Social Icons

Tuesday, December 12, 2017

কিশোরদের হতাশা বা বিষণ্নতা বাবার সঙ্গে সম্পৃক্ত

নতুন এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, যেসব পিতা-মাতা বিষণ্নতায় ভোগেন, তাদের সন্তানদের ওপর এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে মায়েদের তুলনায় বাবার হতাশা বা বিষণ্নতার প্রভাব বেশি পড়ে। কিশোরদের বিষণ্নতা বা হতাশা কাটানোর চিকিৎসায় তাদের পিতার ভূমিকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন যুক্তরাজ্যের কয়েকজন গবেষক। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন বা ইউসিএল যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের প্রায় ১৪ হাজার পরিবারকে নিয়ে এ গবেষণা চালিয়েছে। গবেষণায় বলা হচ্ছে, কিশোর বয়সের হতাশা বা বিষণ্নতা কাটানোর জন্য অভিভাবকদের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। কোনো সন্তানের বাবার মধ্যে বিষণ্নতার লক্ষণ থাকলে তা নিয়ে তাদের চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক ডা: গেমা লুইস এ গবেষণা কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ডা: লুইস বলেছেন, "যেহেতু মায়েরাই সন্তানের সঙ্গে বেশি সময় কাটান তাই মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসায় মায়েদের দোষারোপ করার একটা প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, "এক্ষেত্রে বাবাদের ভূমিকা আরো বেশি সামনে আনা প্রয়োজন"। তিনি আরো বলেন, " আপনি যদি কোনো সন্তানের পিতা হন,আর যদি আপনার মধ্যে কোনো বিষণ্নতা থাকে যার চিকিৎসা আপনি কখনো নেননি-তাহলে সেটার প্রভাব আপনার সন্তানের ওপর পড়তে পারে। আমরা আশা করছি আমাদের গবেষণা বিষণ্নতায় আক্রান্ত পুরুষদের চিকিৎসকের কাছে যেতে উৎসাহিত করবে।" আয়ারল্যান্ডের ছয় হাজার পরিবার এবং যুক্তরাজ্যের আট হাজার পরিবারের ওপর এ গবেষণা কার্যক্রমটি চালানো হয়, মূলত কিছু প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে। এতে সাত, নয় এবং তের থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশু ও তাদের অভিভাবকেরা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয়। যেখানে নিজেদের অনুভূতির বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেয় তারা। শিশু ও অভিভাবকদের মানসিক উপসর্গ ও অনুভূতির বিষয়ে জেনে সে অনুযায়ী বিষণ্নতার ধরন ঠিক করে গবেষক দল। ওই গবেষণার ফলাফলে গবেষকেরা দেখতে পান, পিতার বিষণ্নতার সাথে শিশুর বিষণ্নতা বা হতাশার উপসর্গ ও ধরনের মধ্যে মিল আছে। গবেষকরা বলছেন, যারা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন তাদের বেশিরভাগের হতাশা বা বিষণ্নতা শুরু হয় ১৩ বছর বয়স থেকে এবং মায়ের মধ্যেও যদি বিষণ্নতা থাকে তাহলে শিশুর ঝুঁকি আরো বেশি থাকে। সে কারণে পিতার সুস্থতা অনেক বেশি জরুরী-আর এটা গবেষণায় প্রাপ্ত নতুন ফলাফল। সূত্র: বিবিসি বাংলা
 

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates