মালয়েশিয়ার পেহাং রাজ্যে অবস্থিত ক্যামেরুন হাইল্যান্ডে বাস করেন কয়েক হাজার বাংলাদেশি। চা বাগান আর ফলের জন্য বিখ্যাত এই এলাকাটিতে সবজি চাষের জন্য প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি যান।মালয়েশিয়ার জোহর বারু এবং সিঙ্গাপুরের বাজারে সবজির সবচেয়ে বড় চালান যে এই ক্যামেরুন হাইল্যান্ড থেকে।
দীর্ঘদিন ধরে চীনা শ্রমিকরা একচেটিয়া ব্যবসা করলেও সাম্প্রতিক সময়ে সে বাজার দখলে নিয়েছে বাংলাদেশি শ্রমিকরা। দেশ থেকে সবজির বীজ নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ক্যামেরুনের বুকে ফলাচ্ছেন দেশীয় সবজি। আর এতে সাফল্যও আসছে অনেক বেশি। কলমি, ডাঁটাশাকসহ স্থানীয় কয়েক প্রকার শাকের সাথে শিম, লালশাক এবং পুঁইশাকের নতুন সংযুক্তি ঘটিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।মালয়েশিয়ায় সবজি চাষী আব্দুল হালিম ও গফুর জানান, ‘প্রথমে ক্যামেরুন হাইল্যান্ডে শিম, লালশাক ও পুঁইশাক চাষে সফলতা দেখে মালাক্কা, জোহর বারুসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এখন চাষ হচ্ছে এসব নিত্যনতুন সবজি। চাষের পাশাপাশি চাহিদাও বাড়ছে প্রচুর। প্রথমে শুধু বাঙালিদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা থাকলেও এখন চীনা, মালয়ীরাও পছন্দ করে।
তাছাড়া সবজির প্রতি মালয়দের এক ধরণের দূর্বলতা রয়েছে’। শীত প্রধান ক্যামেরুন হাইল্যান্ডে মালয় এবং চাইনিজরা লিজ নিয়ে কৃষি কাজ শুরু করলেও বর্তমানে বাংলাদেশিরা এ কাজে শক্ত অবস্থান তৈরী করে নিয়েছে। তারা আরও জানান, শিম চাষ এখানে ভালো হলেও মাটির কারণে একটু শক্ত হয়, কিন্তু ওজনে বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু সাধে কোনো কমতি নেই। এখানকার লোক সবজি পছন্দ করে বলে জনপ্রিয়তা পেতে সময় লাগেনি। কেমন দাম পাওয়া যায় জানতে চাইলে তারা জানান, লালশাক পাইকারি ২ রিঙ্গিত, খুচরা ৩ রিঙ্গিত, পুঁইও প্রায় একই দাম। শিমের দামটা বেশি ৬-৭ রিঙ্গিত (১ রিঙ্গিত=২০ টাকা)। তবে সবজি চাষ নিয়ে ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের মধ্যে। তারা জানান, বাংলাদেশ থেকে আনা বীজ সব সময় ভালো ফলন দেয় না কিংবা বীজ ফোটে না বলে জানান তিনি।
এ ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশিদের অসততাকে দায়ী করেন। বলেন, ভালো বীজ বলে দিলেও মোটেই ফোটেনি এমনও হয়েছে। প্রবাসে ব্যবসা-বাণিজ্য করে প্রতিষ্ঠিত হলে দেশ পায় রেমিটেন্স। নিজেরা সুনাম ধরে রেখে এমন সাফল্য ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করেন সফল চাষিরা।
No comments:
Post a Comment