মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের সাথে সৌদি আরব, আরব আমিরাত এবং মিশরের বিচ্ছিন্ন সম্পর্ক এখন পর্যন্ত জোড়া লাগেনি। কূটনৈতিকভাবে, বিশেষ করে জনশক্তি রপ্তানির কারণে এই সংকটে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সৌদিদের সাথে কাতারের সম্পর্ক আগেও খারাপ হয়েছিল, কিন্তু এতটা কঠোর পদক্ষেপ অনেককেই হতবাক করে দিয়েছে। প্রাথমিক মধ্যস্থতার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে, ফলে সমস্যা দীর্ঘায়িত হওয়ায় সংকটের স্থায়িত্ব ও সম্ভাবনাও বাড়ছে। এই সংকটের ফলে কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশিদের কতোটা সমস্যা হতে পারে বা এখন পর্যন্ত কতোটা সমস্যা হযেছে তা স্পষ্ট নয়। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে এরইমধ্যে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এই সংকটের বলি হয়েছেন।
কাতারে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী হাসান মাবুদ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাতারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। হাসান মাবুদ কাতারে অবস্থিত বাংলাদেশি মালিকানাধীন একমাত্র আল আসাদ ফর ওমরাহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালিক। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে।
ব্যবসায়ী হাসান মাবুদ জানান, সৌদি আরব কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কাতার থেকে কেউ আর সরাসরি ওমরাহ পালন করতে সৌদি যেতে পারে না।
৩৫ বছর ধরে কাতারে বসবাসকারি এই ব্যবসায়ী আরো জানান, হঠাৎ করে এই অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় তার আড়াই লাখ রিয়াল ক্ষতি হয়েছে। ভবিষ্যতে চলমান সংকট সমাধান না হলে তার ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে। অন্যদিকে, আল আসাদ ফর ওমরা ‘তে কর্মরত অনেক বাংলাদেশি কর্মীও বেকার হয়ে পরেছে। যার ফলে পুরো সংকটটি বাংলাদেশের রেমিটেন্স সার্কেলে ধীরগতি তৈরিতে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন এই প্রবাসী ব্যবসায়ী।
No comments:
Post a Comment