এ রোগীদের প্রথমেই দৈনিক মোট ক্যালরি গ্রহণের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রতি কেজি ওজনের জন্য ৩৫-৪৫ ক্যালরি দিতে হয়। প্রোটিনজাতীয় খাদ্য নিয়ে এ ক্যালরি বাড়ানো যায় না।
প্রোটিন- প্রতি কেজি ওজনের জন্য ০.৫ গ্রাম প্রোটিন দিতে হয়। যাদের ডায়ালাইসিস হচ্ছে তাদের প্রতিদিন ১০০ গ্রাম প্রোটিন প্রয়োজন। প্রোটিন সীমিত করার জন্য উদ্ভিজ প্রোটিন যেমন জল, শিমের বিচি, বাদাম গ্রহণ না করা ভালো।
শর্করা- মোট ক্যালরির ৬০% এর বেশি যেন শর্করা না হয়।
চর্বি - পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড দিতে হবে। এটি পাওয়া যায়- সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, বাদাম, তিলের তেল থেকে। মাছ থেকেও এ তেল পাওয়া যায়।
পটাশিয়াম- এটি কমা বা বেড়ে যাওয়া দুটিই ক্ষতিকর। দীর্ঘদিনের কিডনি ফেইলিওর রোগীদের পটাশিয়াম বেড়ে যায়। ফলে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত ও হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। সবজিতে পটাশিয়াম থাকে। এটি কমানোর জন্য সবজি কেটে প্রায় দুই ঘণ্টা পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হয়।
সোডিয়াম ও পানি- উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম শরীরে পানি আনা, উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট ফেইলিওরের কারণ। এক লিটারের বেশি পানি গ্রহণ কাম্য নয়।
উৎকৃষ্ট খাবার- কিডনি ফেইলিওর রোগীদের উৎকৃষ্ট খাবার হচ্ছে মেথি, বহেরা।
No comments:
Post a Comment