কানাডা আগামী তিন বছর পর্যায়ক্রমে প্রায় ১০ লাখ অভিবাসীকে স্বাগত জানাবে। সম্প্রতি পা্র্লামেন্টে এই পরিকল্পনা পেশ করেন কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী আহমদ হোসেন। নতুন এই অভিবাসীদের স্বাগত জানানো হবে ইকনমিক মাইগ্রেন্ট, ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন ও রিফিউজি ক্যাটাগরিতে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছর স্বাগত জানানো হবে ৩ লাখ ১০ হাজার অভিবাসীকে। এভাবে পরপর তিন বছর ধারাবাহিকভাবে প্রায় দশ লাখ অভিবাসী নেবে কানাডা। আর এই তালিকায় যুক্ত হতে পারেন অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশিরাও। অভিবাসন মন্ত্রী আহমদ হোসেন বলেন, কানাডার সরকার বিশ্বাস করে নতুন অভিবাসীরা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তিনি জানান, আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রায় ৫০ লাখ কানাডিয়ান অবসর জীবনে চলে যাবেন। কিন্তু আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী থাকবে না এই সিনিয়র সিটিজেনদের সেবা প্রদানের জন্য।
কানাডা প্রবাসী এক বাংলাদেশি জানান, কানাডায় মাত্রাতিরিক্তভাবে কমে গেছে জন্মহার। ফলে কম জনবহুল এলাকায় লোকসংখ্যার ঘাটতি পূরণ করা যাচ্ছে না এবং বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে শ্রমঘাটতিও পূরণ করা যাচ্ছে না। নতুন প্রজন্মের সংকট, একই সাথে কর্মক্ষেত্রে উদ্যোমী ও তরুণ প্রজন্মকে প্রবেশ করাতেই এ ধরণের পরিকল্পনা ঘোষনা করেছে কানাডা সরকার। এই কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি প্রত্যাশা করেন, শিক্ষিত ও দক্ষ, প্রশিক্ষিত অভিবাসন প্রত্যাশীরা এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন। আর বৈধভাবে একবার কানাডা যেতে পারলে ঝুঁকিহীনভাবে কাজ করে উন্নত জীবন যাপন করা সম্ভব। তবে অদক্ষ, অশিক্ষিত লোকদের যাওয়ার চেষ্টা না করাই ভালো। কারণ তাতে করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।
No comments:
Post a Comment