ক্রসিফেরাস পরিবারের এই সদস্যটিকে কাজে লাগিয়ে নানা মুখরোচক খাদ্য বানানো হলেও চিকিৎসকদের মতে নিয়মিত বাঁধাকপির রস খেলে মেলে নানা শারীরিক উপকারিতাও। বিশেষত এই ঠাণ্ডায় শরীরকে চাঙ্গা রাখতে এই ঘরোয়া ঔষধিটির কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে।
স্তরে স্তরে সাজানো এই গোলাকার সবজিটিতে প্রচুর মাত্রায় আছে ভিটামিন এবং মিনারেল। সেই সঙ্গে আছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, সালফার, ফসফরাস এবং ফলেটের মতো উপকারি উপাদানও, যা নানাভাবে শরীরের গঠনে সাহায্য করে থাকে।
এখন প্রশ্ন হল কীভাবে খেলে এই সবজিটি থেকে সর্বোত্তম উপকার পাওয়া যেতে পারে? বিশেষজ্ঞদের মতে রান্না করার সময় অল্প হলেও এই সবজিতে থাকা উপকারি উপাদানগুলো নষ্ট হয়ে যায়। সে কারণেই রান্না করে নয়, বরং বাঁধাকপির রস বানিয়ে তা খাওয়া উচিত। এমনটা করলে সবজিটির ভেতরে থাকা প্রতিটি ভিটামিন এবং মিনারেল আমাদের শরীরে প্রবেশ করার সুযোগ পেয়ে যায়। ফলে মেলে নানা উপকার। আসুন জেনে নেওয়া যাক...
১. শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়
যেমনটা একেবারে শুরুতেই আলোচনা করা হয়েছে যে বাঁধাকপিতে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান থাকে, যেমন- ভিটামিন সি, এ, বি১, বি২, বি৬, ই এবং কে। এই সবকটি ভিটামিনই শরীরে নানা উপকারে লেগে থাকে। সেই সঙ্গে রোগ ভোগের আশঙ্কা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
প্রসঙ্গত, বাঁধাকপির ভেতরে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।যেমনটা একেবারে শুরুতেই আলোচনা করা হয়েছে যে বাঁধাকপিতে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান থাকে, যেমন- ভিটামিন সি, এ, বি১, বি২, বি৬, ই এবং কে। এই সবকটি ভিটামিনই শরীরে নানা উপকারে লেগে থাকে। সেই সঙ্গে রোগ ভোগের আশঙ্কা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
২. শরীরকে বিষ মুক্ত করে
বাঁধাকপির রসে উপস্থিত ভিটামিন কে এবং সি আমাদের শরীরের ভেতরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে একদিকে যেমন কোষেদের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়, তেমনি ক্যান্সারের মতো রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। প্রসঙ্গত, হার্টকে দীর্ঘদিন কর্মক্ষম রাখতেও এই দুই ভিটামিন দুটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এবার বুঝেছেন তো বাঁধাকপির রসের উপকারিতা কতটা।
বাঁধাকপির রসে উপস্থিত ভিটামিন কে এবং সি আমাদের শরীরের ভেতরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে একদিকে যেমন কোষেদের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়, তেমনি ক্যান্সারের মতো রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। প্রসঙ্গত, হার্টকে দীর্ঘদিন কর্মক্ষম রাখতেও এই দুই ভিটামিন দুটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এবার বুঝেছেন তো বাঁধাকপির রসের উপকারিতা কতটা।
৩. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়
সারা দিন দূষণ এবং খাবারের মাধ্যমে নানাবিধ ক্ষতিকর টক্সিক বা বিষ আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে থাকে। এই বিষাক্ত উপাদানেরা রক্তে মিশে যাওয়ার পর যেমন শরীরের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে যায়, তেমনি ত্বকের ভেতরেও জমতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে ত্বকের সৌন্দর্য কমে যায়। সেই সঙ্গে নানাবিধ ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। এমন অবস্থায় নিয়মিত যদি বাঁধাকপির রস খাওয়া যায়, তাহলে দারুন উপকার মেলে। কারণ এই সবজিটিতে থাকা সালফার এবং ফসফরাস ত্বকের ভিতরে জমতে থাকা বর্জ্য পদার্থদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে স্কিনের ভেতরে হওয়া পুষ্টির ঘাটতিও দূর করে। ফলে ধীরে ধীরে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণোচ্ছ্বল হয়ে ওঠে।
সারা দিন দূষণ এবং খাবারের মাধ্যমে নানাবিধ ক্ষতিকর টক্সিক বা বিষ আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে থাকে। এই বিষাক্ত উপাদানেরা রক্তে মিশে যাওয়ার পর যেমন শরীরের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে যায়, তেমনি ত্বকের ভেতরেও জমতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে ত্বকের সৌন্দর্য কমে যায়। সেই সঙ্গে নানাবিধ ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। এমন অবস্থায় নিয়মিত যদি বাঁধাকপির রস খাওয়া যায়, তাহলে দারুন উপকার মেলে। কারণ এই সবজিটিতে থাকা সালফার এবং ফসফরাস ত্বকের ভিতরে জমতে থাকা বর্জ্য পদার্থদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে স্কিনের ভেতরে হওয়া পুষ্টির ঘাটতিও দূর করে। ফলে ধীরে ধীরে ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণোচ্ছ্বল হয়ে ওঠে।
৪. ওজন কমাতে সাহায্য করে
অতিরিক্ত ওজন আজ অভিশাপের সমান। কারণটা খুব সহজ! মাত্রাতিরিক্ত ওজন মানেই তার লেজুড় হবে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং হার্টের রোগের মতো মারণ ব্যাধি। আর এমনটা হলে জীবনে একেবারেই শান্তি থাকবে না, তা কি আর বলে দিতে হবে। তাই কোমরের মাপ যদি বাড়তে শুরু করে, তাহলে আজ থেকেই বাঁধাকপির রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দ্রুত ওজন কমে যাবে। আসলে নিয়মিত বাঁধাকপির রস খেলে ইনটেস্টাইনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। আর এমনটা হলে মেদ বৃদ্ধির আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে নানাবিধ পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
অতিরিক্ত ওজন আজ অভিশাপের সমান। কারণটা খুব সহজ! মাত্রাতিরিক্ত ওজন মানেই তার লেজুড় হবে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এবং হার্টের রোগের মতো মারণ ব্যাধি। আর এমনটা হলে জীবনে একেবারেই শান্তি থাকবে না, তা কি আর বলে দিতে হবে। তাই কোমরের মাপ যদি বাড়তে শুরু করে, তাহলে আজ থেকেই বাঁধাকপির রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দ্রুত ওজন কমে যাবে। আসলে নিয়মিত বাঁধাকপির রস খেলে ইনটেস্টাইনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। আর এমনটা হলে মেদ বৃদ্ধির আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে নানাবিধ পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
৫. রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটায়
শরীরকে নানাবিধ জীবাণু এবং ফরেন বডির হাত থেকে বাঁচাতে আমাদের শরীরের ভেতরে বেশ কিছু সৈনিক রাত্রি দিন কাজ করে চলে। এরা যখন কাজ করতে করতে দুর্বল হয়ে পড়ে, তখনই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে নানা রোগ। আপনি কি চান, আপনার সৈনিকেরাও এমন দুর্বল হয়ে পড়ুক। উত্তর যদি না হয়, তাহলে আজ থেকেই বাঁধাকপির রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ এই প্রাকৃতিক উপদানাটি ইমিউন সিস্টেমকে এত মাত্রায় শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে কমে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও।
শরীরকে নানাবিধ জীবাণু এবং ফরেন বডির হাত থেকে বাঁচাতে আমাদের শরীরের ভেতরে বেশ কিছু সৈনিক রাত্রি দিন কাজ করে চলে। এরা যখন কাজ করতে করতে দুর্বল হয়ে পড়ে, তখনই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে নানা রোগ। আপনি কি চান, আপনার সৈনিকেরাও এমন দুর্বল হয়ে পড়ুক। উত্তর যদি না হয়, তাহলে আজ থেকেই বাঁধাকপির রস খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ এই প্রাকৃতিক উপদানাটি ইমিউন সিস্টেমকে এত মাত্রায় শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে কমে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও।
৬. লিভার ফাংশনের উন্নতি ঘটে
শরীরকে চাঙ্গা রাখতে যে যে অঙ্গগুলির কোনও বিকল্প হয় না, লিভার তাদের অন্যতম। সেই কারণেই তো চিকিৎসকেরা লিভারের একটু বেশি মাত্রায় খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর এই কাজটি যাতে আপনি ঠিক ঠিক মতো করতে পারেন, তার জন্যই তো বাঁধাকপির রস খাওয়া জরুরি। কারণ এই পানীয়টি খাওয়া শুরু করলে শরীরে ইনডোল-৩ কার্বোনাইল নামে একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা শরীরকে বিষ মুক্ত করার পাশাপাশি লিভার ফাংশনের উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
শরীরকে চাঙ্গা রাখতে যে যে অঙ্গগুলির কোনও বিকল্প হয় না, লিভার তাদের অন্যতম। সেই কারণেই তো চিকিৎসকেরা লিভারের একটু বেশি মাত্রায় খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর এই কাজটি যাতে আপনি ঠিক ঠিক মতো করতে পারেন, তার জন্যই তো বাঁধাকপির রস খাওয়া জরুরি। কারণ এই পানীয়টি খাওয়া শুরু করলে শরীরে ইনডোল-৩ কার্বোনাইল নামে একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা শরীরকে বিষ মুক্ত করার পাশাপাশি লিভার ফাংশনের উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
No comments:
Post a Comment