৭০টির বেশি ছবি এক সাথে করা শাকিব অপু জুটির সব শেষে শুভ মিলন হলেও, বাস্তবে এর চিত্র উল্টো। রিল লাইফের প্রেম রসায়ন রিয়েল লাইফে প্রভাব ফেললেও পরিণতি ছিল বেশ তিক্ত। সম্প্রতি অপুকে তালাকনামা পাঠিয়েছেন শাকিব খান। সোমবারের পর থেকে এই ঘটনা নিয়ে মিডিয়ায় চলছে তোলপাড়।
২০০৮ সালে বিয়ে করার পর ২০১৭ পর্যন্ত গোপনই ছিলো তাদের এই সংবাদ। চলতি বছরের সবাই খবরটি জানলেও বছর শেষ হচ্ছে তাদের বিচ্ছেদ দিয়ে। শাকিব-অপুর ডিভোর্স ঝড় শেষ না হতেই নতুন করে শুরু হলো তাদের দেনমোহর বিতর্ক। শাকিব আর তার আইনজীবী বলছেন, কাবিননামায় দেনমোহর হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ৭ লাখ ১ টাকা। আর অপুর দাবি, ১ কোটি ৭ লাখ টাকা
অপুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে তাকে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাকিব। শিগগির বিচ্ছেদ করতে চান তিনি। অপু বিশ্বাস যদিও প্রথমে বিচ্ছেদের খবরে বিস্মিত হয়েছিলেন, এবং এই ডিভোর্স মেনে না নেয়ার কথাও বলেন। কিন্তু যখন দেখলেন বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে শাকিব অনড় তখন অপু বিশ্বাসও কষ্ট বুকে চেপে ডিভোর্স মেনে নেয়ার সিদ্ধান্তই নিলেন। কিন্তু ‘দেনমোহর’-এর অর্থের পরিমাণ নিয়ে নতুন করে শাকিব-অপুর শুরু হল মতানৈক্য।
কেননা, দেনমোহর-এর পরিমাণ শাকিব বলছেন সাত লাখ এক টাকা, অন্যদিকে অপু বলছেন দেনমোহরের পরিমাণ ছিলো ১ কোটি সাত লাখ টাকা! অর্থের দিক দিয়ে যা আকাশ-পাতাল ব্যবধান। প্রশ্ন উঠছে, দেনমোহর নিয়ে অসত্য উচ্চারণ কে করছেন? শাকিব না অপু?
এ ব্যাপারে শাকিব খানের আইনজীবী সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে চলমান ‘দেনমোহর’ বিতর্কে তিনি বলেন, সাত লাখ এক টাকার দেনমোহর দিয়ে অপুকে বিয়ে করেছেন শাকিব খান। ডিভোর্স হলে সে টাকা তিনি অপুকে দিয়ে দিতে প্রস্তুত। এমনটাই তিনি আমাকে জানিয়েছেন। কিন্তু অপু বিশ্বাস এখন যে ‘এক কোটি সাত লাখ’ টাকা দেনমোহর হিসেবে দাবী করছেন এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। প্রমাণ আছে কিনা এটাও জানি না।
কিন্তু সাত লাখ এক টাকা যে তাদের দেনমোহর ছিল এ ব্যাপারে শাকিব খান কি কাগজে কলমে আপনাদের কোনো প্রমাণ দেখিয়েছেন?-এমন প্রশ্নে আইজীবী জানান, না। এমন প্রমাণ দেখাননি। দেনমোহরের কোনো কাগজপত্র আমি দেখেনি। মৌখিকভাবে বলেছে।
কিন্তু এখন যেহেতু এই বিষয়টি নিয়ে তর্ক, বিতর্ক হচ্ছে সেক্ষেত্রেতো কাগজে কলমের প্রমাণটাই বিবেচ্য হবে? অপু যদি ‘এক কোটি সাত লাখ’ টাকা দেনমোহরের কোনো হলফনামা দেখাতে পারে, তখন?-এমন প্রশ্নে শাকিবের আইনজীবী বলেন, শুধু অপু বিশ্বাস নয়, এক্ষেত্রে যিনিই আদালতকে এমন প্রমাণ দিতে পারবেন সুষ্ঠু বিচার তার দিকেই যাবে। আর এগুলো শাকিব-অপুর নিজস্ব ব্যাপার।
শাকিব খানতো এখন একটি সিনেমার শুটিংয়ে ভারতে আছেন। ডিভোর্স নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর আপনার সঙ্গে শাকিব খান যোগাযোগ করেছেন কিনা জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, হ্যাঁ। যোগাযোগ হয়েছে। শাকিব সাহেবকেতো আমি আঙ্কেল ডাকি। তিনি আমাকে এককভাবে তাদের ডিভোর্স নিয়ে কোথাও কোনো সাক্ষাৎকার না দেয়ার জন্য বলেছেন।
No comments:
Post a Comment