মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশে সহায়তার অভিযোগে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন পুলিশ বেশ কয়েকজন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে আটক করেছে। মঙ্গলবার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের আটক করা হয়।
দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুকে সেরি মুস্তাফার আলী জানান, মানবপাচারের পেছনে ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান দূতাবাসের কর্মকর্তা ও মালয়েশিয়ায় বসবাসরত যেসব বাংলাদেশি জড়িত রয়েছে তাদের খুঁজে বের করতে অনুসন্ধানে নেমেছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। ঘটনাটি তদন্তের জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করে সেখান থেকে একটি দলকে তদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টির সুরাহা করতে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তদন্তের স্বার্থে অটককৃতদের পুত্রাজায়ার অভিবাসন বিভাগের সদর দফতরে আটক রাখা হয়েছে।
এদিকে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত দালাল থেকে শুরু করে মূল হোতা, এমনকি পুরো সিন্ডিকেটকে ধরতে মাঠে নেমেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ । দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশের পথগুলোকে চিহ্নিত করতে রয়েল মালয়েশিয়ান পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুস্তাফার আলী।
একটি সূত্র জানায়, ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত একটি সিন্ডিকেট জনপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত নিয়ে এ যাবত ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় ঢুকতে দিয়েছে। এই উপায়ে সিন্ডিকেটটি ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৮ মিলিয়ন রিঙ্গিত উপার্জন করেছে।
গত দুই বছরের একটি জরিপে দেখানো হয়েছে, এ পর্যন্ত প্রায় ১৮ মিলিয়ন রিঙ্গিত ঘুষ গ্রহণ করেছে মানব পাচারে জড়িত ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা। অন্য একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমিগ্রশন বিভাগের কম্পিউটারে অবৈধ অভিবাসীদের যে কালো তালিকা করা ছিল সেখান থেকেও বড় অঙ্কের বিনিময়ে কালো তালিকা থেকে তাদের বাদ দেয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment