দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে মালয়েশিয়ায়। দেশটিতে বৈধ-অবৈধ মিলে প্রায় ছয় লাখ অবৈধ প্রবাসীর বসবাস। এবছর অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হবার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় দেশটির সরকার। কিন্তু এতো কিছুর পরও নতুন ভাবে কর্মী নেওয়ার বিষয়ে নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া সরকার। এর ফলে শুধুমাত্র গৃহকর্মীর প্রয়োজনে নিয়োগকর্তারা এখন থেকে এজেন্ট বা মধ্যস্থ ভোগীদের ছাড়াই সরাসরি নিয়োগ দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার সরকার।
‘বাজেট ২০১৮’ এর সরণীকরণ বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাক এ বক্তব্য দেন। প্রবাসী গৃহকর্মী নিয়োগের প্রসঙ্গে তিনি জানান, নিয়োগকর্তারা মালয়েশিয়া অভিবাসন বিভাগে লেভি(কর) এবং প্রসেসিং ফি দিয়ে অনলাইনে বিদেশী গৃহকর্মীদের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে ৷ তবে বিদেশী গৃহকর্মী নিয়োগের জন্য সরকার নির্ধারিত নয়টি সোর্স কান্ট্রি বা উৎস দেশ থেকেই আনতে হবে ৷ ওই সোর্স কান্ট্রির তালিকাতে বাংলাদেশও আছে ৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশী গৃহকর্মীদের নিয়োগের জন্য অধিক খরচের ব্যাপারে সরকার সচেতন। যা ১২ হাজার রিঙ্গিত থেকে ১৮ হাজার পর্যন্ত পৌঁছে যায় ৷ সরকার ভবিষ্যতে এটিকে কম করার লক্ষ্যে বিদেশী গৃহকর্মীদের নিয়োগের খরচ পর্যালোচনা করবে।’ মালয়েশিয়া মেইড এমপিলয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন(মামা) এর সভাপতি এঞ্জুকু আহমাদ ফাউজি ঘোষণা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এটি একটি ইতিবাচক বিকাশ কারণ এতে বিদ্যমান খরচ অর্ধেকে নেমে আসতে পারে ৷’ তিনি আরও বলেন, “আমি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং আশা করি যে নিয়োগকর্তারা তাদের গৃহকর্মীদের প্রতি আরও বেশি দায়িত্বশীল হবে ৷ যদি কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে এখন এজেন্টদের দোষারোপ করতে পারবে না ৷
মালয়েশিয়ার এমন সিধান্তে নতুন ভাবে গৃহকর্মীদের জন্য আবারও উম্মুক্ত হলো বাংলাদেশি নারী শ্রমিকদের জায়গা। কিন্তু দেখা বিষয় এটি বিভিন্ন দেশে গৃহকর্মীর যেভাবে নির্যাতিত হচ্ছে এমনভাবে নির্যাতনের শিকার না হতে হয় মালয়েশিয়ায় নতুন ভাবে আসা বাংলাদেশি নারী শ্রমিকদের। এই বিষয়গুলোর দিকে বাংলাদেশ দূতাবাস সুদৃষ্টি দেবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
No comments:
Post a Comment