গত ১১ ডিসেম্বর নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে পাইপবোমা বিস্ফোরণের জন্য সন্দেহভাজন হিসেবে আটক আকায়েদ উল্লাহ একজন বাংলাদেশি বলে দাবি করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ। এদিকে, ম্যানহাটনে আকায়েদ উল্লাহর ঘটনা ঘটেছে গুরুত্বপূর্ণ আলাবামা সিনেট নির্বাচনের দুই দিন আগে। গুরুত্বপূর্ণ এই সময়েই আকায়েদ উল্লাহর ঘটনা লুফে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পারিবারিক অভিবাসনকে বদলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। ফলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নারীদের পীড়ন করেছেন বলে যে সোচ্চার আওয়াজ তুলেছিলেন প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যানরা তা এখন অনেকটাই ঘটনার বেড়াজালে গুরুত্ব হারাতে বসেছে। হোয়াইট হাউসের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত হয়ে সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসের পরিচালক লুই ফ্রান্সিস কিসনা দ্রুত পারিবারিক চেইন অভিবাসন বন্ধ করতে ট্রাম্পের ইচ্ছার কথা জানান। এর আগে উজবেকিস্তান থেকে আসা এক অভিবাসী ম্যানহাটনে গাড়ি হামলা করে। পরপর দুটি ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি পারিবারিক চেইন অভিবাসন নিয়ে আমেরিকায় প্রবেশ করেছিলেন। ফলে দুটো ঘটনাকে এক করে আমেরিকানদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে বলা হচ্ছে। সাধারণ আমেরিকানরাও এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশ থেকে গত ১২ বছরে প্রায় দেড় লাখ লোকের অভিবাসন ঘটেছে এই চেইন অভিবাসনের আওতায়। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, ২০১৬ সালে আমেরিকায় ১৮ হাজারের বেশি বাংলাদেশি এসেছেন এই চেইন ইমিগ্রেশনের ফলে। ২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে শুধু এই ভিসায় আমেরিকায় আসা অভিবাসীর সংখ্যা ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি। অভিবাসীদের ও বিশ্লেষকদের শঙ্কা- পারিবারিক চেইন অভিবাসন বন্ধ করে তার পরিবর্তে মেধাভিত্তিক অভিবাসন হলে আমেরিকা তাদের পছন্দ মত লোক নেবে। তারা ইচ্ছে করলে, কোনো দেশ থেকে, কী যোগ্যতার লোক আনবে তা নির্ধারণ করে দিবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশি অভিবাসন প্রত্যাশীদের পিছিয়ে পরার সম্ভাবনাই বেশি। যদিও এরই মধ্যে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস দ্রুত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে- বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ বা জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রতি কঠোর অবস্থানে। কিন্তু তারপর শঙ্কা যেন পিছু ছাড়ছে না আমিরেকিায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের।
No comments:
Post a Comment