Social Icons

Monday, December 25, 2017

সেলফিতে বাড়ে মানসিক সমস্যা!

স্বাভাবিকভাবে অতিরিক্ত সেলফি তোলা ক্ষতিকর কিছু মনে না হলেও এর গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। ড্যানি বোম্যান নামে যুক্তরাজ্যের ১৯ বছরের এক তরুণের ঘণ্টায় কয়েকটা করে সেলফি না তুললেই নয়।
প্রতিদিন গড়ে ২০০টি করে সেলফি তোলেন ড্যানি! দিনে ১০ ঘণ্টা তিনি ব্যয় করেন মোবাইল ক্যামেরার সামনেই। একপর্যায়ে সেলফির নেশায় গুরুতর মানসিক সমস্যায় পড়েন তিনি।

কমতে থাকে ওজন। কাঙ্ক্ষিত মানের সেলফি তুলতে না পারায় বাড়তে থাকে হতাশা। একপর্যায়ে আত্মহত্যার চষ্টোও চালান ড্যানি।

সে যাত্রা অবশ্য মায়ের কল্যাণে প্রাণে বেঁচে যান ড্যানি। পরে পুনর্বাসন কার্যক্রম ও মানসিক চিকিৎসার মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়েছিল।

স্বাভাবিকভাবে অতিরিক্ত সেলফি তোলাকে ক্ষতিকর কিছু মনে না হলেও, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে গুরুতর। বিভিন্ন গবেষণা ও জরিপে যেমন এর প্রমাণ মিলেছে, তেমনি মনোরোগ বিশেষজ্ঞরাও অতিরিক্ত সেলফি তোলার বিপক্ষে রায় দিয়েছেন।

ডিআইওয়াই হেলথ একাডেমি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেলফি তোলার সঙ্গে আত্মমগ্নতা বা আত্মমুগ্ধতার সম্পর্ক রয়েছে। নিখুঁত সেলফি তোলার জন্য বারবার চষ্টো করতে গিয়ে তা এক সময় নেশায় পরিণত হতে পারে। আবার নিজের নিখুঁত ছবিটি তুলতে না পারার ব্যর্থতা অযাচিত হতাশার জন্ম দিতে পারে।

ওই প্রতিবেদনে মনোরোগ চিকিৎসক ডেভিড ভিল বলেছেন, তার কাছে যত রোগী আসেন তার প্রতি তিনজনের দু'জন বডি ডিসমরফিক ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত থাকেন।

এটি এমন এক ধরনের মানসিক সমস্যা, যার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের চেহারার খুঁত নিয়ে অনবরত চিন্তায় থাকেন।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, এ সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রচুর পরিমাণে সেলফি তোলেন ও সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করেন।

সেখানে অন্যান্য পরিচিতজনদের করা মন্তব্য থেকেই ধীরে ধীরে তারা এ রোগে আক্রান্ত হন।

হাফিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক গবেষণাতেও দেখা গেছে যে, যারা অনলাইনে নিজেদের বেশি বেশি ছবি আপলোড করেন, তারা আত্মমুগ্ধতা ও নানা ধরনের মানসিক সমস্যায় ভোগেন।

ডিআইওয়াই হেলথ একাডেমি প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে আত্মমুগ্ধতা ছড়াচ্ছে বেশি।

ডিজিটাল মাধ্যম মানুষের জীবনে অবাস্তব লক্ষ্য নির্ধারণে প্ররোচিত করছে। আর তা পূরণ না হলেই বাড়ছে হতাশা। বিশ্বজুড়ে অনেকেই এখন সামাজিক মাধ্যমে আসক্ত।

আর সেলফি হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণের হাতিয়ার। কেউ কেউ এ থেকে উদ্ধার পেতে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হলেও বেশির ভাগই বিষয়টিকে পাত্তা দিচ্ছেন না।

ফলে সমস্যা আরও গভীর হচ্ছে। তাই সেলফি তোলায় যত কম সময় ব্যয় করা যায় ততই মঙ্গল।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates