জীবনে এই প্রথম ফ্লাইট ধরতে না পারার তিক্ত স্বাদ পেলাম। রাত পৌনে তিনটায় রিজেন্ট এয়ারের ফ্লাইট ছিলো। ঠিক সময়ে কাতারের দোহা এয়ারপোর্টে এসেছিলাম। কিন্তু ভিসা জটিলতায় ধরা খেলাম। তারপরও আসতে পারতাম। কিন্তু আরবের ভাইদের মেজাজ মর্জি ভালো না থাকায় তারা আমার যাত্রা বাতিল করে দেয়। তাই রিজেন্টে আমার সিডিউল ফ্লাইটে করে ঢাকায় ফেরা হলো না ( হে আল্লাহ এদেরকে হেদায়েত করো! এরা আমাদের সাথেই যতো ফুটানি করলো। কিন্তু ট্রাম্পের বংশধরদের জুতা পেটা খেলেও লজ্জা পায়না। )। এরপর লাউঞ্জে এসে নির্ঘুম রাত উদযাপন। সকাল সাড়ে ৯ টায় কাতার এয়ারের ফ্লাইটে উঠার কথা। জানিনা কপালে আর কতো দূর্ভোগ লেখা আছে। ভাবছি এবার যদি ফ্লাইট মিস করি তাহলে কাতারের মুসলিমদের সেবা করে বাকি জীবন কাটিয়ে দেবো।’ – নিজের ফেসবুক ওয়ালে স্ট্যাটাস দিয়ে এভাবেই ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরেন বাংলাভিশনের বার্তা প্রধান মোস্তফা ফিরোজ।
মোস্তফা ফিরোজ আক্ষেপ করে বলেন, ‘বাংলাদেশি একজন গবেষকের রিপোর্টে যাদের জাতীয় দিবস ২০০৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর নির্ধারিত হলো সেই কাতারীরা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশিদের বিষয়ে মোটেও উদার না। ৮০টা দেশকে অন এরাইভাল ভিসা সুবিধা দিয়েছে কাতার; অথচ সেখানে নেই বাংলাদেশ। এরা কর্মক্ষেত্রে বিদেশি এমনকি পাকিস্থানীদের যতটা হিসাব করে বাংলাদেশিদের ততোটা গণনায় ধরে না।’
উল্লেখ্য, এই সিনিয়র সাংবাদিক সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার ভ্রমণে গিয়েছিলেন। ফিরতি পথে ভিসা জটিলতার নামে হয়রানি করা হয় তাকে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি দেশের স্বনামধন্য ব্যক্তিদের বিদেশের এয়ারপোর্টে হয়রানির শিকার হতে হয়। তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসরত কর্মীদের জীবন কতোটা দুর্বিষহ সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সরকারের পক্ষ থেকে যথাযথ তদারকির মাধ্যমে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ভোগান্তি কমিয়ে আনা সময়ের ব্যাপার মাত্র। যদি না সদিচ্ছার অভাব থাকে।
No comments:
Post a Comment