Social Icons

Friday, December 29, 2017

পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্ক, হতে পারে ইনফেকশন


প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট সময়ে নারীদের পিরিয়ড হয়ে থাকে। পিরিয়ড তাকে প্রতি মাসে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে। পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে ও চলাকালীন নারীদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। পিরিয়ড কমপক্ষে তিন দিন থেকে শুরু করে সাত দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ সময় স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। অনেকে জানতে চান- পিরিয়ড চলাকালীন শারীরিক সম্পর্ক হলে কোনো সমস্যা হয় কিনা? জেনে রাখা ভালো, পিরিয়ড চলাকালীন শারীরিক সম্পর্ক একবারেই অনুচিত। এই সময়ে শারীরিক সম্পর্ক নারীর জন্য নানাবিধ বিপদ ডেকে আনতে পারে।
পিরিয়ড চলাকালীন শারীরিক সম্পর্কে ইনফেকশন হতে পারে। শরীর থেকে প্রভাবিত রক্ত পেটের অন্য কোনো অংশে ঢুকে যেতে পারে। পেটের অন্য অংশ ঢোকার পর রক্ত জমাট বেঁধে হতে পারে বিপত্তি। এ ছাড়া মাসিকের সময় জরায়ু ও যোনির অম্লভাব থাকে না। তাই এটি খুব সহজেই রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। শারীরিক মিলনের পরবর্তী সময়ে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। জরায়ুমুখ ঘুরে যেতে পারে, যা পরবর্তী সময় মারাত্মক কুফল বয়ে আনতে পারে।
ইসলামের দৃষ্টিতে পিরিয়ডের সময় যৌনমিলন সম্পূর্ণ হারাম করা হয়েছে। এটি অশুচি। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে- হায়েজ অবস্থায় স্ত্রীগণ থেকে বিরত থাকো এবং যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়, ততক্ষণ তাদের নিকটবর্তী হবে না।
পিরিয়ড কী
প্রতি চন্দ্র মাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে, তাকেই পিরিয়ড বা ঋতুচক্র বলে। মা‌সি‌ক চলাকালীন পেটব্যথা, পিঠব্যথা ও বমি বমি ভাব হতে পারে। পিরিয়ডে ভালো মানের ন্যাপকিন ব্যবহার করা জরুরি। এ ছাড়া কোনোভাবেই একই কাপড় পরিষ্কার করে একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে যে রক্ত প্রবাহিত হয়, তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থাকে।
আসুন জেনে নিই পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্ক হলে কি ধরনের বিপত্তি হতে পারে-
ইনফেকশন হতে পারে
মাসিকের সময় জরায়ু ও যোনির অম্লভাব থাকে না। তাই এটি খুব সহজেই রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্ক হলে নারীদের জরায়ুতে ইনফেকশন হতে পারে।
জরায়ুতে প্রচণ্ড ব্যথা
পিরিয়ড চলাকালীন শারীরিক সম্পর্ক হলে পরবর্তী সময় নারীদের জরায়ুতে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। ফলে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রক্ত পেটের ভেতর ঢুকে যেতে পারে
পিরিয়ড চলাকালীন শরীরিক সম্পর্ক হলে পিরিয়ডের যে রক্ত শরীরের ভেতর থেকে প্রভাবিত হয়, সেটি অন্য কোনো অংশে ঢুকে জমাট বেঁধে যেতে পারে। এতে হতে পারে বিভিন্ন ধরনের রোগ।
রক্তপাত বেশি হতে পারে
পিরিয়ডের সময় শারীরিক সম্পর্ক হলে রক্তপাত স্বাভাবিকের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে। তাই পিরিয়ড চলাকালীন শরীরিক সম্পর্ক নয়।
চিকিৎসকের পরামর্শ
পিরিয়ড চলাকালীন কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ অনেক নারী আছেন যারা জরায়ু সমস্যায় ভোগেন। তাই প্রত্যেক নারীর উচিত নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া।
ডা. বেদৌরা শারমিন,গাইনি কনসালট্যান্ট,সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেড।

ওষুধ ছাড়াই প্রশান্তি মিলবে পিরিয়ডের ব্যথায় !


পিরিয়ড নারীদের কাছে একটি পরিচিত শব্দ।নারীর পিরিয়ড তাকে প্রতি মাসে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে। পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে ও চলাকালীন নারীদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিকি পরিবর্তন দেখা দেয়। পিরিয়ড চলাকালিন সময়ে ও পিরিয়ডের আগে পেট ব্যথা, বমিবমি ভাব হতে পারে। এছাড়া শরীরের হাত-পা, কোমড়, বুক ব্যথা হয়ে থাকে। এই সময়টা অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি স্বাস্থ্য-সচেতন হতে হয়। কারণ আপনার সামান্য অসাবধানতার কারণে হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি।
পিরিয়ড কী
প্রতি চন্দ্রমাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই ঋতুচক্র বলে। মা‌সি‌ক চলাকালীন পেট ব্যথা, পিঠ ব্যথা, বমি বমি ভাব হতে পারে।পিরিয়ডে ভালো মানের ন্যাপকিন ব্যবহার করা জরুরি। এছাড়া কোনোভাবেই একই কাপড় পরিষ্কার করে একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে যে রক্ত প্রবাহিত হয়, তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থাকে।
পিরিয়ডের ব্যথা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। সব নারীদেরই কম বেশি পিরিয়ডের আগে ও পিরিয়ড চলাকালিন সময়ে পেট ব্যথা ও বমি বমি ভাব হয়ে থাকে। পেটের ব্যথার কারণে খুবই অস্বস্তিবোধ হয়। এছাড়া স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যঘাত ঘটে। অনেক ব্যথার সহ্য করতে না পেরে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন। তবে ওষুধ খাওয়া ছাড়া পিরিয়ডের এই ব্যথার যন্ত্রণা থেকে আপনি প্রশান্তি পেতে পারেন।
তালিকা থেকে কিছু খাবার বাদ দিন :
পিরিয়ড চলাকালীন খাদ্য তালিকা থেকে কিছু খাবার বাদ দিন। বাড়তি লবণ, চা-কফি বা ক্যাফেইন জাতীয় যে কোনো পানীয়, চিনি ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার। এতে পিরিয়ডের সময় স্তন ও তলপেট ব্যথা হতে মুক্তি পাবেন।
ব্যায়াম :
অনেক মেয়েরই পিরিয়ডের আগে ও পরে স্তনে ব্যথা হয়। তাই সাবধানে ব্যায়াম করতে করতে হবে। এমন কোনো ব্যায়াম করবেন না যাতে বুকে চাপ পড়ে। এমন ব্যায়াম করুন, যেগুলো শরীরের নিচের অংশে কার্যকর। এক্ষেত্রে সাইকেল চালানো, হাঁটা, ভুল ব্যায়াম পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দেবে।
স্তনে ব্যথা কমাবে :
কিছু বিশেষ ধরনের ব্যায়াম আছে, যেগুলো এই স্তনে ব্যথা কমায়।ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে সেই ব্যায়ামগুলো করতে পারেন। স্তনকে সাপোর্ট দেয়, এমন ব্রা পরিধান করুন। সঠিক মাপের আরামদায়ক ব্রা ব্যথা কমাতে সহায়তা করবে।
ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না :
পিরিয়ড চলাকালীন শরীরে ঠাণ্ডা লাগানো যাবে না। এ সময় ঠাণ্ডা লাগলে স্তন, হাত-পা ও কোমরের ব্যথা বেড়ে যাবে। এছাড়া পিরিয়ড চলাকালীন স্তনে কোনো প্রকার চাপ দেবেন না, এতে ব্যথা আরও বাড়বে।
গরম পানির সেক :
পিরিয়ড চলাকালীন তলপেট, স্তন, কোমর, হাত ও পায়ের ব্যথা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে গরম পানির সেঁকা দিতে পারেন। তবে হালকা গরম তেল দিয়ে ব্যথায় অংশে ম্যাসেজ পারেন। যদি ব্যথা খুব বাড়ে তবে প্যারাসিটামল বা ব্যথা জাতীয় ওষুধ খেতে পারে। তবে অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়া যাবে না।
ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার
পিরিয়ডের ব্যথায় কমাতে ভিটামিন ই এবং বি বেশ উপকারী। পিরিয়ডের সময় যাদের তীব্র ব্যথা হয় তারা ভিটামিন ই, বি১, বি৬, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার খেলে উপকার পাবেন। যেমন -চিনা বাদাম, পেস্তা বাদাম, বাঁধাকপি, আম, মাছ, ওটমিল, কলা, ডিম, সবুজ শাকসবজি, গম, ডাল ইত্যাদি খাবারগুলো কেতে পারেন। এই খাবারগুলো পেশির সংকোচনজনিত পিরিয়ডের ব্যথা থেকে স্বস্তি পেতে সহায়তা করবে।
ব্যথা সারাতে মেথি
পিরিয়ডের ব্যথাসহ যে কোনো ব্যথা সারাতে ব্যথা মেথির জুড়ি নেই। মেথি একটি ভেষজ ওষুধ। এক চা চামচ পরিমাণ মেথি ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার মেথিটুকু চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন ব্যথা থেকে মুক্তি মিলবে।
ডাক্তারের পরামর্শ:
শরীরে যে কোনো জায়গায় অতিরিক্ত ব্যথা অনুভব করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
গাইনি কনসালটেন্ট, বেদৌরা শারমিন।, সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেড।

বাংলাদেশে বিভিন্ন স্থানে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকবে


দেশের বিভিন্ন স্থানে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। এছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আর তা দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে একথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এছাড়া সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। শনিবার সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে।
এদিকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিদেশি লাগামহীন বাড়ছে বাংলাদেশি পর্যটকদের হয়রানি

 জীবনে এই প্রথম ফ্লাইট ধরতে না পারার তিক্ত স্বাদ পেলাম। রাত পৌনে তিনটায় রিজেন্ট এয়ারের ফ্লাইট ছিলো। ঠিক সময়ে কাতারের দোহা এয়ারপোর্টে এসেছিলাম। কিন্তু ভিসা জটিলতায় ধরা খেলাম। তারপরও আসতে পারতাম। কিন্তু আরবের ভাইদের মেজাজ মর্জি ভালো না থাকায় তারা আমার যাত্রা বাতিল করে দেয়। তাই রিজেন্টে আমার সিডিউল ফ্লাইটে করে ঢাকায় ফেরা হলো না ( হে আল্লাহ এদেরকে হেদায়েত করো! এরা আমাদের সাথেই যতো ফুটানি করলো। কিন্তু ট্রাম্পের বংশধরদের জুতা পেটা খেলেও লজ্জা পায়না। )। এরপর লাউঞ্জে এসে নির্ঘুম রাত উদযাপন। সকাল সাড়ে ৯ টায় কাতার এয়ারের ফ্লাইটে উঠার কথা। জানিনা কপালে আর কতো দূর্ভোগ লেখা আছে। ভাবছি এবার যদি ফ্লাইট মিস করি তাহলে কাতারের মুসলিমদের সেবা করে বাকি জীবন কাটিয়ে দেবো।’ – নিজের ফেসবুক ওয়ালে স্ট্যাটাস দিয়ে এভাবেই ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরেন বাংলাভিশনের বার্তা প্রধান মোস্তফা ফিরোজ।
মোস্তফা ফিরোজ আক্ষেপ করে বলেন, ‘বাংলাদেশি একজন গবেষকের রিপোর্টে যাদের জাতীয় দিবস ২০০৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর নির্ধারিত হলো সেই কাতারীরা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশিদের বিষয়ে মোটেও উদার না। ৮০টা দেশকে অন এরাইভাল ভিসা সুবিধা দিয়েছে কাতার; অথচ সেখানে নেই বাংলাদেশ। এরা কর্মক্ষেত্রে বিদেশি এমনকি পাকিস্থানীদের যতটা হিসাব করে বাংলাদেশিদের ততোটা গণনায় ধরে না।’
উল্লেখ্য, এই সিনিয়র সাংবাদিক সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার ভ্রমণে গিয়েছিলেন। ফিরতি পথে ভিসা জটিলতার নামে  হয়রানি করা হয় তাকে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি দেশের স্বনামধন্য ব্যক্তিদের বিদেশের এয়ারপোর্টে হয়রানির শিকার হতে হয়। তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত কর্মীদের জীবন কতোটা দুর্বিষহ সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ তদারকির মাধ্যমে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ভোগান্তি কমিয়ে আনা সময়ের ব্যাপার মাত্র। যদি না সদিচ্ছার অভাব থাকে।

প্রতিবছর লাশ হয়ে ফিরছে তিন হাজার বাংলাদেশি

প্রতিবছর লাশ হয়ে গড়ে প্রায় ৩০০০ বাংলাদেশী প্রবাসী শ্রমিক দেশে ফিরে আসেন বলে সরকারি পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে একটি বেসরকারি সংগঠন জানিয়েছে ।সম্প্রতি ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অক্যুপেশনাল সেইফটি, হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন এমন তথ্য জানিয়ে প্রবাসী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের অধিকার সুরক্ষার দাবি করেছে।এ লক্ষ্যে সরকারের কাছে কতগুলো সুপারিশ পেশ করেছে সংগঠনটি। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে সংগঠনটির ভাইস চেয়ারম্যান ড. এস এম মোর্শেদ জানান গত ১৩ বছরে ৩৩ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী শ্রমিকের মরদেহ দেশে এসেছে। সংস্থাটি বলেছে এর পাশাপাশি রয়েছে নারী শ্রমিকদের যৌন নির্যাতন। ২০১৭ সালে বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়ে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের সেফ হোমে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার নারী।
সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরব ফেরত নারী শ্রমিক রহিমা বেগম তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন তিনি ৫ মাস গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে কাজ করেছেন যার জন্য মালিক তাঁকে কোন পারিশ্রমিক দেয়নি। তিনি বলেন পরে মালিকের বাড়ি থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের সেফ হোমে আশ্রয় নেন এবং পরে দূতাবাসের মাধ্যমে নিজ খরচে দেশে ফিরেন। সেফ হোমে থাকা অবস্থায় সেখানে অবস্থানরত নারী শ্রমিকদের ওপর তাদের মাকিলদের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন। সরকারকে দেয়া ফাউন্ডেশনের সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে বিদেশে পাঠানোর আগে শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ এবং ব্রিফিংয়ে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে।

সৌদি-কাতার দ্বন্দ্বের বলি হয়েছেন অনেক বাংলাদেশি

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের সাথে সৌদি আরব, আরব আমিরাত এবং মিশরের বিচ্ছিন্ন সম্পর্ক এখন পর্যন্ত জোড়া লাগেনি। কূটনৈতিকভাবে, বিশেষ করে জনশক্তি রপ্তানির কারণে এই সংকটে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সৌদিদের সাথে কাতারের সম্পর্ক আগেও খারাপ হয়েছিল, কিন্তু এতটা কঠোর পদক্ষেপ অনেককেই হতবাক করে দিয়েছে। প্রাথমিক মধ্যস্থতার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে, ফলে সমস্যা দীর্ঘায়িত হওয়ায় সংকটের স্থায়িত্ব ও সম্ভাবনাও বাড়ছে। এই সংকটের ফলে কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কতোটা সমস্যা হতে পারে বা এখন পর্যন্ত কতোটা সমস্যা হযেছে তা স্পষ্ট নয়। তবে খোঁজ-খবর  নিয়ে জানা গেছে এরইমধ্যে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এই সংকটের বলি হয়েছেন।
কাতারে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী হাসান মাবুদ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাতারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। হাসান মাবুদ কাতারে অবস্থিত বাংলাদেশি মালিকানাধীন একমাত্র আল আসাদ ফর ওমরাহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালিক। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে।
ব্যবসায়ী হাসান মাবুদ জানান, সৌদি আরব কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কাতার থেকে কেউ আর সরাসরি ওমরাহ পালন করতে সৌদি যেতে পারে না।
৩৫ বছর ধরে কাতারে বসবাসকারি এই ব্যবসায়ী আরো জানান, হঠাৎ করে এই অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় তার আড়াই লাখ রিয়াল ক্ষতি হয়েছে। ভবিষ্যতে চলমান সংকট সমাধান না হলে তার ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে। অন্যদিকে, আল আসাদ ফর ওমরা ‘তে কর্মরত অনেক বাংলাদেশি কর্মীও বেকার হয়ে পরেছে। যার ফলে পুরো সংকটটি বাংলাদেশের রেমিটেন্স সার্কেলে ধীরগতি তৈরিতে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন এই প্রবাসী ব্যবসায়ী।

সৌদিতে গ্রিনকার্ড চালুর সম্ভাবনা

বেশ কিছুদিন ধরেই প্রবাসী শ্রমনির্ভর সৌদি আরব নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করছে।এর ফলে সৌদি প্রবাসী শ্রমিক সহ ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে সৌদিতে টিকে থাকা। তবে এরই মধ্যে সৌদিতে অদূর ভবিষ্যতে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও বিশেষজ্ঞ পেশাজীবীদের জন্য গ্রিনকার্ড চালুর সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। জানা যায় এর জন্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চলছে। অনুমোদন পেলে শিগগিরই এর ঘোষণা দেয়া হবে বলে গণমাধ্যমকে জানান সৌদি সরকারের অর্থনীতি বিষয়ক এবং উন্নয়ন কাউন্সিল ও প্রাইভেট সেক্টর ডেভলপমেন্ট ইউনিটের প্রধান ফাহাদ আল সাকিত।
ফাহাদ আল সাকিত বলেন, গ্রিনকার্ডের যোগ্য হতে হলে আবেদনকারীকে বৈজ্ঞানিক দক্ষতা বা পেশাগত যোগ্যতায় উতরাতে হবে কিংবা তাকে কোনো কোম্পানির মালিক অথবা সৌদি আরবে বিনিয়োগে আগ্রহী হতে হবে। এ বিষয় নিয়ে ভয়েস বাংলার সঙ্গে কথা বলেন সৌদি প্রবাসী ব্যবসায়ী মো: জাকির হোসেন। তিনি প্রায় ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে বসবাস করছেন সৌদিতে। তিনি জানান এমনটা হলে তা অবশ্যই প্রবাসীদের জন্য ভালো হবে। কিন্তু সৌদির এটা হবে কিনা এখনই তা বলা মুশকিল। তবে জানা যায় সীমিত পরিসরে এই গ্রিনকার্ড বিতরণ করা হবে। আবেদনকারীদের নির্দিষ্ট মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিদেশিদের জন্য প্রযোজ্য সৌদি ইনভেস্টমেন্ট লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে।

Thursday, December 28, 2017

যে ৯ লক্ষণে বুঝবেন আপনার লিভারকে বিষমুক্ত করা জরুরি

মানবদেহের সবচেয়ে বড় গ্ল্যান্ড বা গ্রন্থি লিভার। এটি বিপাকীয় প্রক্রিয়ার নানা উপাদানকে বিষমুক্ত করে, প্রোটিন সংশ্লেষণ করে এবং হজমের জন্য প্রয়োজনীয় জৈব রাসায়নিক উপাদান তৈরি করে।
লিভার রক্ত থেকে মৃত কোষ ও আগ্রাসী ব্যাকটেরিয়াদের অপসারণ করে রক্তকে ফিল্টার বা পরিশোধন করে। এবং ক্ষতিকর হরমোনদের নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এ কারণে মানবদেহের স্বাস্থ্য ভালো থাকার জন্য একটি সক্রিয় লিভার থাকাটা জরুরি। যদি এটি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়তে থাকে তাহলে দেহে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে যা থেকে দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা আক্রান্ত হতে পারে। জেনে নিন আপনার অজানা এমন ৯টি লক্ষণ যেগুলো দেখে বুঝবেন আপনার লিভারকে বিষমুক্ত করতে হবে।
১. অতিরিক্ত ঘাম
অতিরিক্ত ঘাম ঝরা এবং বাজে দৈহিক দুর্গন্ধ এমন একটি লক্ষণ যা বলে দেয় আপনার লিভারকে বিষমুক্ত করতে হবে। জিহ্বায় সাদাটে হলুদাভ আবরণ পড়লে বা নিঃশ্বাসের সঙ্গে দুর্গন্ধ বের হলেও বুঝতে হবে আপনার লিভারকে বিষমুক্ত করতে হবে।
২. নাক ডাকা
এটি এমন একটি অস্বস্তিদায়ক সমস্যা যা আপনার ঘুমকে গভীর ও ভালো গুনগত মান সম্পন্ন হতে দেয় না। এটি হতে পারে লিভারের বড় ধরনের কোনো সমস্যা বা কর্মহীনতার লক্ষণ।
যারা নাক ডাকেন তাদের লিভাবে ক্ষতও হয়ে থাকতে পারে।
৩. তলপেটে ফোলাভাব
পেটে খিঁচুনি বা তলপেটে ব্যথা হতে পারে লিভারের সমস্যার প্রাথমিক কোনো লক্ষণ। এমনকি তলপেটে চর্বি জমে ওজনও বেড়ে যেতে পারে। বা ওজন কমানো অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে। কারণ লিভার তার কর্মক্ষমতা হারাতে শুরু করার ফলে চর্বি পোড়ানো কঠিন হয়ে পড়ছে। আর সেই চর্বি পেটে এসে জমা হচ্ছে। খাবার খাওয়ার পর পেট ফেঁপে যাওয়াও লিভারের কর্মক্ষমতা হারানোর আরেকটি লক্ষণ।
৪. ক্লান্তি ও অবসাদ
লিভারের কর্মক্ষমতা হারানোর সবচেয়ে কমন একটি লক্ষণ হলো ক্লান্তি ও অবসাদ। এই ধরনের লোকরা ঘুম থেকে ওঠার পর অনুভব করেন যেন তাদের সব শক্তি নিঃশেষ হয়ে গেছে বা তাদের আদৌ কোনো ঘুমই হয়নি। এমনকি এর ফলে কাজের সময় দেহে ব্যথাও হতে পারে।
৫. ত্বকের সমস্যা
আপনার ত্বকের রঙ যদি সম্প্রতি ফ্যাকাশে হলুদাভ হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনি লিভারের সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। ত্বকে র‌্যাশ ওঠা, চুলকানি-খোস-পাঁচড়া, চোখের নিচে কালি পড়া, ব্রণ, দাগ পড়া, এবং রাঙা মুখ এই সবগুলোই লিভারের কর্মক্ষমতা হারানোর লক্ষণ।
৬. রাসায়নিক সংবেদনশীলতা
লিভারের কর্মক্ষমতা হারানোর ফলে রাসায়নিকের প্রতি উচ্চ সংবেদনশীলতা সৃষ্টি হতে পারে। আপনি যদি অ্যালোকোহল পান বা পারফিউম বা অন্য কোনো সুগন্ধির গন্ধ নেওয়ার সময় নিজের হালকা ওজন বোধ করেন তাহলে আপনার দেহকে বিষমুক্ত করা জরুরি।
৭. মেজাজের ওঠা-নামা
মুড সুইং বা মেজাজের ওঠা-নামা লিভারের সমস্যার একটি লক্ষণ। তবে সবসময়ই যে এমনটা হবে তা নয়। লিভারকে বলা হয় ‘রাগের আবাসস্থল’।   ফলে লিভারের সমস্যা হলে অবসাদের অনুভুতি, মনোযোগ হারানো বা বারবার মাথা ব্যথা হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৮. হজমের সমস্যা
আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা হার্টে প্রদাহ হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার লিভারকে বিষমুক্ত করতে হবে। লিভারে পিত্তরস নামের একটি দৈহিক তরল উৎপাদিত হয় যা নানা ধরনের হজমপ্রক্রিয়ার জন্য জরুরি। আর লিভারের কর্মক্ষমতা কমে গেলে পাকস্থলি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে।
৯. হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা
লিভারের একটি বড় কাজ হলো যৌনতা সংশ্লিষ্ট হরমোনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ। ফলে লিভার কর্মক্ষমতা হারালে ইস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন হরমোনের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হয়। যার ফলে যৌন আকাঙ্খা কমে যেতে পারে এবং ঋতুস্রাবগত সমস্যা দেখা দেয়।
এখন কথা হলো কীভাবে লিভার ও দেহকে বিষমুক্ত করবেন? দেহেক টক্সিন বা বিষমুক্তকরন শুরু করার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা। বিশেষ করে সুগার বা চিনি জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। অ্যালকোহল বা মদ পান দেওয়াও বেশ উপকারি বলে প্রমাণিত। আর একেবারেই প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত খাদ্য খেতে হবে। ডাক্তারের সঙ্গেও পরামর্শ করা যেতে পারে।

ভারতে তিন তালাক বিল পাস, খুশি নয় পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল মুসলিম সমাজ

আইনসভায় বড় সাফল্য পেল ভারতের মোদী সরকার। ধ্বনিভোটে লোকসভায় পাস হয়ে গেল তিন তালাক বিল।
কোনও প্রকার সংশোধনী ছাড়াই পাস হয়ে গেল তিন তালাক বিল। বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ বিলটি পেশ করেন৷ পরে বিতর্কসভায় বিলটির স্বপক্ষে তিনি বলেন, যদি মুসলিম রাষ্ট্রগুলিতে এই প্রথা নিষিদ্ধ হতে পারে তাহলে ভারতে কেন নয়?
তিন তালাক নিয়ে উত্তাল ছিল ভারতের জাতীয় রাজনীতি। বিলটির পক্ষে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই সরকারকে শর্তসাপেক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন। আবার বিলটির বিরোধীতায় নেমেছিল কিছু কট্টরপন্থী সংগঠন। তাদের দাবি, এই বিলটি মুসলিম মহিলাদের স্বার্থের পরিপন্থী। কিন্তু যাদের জন্য এই বিল আনা হয়েছে সেই মুসলিম মহিলারা মুক্ত কন্ঠে বিলটিকে স্বাগত জানিয়েছে। তাৎক্ষণিক তিন তালাককে অসাংবিধানিক বলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। বিলটি পেশ করার পর তিনি বলেন, কোন ধর্ম বা জাতির জন্য আইন নয়। সবার জন্য আইন।
মহিলারাও বিচার ও সম্মান পাওয়ার অধিকারী।
বিলটির স্বপক্ষে সংসদে বক্তব্য রাখেন বিজেপি সাংসদ মিনাক্ষী লেখি। আবেগপ্রবণ হয়ে মুসলিম মহিলাদের প্রতি তার আবেদন, নরেন্দ্র মোদীর মতো ভাই থাকতে মুসলিম নারীরা চিন্তা করবেন না। কাউকে ভয় পাওয়ারও দরকার নেই তাদের। নারীরাই এদেশের সংখ্যালঘু। তাদের দমিয়ে রাখে এমন প্রথা বাতিল করতে হবে।
এদিকে সংসদে বিলটি পেশ হওয়ার পরই উল্লসিত হয়ে পড়েন মুসলিম মহিলারা। আজকের দিনটি তাদের কাছে ইদের চেয়েও কম খুশির দিন নয়। অনেক জায়গাতেই মুসলিম মহিলাদের মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা গিয়েছে। আগ্রার এক মুসলিম মহিলা মোদী সরকারের গুণগান গেয়ে বলেন, এর আগে কেউ আমাদের কথা ভাবেনি। এই প্রথম কোন সরকার আমাদের কথা ভাবল। এবার মুসলিম ছেলেরা বুঝতে পারবে আমাদের কষ্ট। বিয়ে করার আগে অন্ততপক্ষে দুবার চিন্তা করবে। আগামী প্রজন্ম এই বিলের উপকারিতা বুঝতে পারবে এবং তার থেকে লাভবান হবে।
কিন্তু বিলের সামগ্রিক চিত্র দেখে খুশি নয় পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল মুসলিম সমাজ। কারণ তালাক ভাতা বা খুলা-র মতো তাদের একগুচ্ছ দাবির কোনও উল্লেখ নেই কেন্দ্রের পেশ করা বিলে।
তিন তালাক বিল কেমন হয়া উচিত? কেন্দ্রের তৈরি করা খসড়া বিলের পাশাপাশি এই সংক্রান্ত একটি খসড়া বিল কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল মুসলিম সমাজ। সেখানেও তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রক্রিয়াকে অসাংবিধানিক, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের খোরপোষ, তাৎক্ষণিক তিন তালাক দিলে শাস্তির মতো একগুচ্ছ দাবি করা হয়েছিল। একইসঙ্গে প্রগতিশীল মুসলিম সমাজের আরও দাবি ছিল, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের স্বামী খোরপোষ দিতে অসমর্থ হলে সরকার কতৃক ওই নারীদের আর্থিক সাহায্য করতে হবে। এই প্রকল্পকে তালাক ভাতা বলে চিহ্নিত করেছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল মুসলিম সমাজ।
এদিন লোকসভার তিন তালাক বিল পেশ হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল মুসলিম সমাজের সভাপতি কাজি মাসুম আখতার বলেন আমাদের দাবি ছিল, ‘তিন তালাক সম্পর্কিত যাবতীয় মামলার দ্রুত সমাধানের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার বিচারের ব্যবস্থা হোক। কেন্দ্রের পেশ করা বিলে সেই বিষয়ে কিছুর উল্লেখ নেই। ’ একইসঙ্গে তালাক ভাতা-র বিষয়েও কিছু বলা হয়নি কেন্দ্রের পেশ করা বিলে।
এই প্রসঙ্গে কাজি মাসুম আখতার বলেছেন, ‘অপব্যবহার হতে পারে সেই কারণে তালাক ভাতা নিয়ে কিছু বলা নেই কেন্দ্রের পেশ করা বিলে। কিন্তু এটাও প্রয়োজন। ’ কেন তালাক ভাতার প্রয়োজন তার ব্যাখ্যাও করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘অনেক ক্ষেত্রেই স্বামী খোরপোষ দিতে অসমর্থ হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে উক্ত তালাকপ্রাপ্ত নারীর জীবন ধারণের জন্য আর্থিক সাহায্য দরকার। ’ অপব্যবহার রুখতে নজরাদারি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে কাজি মাসুম আখতার।
তালাক ভাতা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল মুসলিম সমাজের অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল খুলা প্রথার প্রচলন করা। ইসলামিক নিয়ম অনুসারে মুসলিম মহিলারা তাদের স্বামীকে তালাক দিতে পারে। এই প্রথা খুলা নামে পরিচিত। কাজি মাসুম আখতার জানিয়েছেন যে ভারতীয় উপমহাদেশে এই খুলা প্রথার বিশেষ চল নেই। অনেকে জানেও না। ‘মুসলিম নারীদের সার্বিক স্বাধীনতার স্বার্থে আইনানুগভাবে খুলা প্রথার প্রচলন এবং প্রচার হওয়া দরকার। আমাদের পাঠানো খসড়ায় এই বিষয়টির উল্লেখ ছিল,’ বললেন পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল মুসলিম সমাজের সভাপতি। ভারতে খুলা প্রথার প্রচলন করতে দম লাগে, যা এই সরকারের নেই বলে অভিযোগ করেছেন কাজি মাসুম আখতার।
যদিও কেন্দ্র সরকারের পেশ করা তিন তালাক বিলের অনেক বৈশিষ্ট দেখে খুশি পশ্চিমবঙ্গ প্রগতিশীল মুসলিম সমাজ। সভাপতি কাজি মাসুম আখতারের মতে, ‘তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রক্রিয়াকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছে এবং তালাকপ্রাপ্ত মহিলাদের খোরপোষের ব্যবস্থাও হয়েছে। আমাদের এই দাবিগুলি মান্যতা পেয়েছে এতে আমরা খুশি। ’ একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘তাৎক্ষণিক তিন তালাক দিলে তা জামিন অযোগ্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করার দাবি আমরা করেছিলাম। আমাদের এই দাবিটাও মানা হয়েছে। এটাও আমাদের জয় বলেই মনে করছি। ’

কাতারে আরও সেনা মোতায়েন করল তুরস্ক, যুদ্ধের দামামা বাজছে

কাতারে আরও সেনা মোতায়েন করল তুরস্ক। তুরস্কের স্থানীয় একটি দৈনিক সাবাহ পত্রিকা জানিয়েছে, গত কয়েক দিনে দোহার দক্ষিণে উদাইদ বিমানঘাঁটিতে প্রচুর সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে দেশটিতে যেসব তুর্কি সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল, তারাও নতুন এই বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেবে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। তারিক বিন জিয়াদ ঘাঁটিতে আগের সেনা মোতায়েন রয়েছে।
কাতার ও তুরস্কের মধ্যে ২০১৪ সালের একটি চুক্তির ভিত্তিতে দুদেশ কাতারে একটি সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেছে। গত জুন মাসে ওই ঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো সেনা পাঠায় তুরস্ক।
গত ৫ জুন সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপরই কাতারের পক্ষে অবস্থান নেয় তুরস্ক। এই ঘটনার পরপরই কাতারে আরও সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্তে নেয় তুরস্ক। এছাড়া, কাতারের সহযোগিতায় ইরান খাদ্য সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসে।

কর্মক্ষেত্রে থাকুন, নয়তো চাকরি ছেড়ে দিন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে থেকে যথাযথ ভাবে মানুষকে সেবা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, অন্যথায় তারা চাকরি ছেড়ে দিতে পারেন।
তিনি বলেন, আমরা যখন উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকদের নিয়োগ দেই তখন অনেকেই আছেন যারা কর্মক্ষেত্রে থাকতে চান না।
বরং তারা যেকোনো উপায়েই ঢাকায় থাকেন। যদি চিকিৎসকদের ঢাকাতেই থাকার ইচ্ছা হয়, তাহলে তাদের সরকারি চাকরি করার প্রয়োজন নেই। রাজধানীতে বসে প্রাইভেট রোগী দেখে তারা অনেক টাকা উপার্যন করতে পারে। তাই, তাদের চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে চলে যাওয়াই ভালো। আমরা তাদের স্থানে নতুন নিয়োগ দিব।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাতটি সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক উপস্থিত ছিলেন।  
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ।  
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

 
শেখ হাসিনা মানসম্পন্ন চিকিৎসক তৈরিতে মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন।  
সরকার দেশে বিপুল সংখ্যক মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই পাঁচটি সেনানিবাসে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছি এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সেনানিবাসেও এই ধরনের কলেজ প্রতিষ্ঠা করব।  
শেখ হাসিনা বলেন, এসব মেডিকেল কলেজে কি ধরনের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদারকি করতে হবে। মেডিকেল কলেজগুলোতে ‘রোগী হত্যাকারী ডাক্টার’ নাকি ‘রোগী রক্ষাকারী ডাক্টার’ তৈরি হচ্ছে, তা তাদের দেখতে হবে।  
প্রধানমন্ত্রী বলেন তার সরকার স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে এবং চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে আরো দুটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।

Wednesday, December 27, 2017

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ মেলেনি সৌদিতে, অসহায় অসংখ্য শ্রমিক

বাংলাদেশের বৃহৎ জনশক্তি রপ্তানির বাজার মধ্য প্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব।চলতি বছরে দেশটিতে পাঁচ লাখেরও বেশি শ্রমিক প্রবেশ করেছে।মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতার, ওমানসহ অন্যান্য দেশে যে পরিমাণ শ্রমিক গেছেন, সেই একই সংখ্যক শ্রমিক এবার কাজের প্রতিশ্রুতি পেয়ে সৌদি আরবে যাচ্ছেন । এদের মধ্যে অনেকেই ভালো আছেন। আবার অনেকে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন।
 অভিযোগ রয়েছে, লাখ লাখ টাকা খরচ করে যাওয়ার পরও চুক্তি মোতাবেক অনেকেই নিজ নিজ কোম্পানিতে কাজ পাননি। পাননি ইকামাও, যার কারণে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর বহির্গমন ছাড়পত্র নিয়ে যাওয়ার পরও তারা স্বাধীনভাবে কাজ ও চলাফেরা করতে পারছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের রিয়াদ, জেদ্দা ও দাম্মামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ইকামা ছাড়া অবস্থানকারী বাংলাদেশি শ্রমিকেরা পুলিশি ধরপাকড় অভিযানের কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। উপায় না দেখে কেউ কেউ পালিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক, দালালের নাম, ঠিকানা উল্লেখ করে দূতাবাসে লিখিত অভিযোগ করছেন। তারপরও দূতাবাস সংশ্লিষ্টরা অসহায় কর্মীদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যখন ব্যর্থ হচ্ছেন।অভিযোগের সঠিক কোন সুরাহা মিলছে না ভুক্তোভোগি শ্রমিকদের কাছে।
জিএমজি অ্যাসোসিয়েশন এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে গমন করা জসিম উদ্দিন, আব্দুর রহিম ও খোকন হালদার। তারা জানান, সৌদিতে ফ্রি ভিসা,ভালো কাজ আর ইকামা দেওয়ার্ কথা বলে আমাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেয় জিএমজির মালিক রিয়াদুল ইসলাম। তারপর সৌদিতে পাঠিয়ে রিয়াদুল আর আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। ফোন দিলেও ফোন ধরেনি।ইতোমধ্যে এই শ্রমিকরা দূতাবাসে রিয়াদুলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। প্রতারিত শ্রমিক রহিম বলেন, আমি এখন কী করব? পুলিশ এখানে প্রতিদিন কোনো না কোনো এলাকায় তল্লাসি চালাচ্ছে।
 যেকোনো সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যেতে পারি। তাহলে আমি যে ১১ লাখ টাকা খরচ করে এসেছি সেই টাকা কিভাবে শোধ করব? তিনি আরও বলেন, ‘আমার মতো শত শত শ্রমিক এ দেশে এসে এখন কাজ না পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। পরিস্থিতি খুব খারাপ। আবার আমার মতো যাদের ইকামা নেই তারাতো পুলিশের ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে না। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১১ ডিসেম্বর সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ্ রিক্রুটিং এজেন্সি জিএমজি অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের (আরএল নম্বর-১১৪৩) মাধ্যমে পাঠানো তিন শ্রমিকের সাথে ‘ফ্রি ভিসার’ নামে কিভাবে প্রতারণা করা হয়েছে তার ফিরিস্তি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে রিক্রুটিং এজেন্সি জিএমজি অ্যাসোসিয়েটসের স্বত্ত্বাধিকারী গোলাম মাওলার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সৌদি আরব থেকে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার এজেন্সি থেকে যদি তিন হাজার লোক এসে থাকে, তাহলে সেই তুলনায় মাত্র ৩ জন শ্রমিক সমস্যর কথা জানিয়ে দূতাবাসে অভিযোগ দিয়েছে। এটা কি কোনো অভিযোগের মধ্যে পড়ে?

ব্রাজিলে আরো সহজ হলো বিদেশিদের জন্য নাগরিকত্ব ।

ব্রাজিলে আরো সহজ হলো বিদেশিদের জন্য নাগরিকত্ব । গত ১৬ বছরের আইন পরিবর্তন করে সম্প্রতি দেশটির আইন  মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশ জারি করে। বর্তমান আইনে অনেক সহজেই  পার্মানেন্ট  কার্ড এর মেয়াদ ৪ বছর পার হয়েছে তারা এখন থেকে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন ।

নিচে নতুন আইনের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দেয়া হল -

Naturalização Ordinária

Caso o estrangeiro tenha interesse em se tornar um cidadão brasileiro deverá preencher os requisitos descritos no artigo 112 da Lei nº 6.815/80, e requerer esta modalidade junto ao Departamento de Polícia Federal mais próximo do local de residência, o qual, além de outras providências, certificará se o interessado sabe ler e escrever a língua portuguesa, considerada a sua condição.
NATURALIZAÇÃO ORDINÁRIA
1.Requerimento devidamente assinado pelo naturalizando;
2.Declaração de interesse em traduzir ou adaptar o nome à língua portuguesa;
3.Certidão ou inscrição consular, emitida pela Embaixada ou Consulado no Brasil, comprovando a correta grafia do nome do interessado e de seus genitores.
4.Cópia da cédula de identidade para estrangeiro permanente atualizada;
5.Cópia do CPF ou cópia do recibo de entrega da última declaração de imposto de renda (pessoa física);
6.Comprovante de recolhimento da taxa (guia GRU) referente ao pedido de naturalização;
7. Atestado de antecedentes criminais expedido pela Polícia Civil dos Estados onde residiu nos últimos cinco anos;

8. Certidão negativa de ações criminais da Justiça Federal dos Estados onde residiu nos últimos cinco anos;
9.Certidão dos cartórios de distribuição de ações criminais das comarcas onde residiu nos últimos cinco anos;
10.Atestado de antecedentes criminais expedido pelo país de origem, legalizado junto à repartição consular brasileira e traduzido, no Brasil, por tradutor público Juramentado ou devidamente inscrito na Junta Comercial;
11.Comprovante de residência, tais como: contas de água ou energia ou telefone, bem como através de cópia de contrato de locação ou escritura de compra e venda de imóvel onde reside ou residiu no período imediatamente anterior ao pedido de naturalização, ou de genitor ou cônjuge ou companheiro, acompanhado respectivamente da certidão de nascimento, ou casamento, ou comprovação de união estável;
12.Cópia na íntegra do passaporte, observando as normas que regem o Mercosul;
13.Cópia da certidão de casamento;
14.Cópia da certidão de nascimento do filho brasileiro;

15.DOCUMENTO COMPROBATÓRIO DE RENDAS
15.A: Quando empregado em regime celetista: cópia autenticada, na íntegra da carteira de trabalho – CTPS ou cópia autenticada do contrato de trabalho; cópia autenticada dos últimos três contra-cheques;
15.B: Quando empresários: cópia autenticada do Contrato Social consolidado, quando for o caso, da empresa da qual é sócio ou cotista e Escritura Pública Declaratória de Renda lavrada nos Tabelionatos de Notas;
15.C: Quando autônomos: cópia autenticada do cartão do Imposto Sobre Serviços – ISS, bem como comprovante de seu recolhimento ou RPA (Recibo de pagamento a autônomo) e Escritura Pública Declaratória de Renda lavrada nos Tabelionatos de Notas;


Tuesday, December 26, 2017

জেরুজালেমকে রাজধানী করার পক্ষে দশটি দেশের সমর্থন চায় ইসরাইল ।

 জেরুজালেমে রাজধানী করার পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য অন্তত দশটি দেশের সাথে যোগযোগ করছে ইসরাইল সরকার।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পর গুয়েতেমালার সমর্থন পাওয়ার পর দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিজিপি হতোবেলি মঙ্গলবার সরকারি বেতারে এ কথা বলেন।
 খবর এএফপি’র।
উপমন্ত্রী বলেন, “রাজধানী স্থানান্তরের পক্ষে সমর্থনের জন্য আমরা ইরোপীয় দেশসহ কমপক্ষে দশটি দেশের সাথে কথা বলেছি ।”
যদিও তিনি দেশগুলোর নাম বলেননি। তবে ইসরাইলের কূটনৈতিক সূত্রের বারাত দিয়ে সরকারি বেতার জানায়, ফিলিপাইন, হন্ডুরাস, রোমানিয়া, দক্ষিণ সুদান তাদের মধ্যে অন্যতম।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য যদিও যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী স্থানান্তরের ঘোষণার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।

সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ৫৭ কর্মকর্তা

সহকারী সচিব থেকে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ৫৭ কর্মকর্তা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, সহকারী সচিব (ক্যাডার বহির্ভূত) ৫৭ কর্মকর্তাকে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

পদোন্নতিপ্রাপ্তদের নিজ নিজ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদের বর্তমান কর্মস্থলে স্ব স্ব পদে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


আরব আমিরাত থেকে রেমিটেন্স পাঠানোর খরচ বাড়ছে

রেমিটেন্স পাঠানোর খরচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১৮ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়মে ভোক্তাদের কাছ থেকে বাড়তি খরচ ধরবে দেশটি। তবে দেশটির কর্মকর্তাদের দাবি, বাড়তি খরচের ফলে আমিরাত থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোতে কোনো প্রভাব পড়বে না। নেক মানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকরাম ফরাজী জানান, বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশে পাঠায় ভোক্তারা। সেখান থেকে পাঁচ শতাংশ ভ্যাট কাটা হবে। এক হাজার দিরহাম পাঠাতে ১৬ দিরহাম খরচ হয় এবং এক হাজার দিরহামের বেশি হলে ২২ দিরহাম ভ্যাট কাটার কথা। তবে অনেক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান ১০ দিরহাম এবং ১৫ দিরহাম নেয়। মূলত ১ জানুয়ারি ২০১৮ সাল থেকে জিসিসি কর চুক্তির অধীনে পণ্য ও সেবায় পাঁচ শতাংশ ভ্যাট নেবে আমিরাত সরকার।
তবে বিশ্বের একশ ৫০টি দেশের মধ্যে আমিরাতেরই পাঁচ শতাংশ ভ্যাট সর্বনিম্ন । আমিরাতে বসবাসরত ব্যবসায়ী মুহাম্মদ মুসা জানান, ‘এটা একেবারেই কম খরচ। রেমিট্যান্স পাঠানোতে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। এছাড়া অন্যান্য ব্যবসাতেও তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না বলে আমার মনে হয়’। তবে সেখানকার বাসিন্দা কিংবা পর্যটকরা মুদ্রা লেনদেন করলে ভ্যাট প্রযোজ্য হবে না।
আমিরাত প্রবাসী অনেক বাংলাদেশি জানান, প্রতি বছরই রেমিটেন্স দেশে পাঠান তারা। এখন রেমিটেন্স পাঠাতে খরচ বাড়ানোর সিধান্তে তারা চিন্তিত। তারা মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম খালিজ টাইমস্ এ খবর শুনে আতংকের মধ্যে রয়েছেন বলে জানান। অন্যদিকে আমিরাতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব মতে ২০১৭ সালের প্রথম দিকে ৭৮ বিলিয়ন দিরহাম রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসী শ্রমিকরা।

Monday, December 25, 2017

সেলফিতে বাড়ে মানসিক সমস্যা!

স্বাভাবিকভাবে অতিরিক্ত সেলফি তোলা ক্ষতিকর কিছু মনে না হলেও এর গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। ড্যানি বোম্যান নামে যুক্তরাজ্যের ১৯ বছরের এক তরুণের ঘণ্টায় কয়েকটা করে সেলফি না তুললেই নয়।
প্রতিদিন গড়ে ২০০টি করে সেলফি তোলেন ড্যানি! দিনে ১০ ঘণ্টা তিনি ব্যয় করেন মোবাইল ক্যামেরার সামনেই। একপর্যায়ে সেলফির নেশায় গুরুতর মানসিক সমস্যায় পড়েন তিনি।

কমতে থাকে ওজন। কাঙ্ক্ষিত মানের সেলফি তুলতে না পারায় বাড়তে থাকে হতাশা। একপর্যায়ে আত্মহত্যার চষ্টোও চালান ড্যানি।

সে যাত্রা অবশ্য মায়ের কল্যাণে প্রাণে বেঁচে যান ড্যানি। পরে পুনর্বাসন কার্যক্রম ও মানসিক চিকিৎসার মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়েছিল।

স্বাভাবিকভাবে অতিরিক্ত সেলফি তোলাকে ক্ষতিকর কিছু মনে না হলেও, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে গুরুতর। বিভিন্ন গবেষণা ও জরিপে যেমন এর প্রমাণ মিলেছে, তেমনি মনোরোগ বিশেষজ্ঞরাও অতিরিক্ত সেলফি তোলার বিপক্ষে রায় দিয়েছেন।

ডিআইওয়াই হেলথ একাডেমি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেলফি তোলার সঙ্গে আত্মমগ্নতা বা আত্মমুগ্ধতার সম্পর্ক রয়েছে। নিখুঁত সেলফি তোলার জন্য বারবার চষ্টো করতে গিয়ে তা এক সময় নেশায় পরিণত হতে পারে। আবার নিজের নিখুঁত ছবিটি তুলতে না পারার ব্যর্থতা অযাচিত হতাশার জন্ম দিতে পারে।

ওই প্রতিবেদনে মনোরোগ চিকিৎসক ডেভিড ভিল বলেছেন, তার কাছে যত রোগী আসেন তার প্রতি তিনজনের দু'জন বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত থাকেন।

এটি এমন এক ধরনের মানসিক সমস্যা, যার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের চেহারার খুঁত নিয়ে অনবরত চিন্তায় থাকেন।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, এ সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রচুর পরিমাণে সেলফি তোলেন ও সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করেন।

সেখানে অন্যান্য পরিচিতজনদের করা মন্তব্য থেকেই ধীরে ধীরে তারা এ রোগে আক্রান্ত হন।

হাফিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক গবেষণাতেও দেখা গেছে যে, যারা অনলাইনে নিজেদের বেশি বেশি ছবি আপলোড করেন, তারা আত্মমুগ্ধতা ও নানা ধরনের মানসিক সমস্যায় ভোগেন।

ডিআইওয়াই হেলথ একাডেমি প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে আত্মমুগ্ধতা ছড়াচ্ছে বেশি।

ডিজিটাল মাধ্যম মানুষের জীবনে অবাস্তব লক্ষ্য নির্ধারণে প্ররোচিত করছে। আর তা পূরণ না হলেই বাড়ছে হতাশা। বিশ্বজুড়ে অনেকেই এখন সামাজিক মাধ্যমে আসক্ত।

আর সেলফি হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণের হাতিয়ার। কেউ কেউ এ থেকে উদ্ধার পেতে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হলেও বেশির ভাগই বিষয়টিকে পাত্তা দিচ্ছেন না।

ফলে সমস্যা আরও গভীর হচ্ছে। তাই সেলফি তোলায় যত কম সময় ব্যয় করা যায় ততই মঙ্গল।

খালেদা জিয়া আজ আদালতে যাচ্ছেন

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আজ মঙ্গলবার আদালতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বেলা ১১টায় তিনি আদালতে যাবেন বলে যুগান্তরকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে এ দুটি মামলার বিচার কাজ চলছে।

চলতি মাসের ২১ ডিসেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থান করা হয়। তা উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় আদালত পরবর্তী যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন।

এছাড়া আজ একই আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর দুর্নীতির এ দুই মামলায় খালেদা জিয়া হাজির না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত।

এরও আগে চলতি বছরের ১২ অক্টোবর বিদেশে থাকাকালে খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।

বর্তমানে তিনি অস্থায়ী জামিনে আছেন এবং প্রতি ধার্য তারিখেই আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় প্রথম মামলাটি দায়ের করা হয়।

আর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দ্বিতীয় মামলাটিও দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এমিরেটসকে তিউনিশিয়ায় নামতে দেওয়া হবে না

কয়েকজন তিউনিশীয় নারীকে বিমানে উঠতে না দেওয়ার কারণে দেশটির কর্তৃপক্ষ দুবাইভিত্তিক এমিরেটসকে এয়ারলাইন্সকে তিউনিসে অবতরণ করতে দেয়নি। ওই নারীদের বিমানে উঠতে না দেওয়া নিয়ে দেশটির ভেতরে তীব্র ক্ষোভের তৈরি হয়েছিল। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিষয়টিকে ‘বৈষম্যমূলক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
 
তিউনিশিয়ার বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এমিরেটস এয়ারলাইন্স যতক্ষণ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আইন মেনে ফ্লাইট পরিচালনা করবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের উপর এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য পেতে দেরি হওয়ায় এরকম পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইটারে এক বার্তায় বলা হয়, ‘তিউনিশিয়ার নারীদের আমরা অনেক মূল্যায়ন এবং সম্মান করি।’ তিউনিশিয়ার স্থানীয় সংবামাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই দুবাইগামী তিউনিশিয়ার নারীদের এমিরেটসের ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হয়নি।
 
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে কয়েকজন নারী বলেছেন, তাদের ভিসা আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে বলে জানানো হয়েছে। এ কারণে তাদের যাত্রা বিলম্ব হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ‘আরব বসন্তের পর’ তিউনিশিয়া আরব আমিরাতের সাথে দেশটি সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে। বিবিসি ও আল জাজিরা।

ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিমান হামলায় ৭১ বেসামরিক নিহত

সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় ৭১ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। গত ৪৮ ঘন্টায় এই বিমান হামলা চালানো হয়। স্থানীয় কর্মকর্তারা এবং গণমাধ্যম জানিয়েছে, হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে এই বিমান হামলা চালানো হয়। 
 
গতকাল সোমবার দেশটির রাজধানী সানায় বিমান হামলায় নিহত হয় ১১ জন। এদের মধ্যে ৩ জন শিশু ও ২ জন নারী।
হুতি নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা সাবা জানিয়েছে, রবিবার বিমান হামলায় ৪৮ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে ১১ শিশু রয়েছে। 
 
অন্তত ৫১ বার বিমান হামলা চালানো হয়। খবর আল জাজিরা

মানব পাচারের অভিযোগে নির্মাতা অনন্য মামুন মালায়েশিয়ায় গ্রেপ্তার


মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আড়ালে মানব পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র পরিচালক অনন্য মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ান পুলিশ। গত রবিবার রাত ১২টায় কুয়ালালামপুরের জালান ইপোর পুত্রা কোর্ট কন্ডোমিনিয়ামের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে মিরাজ শ্যাম নামে এক সহযোগীসহ মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ‘সিনেমাটিক বাংলাদেশি নাইটস’ অনুষ্ঠানের নামে সেখানে দেশের অনেক তারকা অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কণ্ঠশিল্পী ও নাচ-গানের দল নিয়ে অনুষ্ঠান করার পর একদিন পর এই কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটল। এখন সেখানে অবস্থানরত সংগীতশিল্পী ও নায়ক-নায়িকারা আতঙ্কে রয়েছেন। তারা নিজেদের খরচে দ্রুত দেশে ফেরার চেষ্টা করছেন।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিল্পী পরিচয়ে পাচারের জন অনন্য মামুন ৫৭ জনকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে গেছেন। আটককৃতরা মালয়েশিয়ার পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে, অনন্য মামুন তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা করে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়েছেন।
 
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। দেশের বাইরে এসে এমন ঘটনায় জড়ানোর ব্যাপারটি খুবই অস্বস্তিকর।
 
গত শনিবার কুয়ালালামপুরের উইজমা এমসিএ সেন্টারে ‘সিনেমাটিক বাংলাদেশি নাইটস’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেন অনন্য মামুন। বিনোদন সংস্থা সিনেমাটিকের ‘বাংলাদেশি নাইটস’ হলেও চিত্রপরিচালক অনন্য মামুনের আমন্ত্রণেই দেশীয় শিল্পীরা মালয়েশিয়া সফরে যান। সফলভাবে অনুষ্ঠান শেষ হলেও আদম পাচারের দায়ে গ্রেপ্তার হন বিতর্কিত ছবি ‘অস্তিত্ব’ খ্যাত নির্মাতা মামুন।
 
অনন্য মামুনের নেতৃত্বে মালয়েশিয়া যান সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর, আঁখি আলমগীর, চিত্রনায়িকা আইরিন সুলতানা, মিষ্টি জান্নাত, মিম, স্পর্শিয়া, চিত্রনায়ক নিরব, ইমন, আমান রেজা, সাঞ্জুজন, মডেল ও অভিনয়শিল্পী আনিকা কবির শখ, আশনা হাবিব ভাবনা, কবির তিথি ও গানের দল চিরকুট। অনুষ্ঠানে উপস্থাপক ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাস।
 
দেবাশীষ বিশ্বাস গণমাধ্যমকে জানান, অনুষ্ঠানের আড়ালে অনন্য মামুন আদম পাচারের মতো অপরাধ করছে বলে তারা জেনেছেন। হঠাতৎ করে আমাদের দলের কয়েকজন শিল্পী আদম পাচারের বিষয়টি জানতে পারেন। মালয়েশিয়ার পুলিশের কয়েকজন সদস্য আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। বড় ধরনের বিপদ থেকে বেঁচে গেছি। তিনি বলেন, বাইরের দেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আড়ালে এ ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক।
 
একজন শিল্পী জানান, ওই অনুষ্ঠানের জন্য তারকাবহুল দল ঢাকা ত্যাগ করে শুক্রবার। এই বিশাল বহরে অনন্য মামুন ৫৭ জনকে ‘শিল্পী’ দেখিয়ে মালয়েশিয়া নিয়ে যান। শিল্পীদের আড়ালে যে অবৈধভাবে মানব পাচার হচ্ছে এটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি আমন্ত্রিতরা।
অনুষ্ঠান দলে ছিলেন এমন একজন নাম প্রকাশ না করে বলেন, এয়ারপোর্টে সন্দেহজনক হওয়ায় ৫৭ জনকে পুলিশ ধরে। তারপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে আদম পাচারের ঘটনা।
 
চিত্রনায়ক নিরব জানান, আমরা নিরাপদেই আছি। কারো কোনো ঝামেলা নেই। মঙ্গলবার সকালের ফ্লাইটে আমরা সকলে দেশে ফিরে আসবো। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
 
জানা যায়, অনন্য মামুন ছিলেন কাহিনীকার। নায়ক অনন্ত জলিল প্রযোজিত মোস্ট ওয়েলকাম ছবি দিয়ে সিনেমা পরিচালক হন। তার পরিচালিত কয়েকটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। তবে সে মানবপাচারকারী এবং প্রতারক হিসাবে মিডিয়াঙ্গনে পরিচিত।
 
এর আগে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে আদম পাচার করেছে বলে পুলিশের গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য আছে। ২০১৪ সালের ২১ জুন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির এক বৈঠকে শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদপত্র জালিয়াতি করে যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রের নামে ভারতীয় ছবি বাংলাদেশে প্রদর্শনসহ বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচালক সমিতি তাকে বহিষ্কার করে।
 
পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মামুন আগে থেকেই দুষ্কর্মের সঙ্গে জড়িত। মামুনকে আগেও বিভিন্ন অপরাধে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। এরপর আমরা বিদেশে শুটিং করতে যেতে চাইলে অনুমতি নিয়ে ঝামেলায় পড়ব। 
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates