কয়েকজন তিউনিশীয় নারীকে বিমানে উঠতে না দেওয়ার কারণে দেশটির কর্তৃপক্ষ দুবাইভিত্তিক এমিরেটসকে এয়ারলাইন্সকে তিউনিসে অবতরণ করতে দেয়নি। ওই নারীদের বিমানে উঠতে না দেওয়া নিয়ে দেশটির ভেতরে তীব্র ক্ষোভের তৈরি হয়েছিল। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিষয়টিকে ‘বৈষম্যমূলক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
তিউনিশিয়ার বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এমিরেটস এয়ারলাইন্স যতক্ষণ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক আইন মেনে ফ্লাইট পরিচালনা করবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের উপর এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য পেতে দেরি হওয়ায় এরকম পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইটারে এক বার্তায় বলা হয়, ‘তিউনিশিয়ার নারীদের আমরা অনেক মূল্যায়ন এবং সম্মান করি।’ তিউনিশিয়ার স্থানীয় সংবামাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই দুবাইগামী তিউনিশিয়ার নারীদের এমিরেটসের ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হয়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে কয়েকজন নারী বলেছেন, তাদের ভিসা আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে বলে জানানো হয়েছে। এ কারণে তাদের যাত্রা বিলম্ব হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ‘আরব বসন্তের পর’ তিউনিশিয়া আরব আমিরাতের সাথে দেশটি সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে। বিবিসি ও আল জাজিরা।
No comments:
Post a Comment