কানাডার অন্টারিও, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, কুইবেক, সাসকাচোয়ান, আলবার্টা, টরন্টো, মন্ট্রিয়ল, ভ্যাঙ্কুভার, ক্যালগেরি, এডমন্টন, রেজিনা, এবং অটোয়াতে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশিr বসবাস। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৯১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে কানাডার মন্ট্রিয়লেও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বাংলাদেশির সংখ্যা। এছাড়াও এর পাশ্ববর্তী এলাকা পার্ক-এক্সটেনশন এবং প্লামোন্ডোনেও বাস করেন অনেক বাংলাদেশি। সাধারণত দুইভাবে বাংলাদেশিরা কানাডায় অভিবাসন নিয়ে থাকে। একটি হচ্ছে দক্ষ ওয়ার্কার ক্যাটাগরি ও আরেকটি হচ্ছে ফ্যামিলি ক্যাটাগরি।
কানাডা প্রবাসী মোজাম্মেল হক শিশির জানান, দক্ষ টেকনিক্যাল ও সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ডের লোকদের চাহিদা বেশি কানাডায়। যারা জেনারেল শিক্ষা শেষ করে আসে তাদের এখানে এসে কাজ পেতে খুবই ভোগান্তি পোহাতে হয় এবং অনেকটা সময় ব্যয় করতে হয় এর পেছনে। এমনকি গ্রাজুয়েশন থাকলেও বিশেষ কোন কাজে দেয়না। বরং যারা এইচএসসি পাশ তারা গ্রাজুয়েটদের চেয়ে ভালো করে। কারণ তারা গনিতসহ বিজ্ঞানের সব বিষয়ে মোটামুটি জেনে আসে।
শিশির মনে করেন, বেশি সিনিয়রদের চেয়ে যারা সবেমাত্র ডিপ্লোমা শেষ করেছেন তারা কানাডায় আসলে বেশি ভালো করতে পারবে। তিনি বলেন, ইউরোপের দেশগুলোতে কাজের দক্ষতার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে যদি কেউ কারিগরি বিভিন্ন কাজে দক্ষতার পাশাপাশি একটা সার্টিফিকেট থাকে তাহলে দ্রুত ভালো করা সম্ভব।
এই কানাডা প্রবাসী আরও জানান, যেহেতু এখানে বিজ্ঞান বিভাগের লোকদের চাহিদা বেশি। তাই যারা আসতে চায় তারা যদি কোনভাবে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করে আসে তাহলে চাকরি পেতে সুবিধা হবে। কাজের পাশাপাশি তখন তারা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণেরও সুযোগ পাবে। যারা মাত্র ডিপ্লোমা শেষ করেছে তাদের অনেক মূল্যায়ন করা হয় কানাডাতে। এখানে কর্মমুখি শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হয় বলেও জানান শিশির।
No comments:
Post a Comment