্রবার ব্রাজিলিয়ায় ইন্টারপোল সদর দপ্তরে ল্যাটিন আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করা হয় । তবে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী খুব শীঘ্রই ল্যাটিন আমেরিকার প্রতিটা দেশে চিরুনি অভিযান চালানো হবে এই অভিযানে গ্রেফতার করা হবে মানব পাচারের সাথে জড়িত মাফিয়াদের । ইন্টারপোল পুলিশ ধারণা করছেন মানব পাচারকারীরা খুব শীঘ্রই ধরা পড়বেন তাদের জালে । ব্রাজিল , আর্জেন্টিনা , বলিভিয়া , পেরু , ইকুয়েডর , কলম্বিয়া  এই দেশগুলোর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে ওই সকল মানব পাচারকারী । 

ব্রাজিলের জাতীয় দলের খেলোয়াড় চিয়াগো সিলভা সপরিবারে ফ্রান্সের নাগরিকত্ব পেলেন

ফ্রান্সের নাগরিকত্ব লাভ করেছেন প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইর (পিএসজি) অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা। এক টুইটার বার্তায় ব্রাজিল তারকা সিলভা নিজেই এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ৩৪ বছর বয়সী সিলভা এই নাগরিকত্ব পাওয়ায় পিএসজির জন্য ইইউয়ের বাইরের খেলোয়াড় কোটায় একটি অতিরিক্ত জায়গা তৈরী হলো।
২০১২ সালে লিগ ওয়ানের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএজিতে যোগ দেবার পর থেকে সিলভা এ পর্যন্ত ২৭৪টি ম্যাচ খেলেছেন। ব্রাজিলের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলেছেন ৭৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
টুইটারে এই সুসংবাদ দিয়ে সিলভা লিখেছেন, 'আজ আমি, আমার স্ত্রী বেলে সিলভা ও আমার দুই সন্তান ইসাগো এবং ইয়াগো ফ্রেঞ্চ নাগরিকত্ব লাভ করেছি। এটা আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত আনন্দের একটি দিন। গত সাড়ে ৬ বছর আমরা সবাই প্যারিসে আছি। প্যারিসকে আমরা নিজের ঘরের মতই মনে করি। আমাদেরকে নিজেদের হিসেবে গ্রহণ করার জন্য ফ্রান্সকে ধন্যবাদ।'

Wednesday, March 13, 2019

ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যে প্রাইমারি স্কুলে এলোপাথাড়ি গুলি, নিহত ৮


ব্রাজিলের একটি স্কুলে দুই বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে শিশুসহ ৮ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার সকালে শহরে সাও পাওলো রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে সাতজনই শিশু। বিবিসি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে হঠাৎ দুই কিশোর সাওপাওলোর রাউল ব্রাসিল এলিমেন্টারি স্কুলভবনে ঢুকে পড়ে। এরপরই গুলির শব্দ শোনা যায়।
ব্রাজিলের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, মুখোশপড়া দুই তরুণ হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। পুলিশের গুলিতে তারাও নিহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজ্যের সামরিক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, সুজানোতে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে একব্যক্তি এলোপাতাড়ি গুলি করলে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।
সাও পাওলো রাজ্যের গভর্নর জাওয়া দোরিয়া এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ‘আমি বন্দুক হামলার খবর জানতে পেরেছি। শিক্ষার্থীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে ওই বন্দুকধারীরা।’
স্কুল চত্বর থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে রয়েছে মলোটভ ককটেল বিস্ফোরক এবং তার দিয়ে বাঁধা একটি সুটকেস। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাও পাওলো পুলিশ।

Tuesday, March 12, 2019

ব্রাজিলে পেনশন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর প্রস্তাব দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর।

ব্রাজিলের পেনশন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর একটি পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো। এ পরিকল্পনায় অবসরে যাওয়ার ন্যূনতম বয়স পুরুষের জন্য ৬৫ ও নারীর জন্য ৬২ বছর প্রস্তাব করা হচ্ছে। খবর বিবিসি।
ব্রাজিল সরকার জানিয়েছে, পেনশন ব্যবস্থা পুনর্গঠিত হলে আগামী এক দশকে ২৭ হাজার কোটি ডলারের বেশি ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তবে দেশটির বিরোধী দল জানায়, নতুন এ পরিবর্তনের কারণে হতদরিদ্ররা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নতুন এ প্রস্তাব নিশ্চয়ই দেশটির হাউজ অব কংগ্রেসে অনুমোদিত হতে হবে।
ব্রাজিলের পূর্ববর্তী সরকারগুলো পেনশন ব্যবস্থা পুনর্গঠনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। দেশটির বর্তমান পেনশন ব্যবস্থার কারণে বিশাল অংকের আর্থিক ঘাটতি সৃষ্টি হচ্ছে। যেহেতু দেশটিতে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলছে, তাই ধারণা করা হচ্ছে সামনের দশকগুলোয় পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যেতে পারে।
গত বছরের শেষেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ব্রাজিলের কট্টর ডানপন্থী রাজনীতিবিদ জাইর বোলসোনারো। তিনি জানান, পেনশন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর বিষয়টিকে নতুন সরকার অগ্রাধিকারের শীর্ষে রাখবে।
দেশটির অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পেনশন বিভাগের কর্মকর্তা লিওনার্দো রলিম জানান, ‘আমাদের পেনশন ব্যবস্থার সংস্কার করা প্রয়োজন। মানুষের আয়ুষ্কাল বাড়ছে এবং নারীদের সন্তান সংখ্যা কমে আসছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, আমাদের দেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যা কমে আসার পথে।
বিবিসির বিশ্লেষক ড্যানিয়েল গ্যালাস জানান, রাজনৈতিক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে জাইর বোলসোনারো এখনো অপেক্ষাকৃত অনভিজ্ঞ। পেনশন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো তার জন্য হবে একটি কঠিন পরীক্ষা।
পেনশন ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হলে দেশটির কংগ্রেসের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন। ব্রাজিলের আইনপ্রণেতারা কঠিন দরকষাকষির জন্য বিখ্যাত। নিকট অতীতে অনেক প্রেসিডেন্ট সংস্কার করতে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। আইনপ্রণেতারা পেনশন ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
বাজার বিশ্লেষকরা প্রায় বলে থাকেন, প্রবৃদ্ধি সচল করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পেনশন ব্যবস্থা সংস্কার করা। কিন্তু কর্মীরা বলছেন, এ পরিবর্তনের ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বর্তমান পেনশন ব্যবস্থায় ব্রাজিলের পুরুষরা কাজে প্রবেশের অন্তত ৩৫ বছর পর এবং নারীরা কাজে প্রবেশের অন্তত ৩০ বছর পর অবসরে যেতে পারেন। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, কাজে প্রবেশের ৪০ বছর পর অবসরে যাওয়া যাবে।
বোলসোনারোর নতুন প্রস্তাবটি ১২-১৪ বছরের মধ্যে কার্যকর হতে পারে। এদিকে বিরোধী দলও এ বিল ঠেকাতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তারা বলছেন, এর ফলে দরিদ্ররা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশটির শ্রমিক ইউনিয়নও নতুন এ প্রস্তাব বাস্তবায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আগেও বিভিন্ন সংস্কার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ করেছে তারা।


ব্রাজিলের বাণিজ্যিক নগরী সাও পাওলোতে আকস্মিক বন্যায় ১২ জনের মৃত্যু


ব্রাজিলের বাণিজ্যিক নগরী সাও পাওলোতে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় রবিবার ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে আরো ৬ জন। সোমবার দেশটির দমকল কর্মীরা এই তথ্য জানায়। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের সবচেয়ে ঘন জনবসতিপূর্ণ রিবেরাও পিরেস শহরে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে একই পরিবারের চার সদস্য মারা গেছে ও আরো দুই জন আহত হয়েছে। মধ্যরাতের দিকে একটি বাড়ি ধসে পড়লে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
কর্তৃপক্ষের দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী,এম্বু ডাস আর্টেসে অপর এক ভূমিধসের ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এছাড়া সাও কাইতানো ডু সুলে পানিতে ডুবে তিনজন, সাও পাউলোতে একজন, পার্শ্ববর্তী সান্তো আন্দ্রেতে দুইজন ও বাণিজ্যিক নগরী সাও বার্নার্ডো ডো কাম্পোতে একজন মারা গেছে।
ব্রাজিলে আকস্মিক বন্যায় ১২ জনের মৃত্যু


দমকল কর্মীরা সাও পাওলোতে কাদামাটি থেকে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করেছে। ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ও বাণিজ্যিক নগরীটিতে ২ কোটির বেশি মানুষের বাস।
সোমবার রাতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর কোন কোন স্থানে ভূমিধসের সৃষ্টি হয়েছে।
গভর্নর জোয়াও দোরিয়া বাসিন্দাদের তাদের যথা সম্ভব বাড়িতে অবস্থান করতে বলেছেন।

Saturday, March 9, 2019

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে চলতি মাসে ট্রাম্পের বৈঠক


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৯ মার্চ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। পরস্পরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দুই নেতার মধ্যে এটাই প্রথম বৈঠক। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
গত মাসে ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশটির প্রেসিডেন্টের এই যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা ঘোষণা করে। তবে তখন সুর্নিদিষ্ট দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়নি।
জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণ করা বোলসোনারো ওয়াশিংটনের সাথে সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার করেন। ব্রাজিলে বামপন্থী সরকার এক দশক ক্ষমতায় ছিল।
এদিকে এ বৈঠক সম্পর্কে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘কিভাবে একটি অধিকতর উন্নত, সমৃদ্ধ, নিরাপদ, সুরক্ষিত ও গণতান্ত্রিক পশ্চিমা বিশ্ব গড়ে তোলা যায়, সেই উপায় বের করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো আলোচনা করবেন।’
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘দুটি বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশের দুই নেতার মধ্যে প্রতিরক্ষা সহায়তা, প্রবৃদ্ধিভিত্তিক বাণিজ্যনীতি, অপরাধ মোকাবিলা ও ভেনিজুয়েলায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আলোচনা করবেন।’
এতে আরো বলা হয়, ‘ভেনিজুয়েলায় মানবিক সহায়তা প্রদানের ভূমিকা নিয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের বড় ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করবেন।’

Tuesday, March 5, 2019

কমতির দিকে ব্রাজিলের সয়াবিন রফতানি

চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বিদায়ী বছরে ব্রাজিল থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন আমদানি বেড়ে গিয়েছিল। তবে চলতি বছরে এসে তা কমতে শুরু করেছে। এ ধারাবাহিকতায় চলতি মার্চে দেশটি থেকে কৃষিপণ্যটির রফতানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ লাখ টন কমতে পারে। গ্রেইন ট্রেডার এগ্রিব্রাজিলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার ও রয়টার্স।
এগ্রিব্রাজিলের প্রধান নির্বাহী ফ্রেডেরিকো হামবার্গ জানান, ২০১৮ সালের মার্চে ব্রাজিল থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৯০ লাখ টন সয়াবিন রফতানি হয়েছিল। চলতি বছরের মার্চে দেশটি থেকে কৃষিপণ্যটির রফতানি ৭৩ লাখ টনে নেমে আসতে পারে। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্রাজিল থেকে সয়াবিন রফতানি কমতে পারে ১৭ লাখ টন।
ব্রাজিল বিশ্বের শীর্ষ সয়াবিন রফতানিকারক দেশ। ২০১৮ সালে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে ব্রাজিল থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে কৃষিপণ্যটির রফতানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। ২০১৮ সালে ব্রাজিল থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৮ কোটি ৪০ লাখ টন সয়াবিন রফতানি হয়েছিল। দেশটির ইতিহাসে এটাই কৃষিপণ্যটির সর্বোচ্চ রফতানির রেকর্ড।
বিশেষত চীনের বাজারে সবচেয়ে বেশি সয়াবিন রফতানি করেছে ব্রাজিলীয় রফতানিকারকরা। বর্তমানে বাণিজ্যযুদ্ধের লাগাম টানতে ধারাবাহিক আলোচনা শুরু করেছে ওয়াশিংটন ও বেইজিং। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনা আমদানিকারকরা কৃষিপণ্যটির আমদানি বাড়াতে শুরু করেছেন। এর প্রভাব পড়েছে ব্রাজিলের রফতানি খাতে। দেশটি থেকে সয়াবিন রফতানি কমতে শুরু করেছে।

Monday, March 4, 2019

ব্রাজিল গত কয়েক মাসে প্রায় ১১ লক্ষ শরণার্থী কে আশ্রয় দিয়েছে।


বর্তমানে ব্রাজিলে রিফিউজি আবেদনকারীদের আবেদন খুবই দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে । একই সাথে রিফুজি আবেদনকারীদের সাবধান করা হয়েছে , যদি কোন তথ্য মিথ্যে প্রমাণিত হয় তবে তাকে কারাভোগ করতে হবে শেষে তার দেশে ফেরত পাঠানো হবে । অন্যদিকে পুলিশিয়া ফেডারেল সূত্রে জানানো হয়েছে যদি কেউ তার বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করেন - তবে অবশ্যই পরিবর্তনের পর তার নিকটবর্তী পুলিশিয়া ফেডারেলে  এসে তার নতুন ঠিকানা পরিবর্তন করতে হবে । অন্যথায় যে কোন সময় তার রিফুজি আবেদন বাতিল হতে পারে । ফেডারেল সূত্রে আরো জানানো হয়েছে - নতুন করে যারা রিফিউজি আবেদন করবেন তাদের আবেদনপত্রে যে ইমেইল এর ঠিকানা লেখা হবে সেই ঠিকানায় যাচাই-বাছাইয়ের পরে ইমেইল যাবে অবশ্যই প্রতিটি আবেদনকারীকে তাদের ইমেইল নিয়মিত যাচাই করতে হবে ।

বর্তমানে প্রতিটি  রিফিউজি আবেদনকারীর আবেদনপত্র আইন মন্ত্রণালয়ে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পাঠানো হয় ।  তারপর আইন মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাইয়ের পরে পূর্ণাঙ্গ ফাইল পাঠানো হয় কনারিতে ।
কনারি নিজ দায়িত্বে প্রতিটি রিফুজি আবেদনকারীকে যত্ন সহকারে তাদের তথ্য সরবরাহ করে । শেষ পর্যায়ে ফাইনাল প্রতিবেদন পুলিশিয়া ফেডারেলে পাঠান । 

গত কয়েক মাসে ব্রাজিল প্রায় ১১ লক্ষ শরণার্থী কে আশ্রয় দিয়েছে। 
প্রতিদিন শরণার্থীর সংখ্যা বাড়ছে ব্রাজিলে । 

বিশ্বের সেরা উৎসব ব্রাজিল কার্নিভাল শুরু


ব্রাজিলের শুরু হল বিশ্বের সবচেয়ে বর্ণিল কার্নিভাল। ল্যাটিন আমেরিকার বৃহত্তম একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিশেষ করে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে এই কার্নিভালের জন্য বিখ্যাত।  
আজ ১ তারিখ প্রতি বছরের ন্যায় এবারো পৃথিবীব্যাপী বৃহত্তম এই মহোৎসব যা উদযাপন করতে বিভিন্ন দেশের লক্ষ লক্ষ জনগণ ব্রাজিলে এসে একসাথে উপভোগ করতে তাদের নগরীর রাস্তায় নেমে আসে ।

বিশেষত রিও ডি জেনিরোর রাস্তা পূর্ণ হয়ে যায় হাজারো মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্যারেডে। শহরটির সাম্বা নাচের স্কুলগুলো রংবেরঙের পোশাক আশাকে সাম্বা নাচের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এ বছরের বিজয়ী দল আগামী বছর রিও কার্নিভালে সাম্বা নাচের নেতৃত্ব দেবে। ব্রাজিলে এই কার্নিভাল সংস্কৃতি তার নিজস্ব বৈশিষ্ট, জৌলুশ এবং সুনামের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে।

এ বছর রিও ডি জেনিরো উদযাপন করছে ৪৫৩ বছর পূর্তি উৎসব। ৫ দিনের এই উৎসব শেষ হবে আগামী মঙ্গলবার।
এ সময় উৎসব চলাকালীন সব ধরনের সরকারি ও বেসরকারি অফিস, স্কুল, কলেজ ইত্যাদি বন্ধ থাকে
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সঙ্কট বা ব্রাজিলের নিজস্ব দৈনন্দিন কোন সঙ্কট থাকুক প্রথাগত এই মহোৎসব প্রতিবার চলবেই।

এ সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক আসে এই উৎসবে অংশগ্রহন করতে, যার ফলে দেশটির প্রচুর রাজস্ব আয় হয়।

অল্প পোশাক, রঙিন সাজ, জমজমাট ব্রাজিল কার্নিভ্যাল

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates