Social Icons

Wednesday, January 31, 2018

ব্রাজিল কার্নিভ্যাল এ যোগ দিবেন বাংলাদেশী পর্যটকরাও ।


বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্নিভাল এটি। প্রতিবছর ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে এ কার্নিভাল হয়। প্রতিদিন কার্নিভালে প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষ সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। কার্নিভাল প্যারেডে বাহারি পোশাকে ঐতিহ্যবাহী নাচ, গান, ফূর্তি আর হুল্লোড়ের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মুখোশ, ফানুস, সাজসজ্জা উৎসবটিকে আরো রঙিন করে তোলে।

এবার ব্রাজিল কার্নিভ্যাল এ সারা পৃথিবীর পর্যটকদের সাথে থাকবেন বাংলাদেশী পর্যটকরাও । বাংলাদেশ ব্রাজিল দূতাবাস ও ব্রাজিল পররাষ্ট্র  মন্ত্রণালয় সুত্রে যানা যায় ২০১৮ ব্রাজিল কার্নিভ্যাল এ যোগ দিতে এরি মধ্যে ভিসা পেয়েছেন প্রচুর বাংলাদেশী ।অপেক্ষায় আছেন এখনও অনেকে।

সাম্বা মানেই ব্রাজিল। ব্রাজিল মানেই এখন সাম্বা। ব্রাজিলের আর সব সম্পদের চেয়ে বিশ্বব্যাপী বেশি পরিচিত সাম্বা। এটি এমনই এক নৃত্য সংগীত যার আকর্ষণীয় সুর আর ছন্দ, সঙ্গে বাদ্য যন্ত্রের মর্মস্পর্শী আওয়াজ আপনাকে সম্মোহিত করে ফেলবে।  ব্রাজিল আর সাম্বা যেন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে। আর সাম্বা বলতেই আমাদের সামনে যে চিত্রটি ফুটে ওঠে তাহলো অর্ধ বা তার চেয়েও বেশি অনাবৃত দেহের নারী বা নারীদের নৃত্য। অনেকের ধারণা সাম্বা নাচ অশ্লীলতানির্ভর। আসলে কিন্তু তা নয়। সাম্বা নাচের কিছুটা এবার বিশ্ববাসী সরাসরি দেখতে পেয়েছেন বিশ্বকাপ ফুটবলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সমাপনী অনুষ্ঠানে। মজার ব্যাপার হলো সাম্বা আর ব্রাজিল একাকার হয়ে গেলেও এর উৎপত্তি আফ্রিকায়। আফ্রিকান দাসদের এই নাচই এখন ব্রাজিলের ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনপ্রিয়তার দিক থেকেও তুঙ্গে। শুধু তাই নয়, নৃত্যের এই ধরন এখন বিভিন্ন দেশেও প্রসারিত হচ্ছে। মানুষের আগ্রহ বাড়ছে এর প্রতি। বছরের পর বছর এই নাচ ব্রাজিলিয়ানদের নিজস্ব সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। কার্নিভাল ব্রাসিলেইরোর একটি অংশ এখন সাম্বা। এটি এখন ব্রাজিলের জাতিগত ও সামাজিক সম্প্রীতিরও প্রতীকে রূপ নিয়েছে। ষোড়শ বা সপ্তদশ শতকে পর্তুগিজরা ব্রাজিলে কাজের জন্য আফ্রিকা থেকে দাস হিসেবে মানুষ কিনে আনতো। তারা সাধারণত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বাহিয়া রাজ্যে বসবাস করতো। ১৮৮৮ সালে ব্রাজিলে দাস প্রথা নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর দাসদের অনেকে ছড়িয়ে পড়ে দেশের নানা এলাকায়। বিশেষ করে দক্ষিণের সবচেয়ে বড় শহর রিওতে এসে তারা আস্তানা গাড়তে থাকে। এখন সাম্বার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে গেছে এই রিও। 
সাম্বা নাচ কবে কোথায় শুরু হয়েছিল এর নির্দিষ্ট কোন ইতিহাস পাওয়া যায় না। এ নিয়ে রয়েছে ‘নানা মুনির নানা মত’। তবে একটা বিষয়ে কারও দ্বিমত নেই যে, এটি আফ্রিকান কৃতদাসরাই ব্রাজিলে এর প্রচলন করে। সাম্বা আফ্রিকানদেরই সংস্কৃতির অংশ। ওই সব কৃতদাসরা নানা ধর্মীয় ও ঐতিহ্যগত অনুষ্ঠানে সাম্বা নাচের মাধ্যমে আনন্দ করতো। সাম্বা কেবল শারীরিক কসরতই নয়, এর সঙ্গে বাদ্য যন্ত্রের শব্দ ও ছন্দের বিরাট প্রভাব রয়েছে। বাদ্য যন্ত্রগুলোর মধ্যে পান্ডেইরো, রেকো রেকো, টামবরিম ও কুইকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই যন্ত্রগুলো এক ধরনের শব্দ ও কম্পন তৈরি করে; যা হৃদয়কে ছুঁয়ে যায় সহজেই। 

ব্রাজিলে আসতে শুরু করেছে পর্যটকরা । ৯ তারিখ থেকে রিও ডি জেনেরিওতে শুরু হবে কার্নিভাল।


ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখ থেকে রিও ডি জেনেরিওতে শুরু হবে কার্নিভাল। চলবে ১৪ তারিখ পর্যন্ত। আসন্ন রিও কার্নিভালে বিদেশি অতিথিদের আতঙ্ক দূর করতে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, কানাডা সহ বেশ কটি দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে রিও শহর কর্তৃপক্ষ। রিওর স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে ঝর্ণা ও বনের আশে পাশে ভ্রমণ করতে সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে অতিথিদের।

ব্রাজিলে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ‘ইয়েলো ফিভার’ বা পীতজ্বর। এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে ৫৩ জনের। এখন পর্যন্ত ১৩০ জন ইয়েলো ফিভারে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রাজিলের স্বাস্থ্যবিভাগ।
তবে এরই মধ্যে ব্রাজিলে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা । ভির করছে ব্রাজিলের বিভিন্ন হোটেল গুলোতে । বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্নিভাল এটি। প্রতিবছর ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে এ কার্নিভাল হয়। পৃথিবী বিখ্যাত এ কার্নিভালের ইতিহাস দুইশ বছরের পুরোনো।ব্রাজিলের ধর্মীয় উপসনারে চারদিন পূর্ব থেকে এই কার্নিভাল শুরু হয়।যদিও এই কার্নিভাল ব্রাজিলের বিভিন্ন অঞ্চলে হয় কিন্তু রি ডিও জেনেরিও কে কার্নিভালের রাজধানী বলা হয়।কার্নিভাল শনিবার শুরু হয়ে ঠিক মঙ্গলবার শেষ হয়ে যায়, বুধবার থেকে ব্রাজিলের ধর্মীয় পর্ব শুরু হয়।রিও কার্নিভাল বরাবরই পর্যটকদের কাছে ভিষণ আকর্ষনের বিষয়।


বর্তমানে যে কার্নিভাল সম্পর্কে আমরা জানি সেটা মূলত ইউরোপীয়ান কার্নিভালের কায়দায় উৎসব কে আরো সুসজ্জিত করার লক্ষ্যে শুরু হয়।মুখোশ এবং দামি পোশাক পরে শহরের অভিজাতরা তাদের খোলা বাহনে করে রাস্তায় নেমে আসে এবং প্যারেডে অংশগ্রহণ করে।সকালের প্রথম প্রহর থেকে সারাদিন ব্যাপী নাচ,গান,খাওয়া দাওয়া এবং পান করার মধ্যে দিয়ে উৎসব পালিত হয়।সমস্ত মানুষ রাস্তায় নেমে আসে এবং নাচ,গান ও আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে এবং এই নৃত্য গীতই আমাদের কাছে সাম্বা প্যারেড নামে পরিচিত।মানুষ উজ্জ্বল রঙিণ পোশাকে সজ্জিত হয়ে এই প্যারেডে অংশগ্রহণ করে।প্যারেডে প্রদর্শিত সাম্বা নৃত্য লাতিন আমেরিকার বিখ্যাত নৃত্য।যা সারা বিশ্বব্যাপী পরিচিত।

ব্রাজিলে ইয়েলো ফিভারে প্রাণ গেল ৫৩ জনের

ব্রাজিলে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ‘ইয়েলো ফিভার’ বা পীতজ্বর। এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে ৫৩ জনের। এখন পর্যন্ত ১৩০ জন ইয়েলো ফিভারে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রাজিলের স্বাস্থ্যবিভাগ।
তবে শহরাঞ্চলে এখন পর্যন্ত কোনো রোগী শনাক্ত করা হয়নি দাবি করে বলা হয়, আক্রান্তদের প্রায় সবাই প্রত্যন্ত অঞ্চলের নাগরিক। এরই মধ্যে রোগের প্রকোপ কমাতে দুই কোটি ব্রাজিলিয়ানকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে বলেও জানানো হয়। পাশাপাশি পর্যটকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।

ধর্ষণের অভিযোগে তারিক রামাদান গ্রেফতার

ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক তারিক রামাদান। দুইজন নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্যারিস থেকে বুধবার তাকে গ্রেফতার করে ফরাসি পুলিশ।
ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে। পত্রিকাটি আরও জানায়, পুলিশের এক সূত্র বলেছে প্রভাবশালী এই ইসলামি চিন্তাবিদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে।
কয়েক মাস আগে ফ্রান্সের দুই নারী রামাদানের বিরুদ্ধে অতীতে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেন। তবে ৫৫ বছর বয়সী রামাদান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। অভিযোগকারী এক নারী হেন্দা আয়ারির বিরুদ্ধে তিনি মানহানির মামলাও করেছেন তারিক।
মিশরের সাবেক ইসলামপন্থী নেতা হাসান আল বান্নার নাতি তারিক রামাদান সুইডেনে বেড়ে ওঠলেও তিনি ফ্রান্সের নাগরিক। মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম বিভিন্ন দেশে তিনি বেশ পরিচিত মুখ। পশ্চিমা সমাজেও তার পরিচিতি উল্লেখযোগ্য।

সৌদি আরবে দুই বাংলাদেশির মৃত্যু

সৌদি আরবের জেদ্দায় আবুল কাশেম (৪৫) ও দাম্মামে হারুনুর রাশিদ (৫৫) নামে দুই প্রবাসী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। 
 
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে আবুল কাশেম জেদ্দা শহরে তার নিজ রুমে ঘুমের মধ্যে মারা যান। তার ভগ্নিপতি আনোয়ার জাহিদ এ কথা জানান। আবুল কাশেমের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ। পিতার নাম মৃত আমিন উল্যাহ মাঝি।
 
অপর বাংলাদেশি হারুনুর রাশিদের রুমমেট হাসান জানান, শনিবার সকালে ফজরের নামাজের পর ঘুমাতে গিয়ে তিনি আর ঘুম থেকে ওঠেননি। ঘুমে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
 
হারুনুর রশিদ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার নুওয়াগাউ, হাজিবাড়ি গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সৌদিতে আছেন। নিহতদের লাশ স্থানীয় হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে।

আর লটারিতে নয়, মেধার ভিত্তিতেই মার্কিন ভিসা দেয়া হবে: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পেছনে পুরাতন অভিবাসন নীতিকে দায়ী করে তা সংস্কারে নতুন আইনের প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ রুখতে অভিবাসন নীতির সংস্কারের উপরেই জোর দিলেন তিনি।
 
স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে তিনি প্রস্তাব করেন, ‘লটারির মাধ্যমে নয়, মেধার ভিত্তিতেই অভিবাসীদের ভিসা দেয়া হোক।’ মার্কিন কংগ্রেসে এই মর্মে আইন তৈরির আর্জিও জানালেন। ট্রাম্পের মতে, সাম্প্রতিককালে নিউ ইয়র্কে দু’টি জঙ্গি হামলার পিছনে রয়েছে অভিবাসন নীতির শিথিলতা। লটারির মাধ্যমে গ্রিন কার্ড বিলি করার মতো নিয়ম রদ করার উপর জোর দিয়েছেন তিনি। পরিবর্তে ভিসা পেতে আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতাকেই মূল মানদণ্ড হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব করেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘মেধানির্ভর অভিবাসন নীতির পথে এগোনোর সময় এসেছে। যারা দক্ষ, কাজ করতে চান, সমাজের উন্নতিতে অবদান রাখতে চান বা আমাদের দেশের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা রয়েছে, তাদেরই স্বীকৃতি মিলবে।’
অভিবাসন নীতির সংস্কারে নিজের প্রস্তাবে মূলত চারটি দিকের কথা উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রথমত ১৮ লক্ষ বেআইনি অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয়ার রাস্তা সহজ করা হবে। যারা কম বয়সে মা-বাবা বা কোনো আত্মীয়ের সঙ্গে বেআইনিভাবে এদেশে ঢুকেছেন, তারা যদি শিক্ষা এব‌ং কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তপূরণ করতে পারেন, নৈতিক চরিত্র ভালো হলে তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত, বেআইনি অভিবাসীদের মুখের উপর আমেরিকার দরজা বন্ধ করতে দেশের দক্ষিণ সীমান্ত বরাবর দেয়াল তোলার কথাও এদিন উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। অভিবাসন আইনের ফাঁকফোকর গলে দেশে যাতে অপরাধী ও সন্ত্রাসবাদীরা না ঢুকতে পারে, সেদিকে নজর দেওয়াই এই প্রস্তাবের লক্ষ্য বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তৃতীয়ত, লটারির মাধ্যমে ভিসা দেয়ার নীতি থেকেও সরতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে গ্রিন কার্ড আবেদনকারীর শিক্ষাগত বা পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষার দিকটিও নিশ্চিত করা যাবে বলে মনে করে সরকার। চতুর্থত, বর্তমান আইন অনুযায়ী, একজন অভিবাসী পরিবারের একাধিক সদস্য এমনকি দূরসম্পর্কের আত্মীয়দের সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখতে পারেন। নতুন প্রস্তাবে সেই প্রথা বন্ধ হবে। ট্রাম্পের প্রস্তাব, অভিবাসীরা পরিবারের কতজন সদস্য বা শিশুদের সঙ্গে নিয়ে আমেরিকায় আসতে পারবেন, সেই সংখ্যাতে রাশ টানা হবে। বিবিসি ও সিএনএন।

বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কারাগারে


হাইকোর্ট এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার মামলায় গ্রেফতার হওয়া বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে এই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের ছেলে দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
 
মঙ্গলবার বিকালে হাই কোর্ট এলাকায় সংঘর্ষের পর গ্রেপ্তার বিএনপির ৩৬ জনকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। বুধবার বিকালে ঢাকার হাকিম আদালতে পাঠায় পুলিশ। গয়েশ্বর ও অমিত জামিন চাইলে তা নাকচ করে মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসান একজনকে কারাগারে এবং অন্যজনকে পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
 
আদালতে হাজিরা দিয়ে খালেদা জিয়ার ফেরার পথে হাইকোর্ট এলাকায় বিএনপিকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘাত বাঁধে। ওই সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে পেটানোর পাশাপাশি তাদের গাড়ি ও অস্ত্র ভাংচুর করা হয়।
 
পুলিশের কাজে বাধা, হত্যাচেষ্টা, চুরি ও বেআইনি সমাবেশের অভিযোগে শাহবাগ থানায় দু’টি এবং রমনা থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।

চার মামলায় আসামি ৯০০ বিএনপিতে গ্রেফতার আতঙ্ক


*অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীর বাসায় তল্লাশি, বাসা ছেড়েছেন বহু নেতা *গয়েশ্বর-রিজভী-খোকনকে নির্দেশদাতা করে রমনা শাহবাগ থানায় তিন মামলা *ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার চলছে *গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর পরিকল্পিত : পুলিশ কমিশনার *গয়েশ্বর রায় কারাগারে
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপিতে অস্থিরতা ও মারমুখি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় কঠোর হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের সামনে পুলিশের ওপর আক্রমণ ও প্রিজনভ্যান ভাঙচুর করে তিন নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার পর গতকাল বুধবারও পুলিশের সঙ্গে একই স্থানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার পর থেকে হঠাত্ তীব্র চাপের মুখে পড়েছে দলটি। গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে নেতাদের মধ্যে। গত দুই দিনে গ্রেফতার হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ঢাকা মহানগরীর সভাপতি রাজিয়া আলিম, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন শাহাদাত্, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জাব্বারসহ শতাধিক নেতা-কর্মী।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতারের জন্য অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীর বাসায় অভিযান চালিয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশের ওপর হামলা, অস্ত্র ভাঙচুর, আসামি ছিনতাই, রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন ও আইন-শৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগ এনে পুলিশ বাদি হয়ে শাহবাগ থানায় দুইটি ও রমনা থানায় দুইটি মামলা করেছে। চার মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ ৮ থেকে ৯শ নেতা-কর্মীকে। রমনা থানার মামলায় গয়েশ্বর ও মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ শীর্ষ ৪৪ বিএনপি নেতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে শাহবাগ থানায় দুইটি মামলায় রিজভীসহ শীর্ষ নেতাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের  মধ্যে বিভিন্ন মেয়াদে ৫৩ জনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আর কারাগারে পাঠানো হয়েছে গয়েশ্বর রায়কে।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলার ভিডিও ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার চলছে। যারা জড়িত তারা কেউ রেহাই পাবে না। এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া গতকাল বলেছেন, পুলিশের গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ছিলো পরিকল্পিত।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে গয়েশ্বর রায় গ্রেফতার হওয়ার পর বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা নিজেদের বাসা-বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন। এর রেশ পড়ে গতকাল বুধবারও। আদালতে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাজিরাকে কেন্দ্র করে অন্য সময় নেতাকর্মীরা শোডাউন করলেও গতকাল এর মাত্রা ছিল অনেকটাই কম।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, মঙ্গলবার রাতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের বাসভবনে পুলিশ হানা দেয়। এছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও আইনজীবী রফিক সিকদার, সাবেরা আলাউদ্দিন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আজিজুল হাকিম আরজুর বাসাসহ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর বাসায় পুলিশ তল্লাশির নামে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। এছাড়া রুহুল কবির রিজভী গতকাল রাতে জানিয়েছেন, দলের আরো ৮ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

হামলা পরিকল্পিত!: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে হাইকোর্টের সামনে পুলিশের গাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। প্রশিক্ষিত একদল দাঙ্গাবাজ দিয়ে এ হামলা চালানো হয়। আর এ হামলার পরিকল্পনার ছক তৈরি করা হয় কয়েকদিন আগেই। সে কারণে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে আগেই জড়ো করা হয়েছিল প্রশিক্ষিত দাঙ্গাবাজদের। ঘটনার দিন পুলিশের হাতে আটক হওয়া কয়েকজন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা।

মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, হামলার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত। ভিডিও ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে। তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে হামলার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের নাম বলতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।

ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, হামলার পর পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছে। কারণ হামলাকারীরা চাইছিল পুলিশ কঠোর অ্যাকশনে যাবে। আর ওই অ্যাকশনের মধ্যে বিএনপি একটি ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করবে। তিনি বলেন, হামলাকারীরা সবাই প্রশিক্ষিত। কারণ পুলিশের ওপর হামলার ধরন দেখেই তা অনুমান করা যায়। পাশাপাশি গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্যই দিয়েছে। পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের উপর যে ধরনের হামলা হয়েছে তার প্রত্যেকটির সঙ্গে এ হামলার মিল রয়েছে। তিনি বলেন, হামলার নেপথ্য পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা গেলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।

গয়েশ্বর কারাগারে: বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার বিকালে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহমুদুল ইসলাম জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার  রাতে গুলশান-১ পুলিশ প্লাজার সামনে থেকে গয়েশ্বরকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে গতকাল দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

ফখরুলের বিবৃতি: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল রাতে এক বিবৃতিতে নেতাকর্মীদেরকে অব্যাহত গতিতে গ্রেফতারের পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে হামলা ও তল্লাশির ঘটনাকে সরকারের এক ভয়ঙ্কর জুলুম হিসেবে চিহ্নিত করে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বলেন, ‘ভবিষ্যত্ দুরভিসন্ধিমূলক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বিরাট বাধা হিসেবে গণ্য করে সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নিষ্ঠুর নিপীড়ন ও অত্যাচারের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। আজিজুল বারী হেলালের ন্যায় দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় নেতাকে বাসা থেকে উঠিয়ে নেওয়ার পরও তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশের অস্বীকৃতি জানানো অত্যন্ত আতঙ্কজনক। আমি এই ন্যক্কারজনক ও অমানবিক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে তার অবস্থান সর্বসম্মুখে অবহিত করে মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।

রাষ্ট্রপতি পদে আবদুল হামিদকেই মনোনয়ন

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

 বুধবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সভায় এ মনোনয়ন দেওয়া হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

Tuesday, January 30, 2018

'কপাল পুড়ল' সৌদিতে কর্মরত ১২ পেশার প্রবাসীদের

সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে নির্দিষ্ট কিছু দোকানে প্রবাসীদের কাজের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণায় দেশটিতে প্রবাসীদের শ্রমবাজার সঙ্কুচিত হচ্ছে।
সৌদি গেজেট জানিয়েছে, সৌদিকরণের ধারাবাহিকতায় ১২ রকমের দোকানে কেবল সৌদি নাগরিকরাই কাজ করতে পারবেন।
এসব দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে সব ধরনের পোশাক তৈরির কাপড়ের দোকান, আওয়ানি মঞ্জিলিয়া বা তৈজসপত্রাদির, গাড়ির যন্ত্রপাতির দোকান, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও বিদ্যুৎ চালিত সামগ্রী, হাসপাতাল সামগ্রী এবং চকলেট বা মিষ্টান্ন জাতীয় পণ্যের দোকান।
এছাড়া গাড়ির বিক্রয় কেন্দ্র, বাড়ি বা গৃহ নির্মাণ সামগ্রী, চশমা, ঘড়ি, কার্পেট ও পাপোশ জাতীয় পণ্য এবং আসবাবপত্র বা ডেকোরেশনের দোকানেও প্রবাসীরা কাজ করতে পারবেন না।

সৌদি আরব থেকে বছরে ২ হাজার ৯২২ মিলিয়ন রেমিট্যান্স

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, সৌদি আরব থেকে প্রতিবছর গড়ে ২ হাজার ৯২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসছে। জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে গোলাম দস্তগীর গাজীর (নারায়ণগঞ্জ-১) প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। 
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী সৌদি আরব থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ হাজার ১১৮ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ হাজার ৩৪৫ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৯৫৫ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৬৬৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 
এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এক হাজার ২০২ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী আরো জানান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ছাড়পত্র নিয়ে সৌদি আরবেই  সর্বাধিক ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৭১ কর্মী কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে গত বছর গিয়েছে ৫ লাখ ৫১ হাজার ৩০৮ জন। এছাড়া বর্তমানে বিশ্বের ১৬৫ দেশে এক কোটি ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯৪৩ জন বাংলাদেশী কর্মী রয়েছে। 
তিনি আরো জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে তারা দেশে ৬ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিলো ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। 
বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে ২০১৭ সালে রেকর্ড সংখ্যক ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন কর্মী বিদেশে গিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অদক্ষ কর্মীর তুলনায় দক্ষ কর্মীর অভিবাসন ব্যয় কম, চাহিদা ও বেতন বেশী। 
৮ বছরে ১৩১টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা:
বেগম রোকসানা ইয়াসমীন সুইটির প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রতরণার দায়ে বিগত ৮ বছরে ১৩১টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ২০১০ সালে ২৬, ২০১১ সালে ২২, ২০১২ সালে ১৬, ২০১৩ সালে ১৭, ২০১৪ সালে ১৩, ২০১৫ সালে ১২, ২০১৬ সালে ১১ এবং ২০১৭ সালে ১৪টি এজেন্সি বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এগুলোর লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে বহু এজেন্সির জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। 

মুসলিম নারীদের জন্য ছেলেদের ফুটবল খেলা দেখা হারাম

ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার মুফতি আতহার কাসমি মুসলিম নারীদের জন্য ছেলেদের ফুটবল খেলা দেখা হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছেন। কারন হিসেবে তিনি বলেছেন, ছেলেরা উরু বের করে ফুটবল খেলে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। 
গত শুক্রবার জুমা নামাজের খুতবায় তিনি এই ফতোয়া জারি করে বলেন, পুরুষ ফুটবলারদের হাঁটু খোলা থাকে, যা ইসলামি রীতির বিরোধী। তাই মুসলিম নারীদের জন্য পুরুষদের ফুটবল খেলা দেখা হারাম।
এ সময় মুসলিম স্বামীদেরও সমালোচনা করে  তিনি বলেন, আপনাদের কোনো লজ্জা নেই? আপনারা আল্লাহকে ভয় করেন না? আপনাদের স্ত্রীদের এ ধরনের বিষয় দেখতে দিচ্ছেন।
কাসমি আরও বলেন, নারীরা ফুটবলারদের উরুর দিকে তাকিয়ে কী পাবে। তারা শুরু পুরুষ ফুটবলারদের উরুর দিকেই চেয়ে থাকবে। এমনকি গোল করার মুহূর্তটাও মিস করবে তারা।
১৫০ বছরের পুরনো সুন্নি হানাফিপন্থী দারুল উলুম দেওবন্দ ভারতের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত। বিশ্লেষকদের অভিযোগ ইসলামের কঠোর ব্যাখ্যার কারণে প্রতিষ্ঠানটি তালেবানের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর মতাদর্শিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ওসির ঘুষ নেয়ার ভিডিও আদালতে

কুষ্টিয়ায় দৌলতপুরে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে থানার ওসি শাহ দ্বারা খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী।
কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলি আদালত-২ (দৌলতপুর) এর বিচারক এমএম মোর্শেদের আদালতে সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
দৌলতপুর উপজেলার মাঝদিয়ার কারীতলা গ্রামের মৃত ছফির উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলার সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের মোবাইল ভিডিও আদালতে দাখিল করা হয়েছে। মামলা নং ৩৭/২০১৮।
ভুক্তভোগীর দেয়া অভিযোগটি আমলে নিয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারকে আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন বিচারক এমএম মোর্শেদ।
মামলার বাদী জিয়াউর রহমান জিয়া তার এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ২৭ জুন রাত ৮টায় পারিবারিক কলহ নিষ্পত্তির কথা বলে দৌলতপুর থানায় ডেকে পাঠান ওসি শাহ দ্বারা খান। তিনি সমস্যার সমাধান না করে আচমকা থানার এক পুলিশ সদস্যকে হুকুম দিয়ে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে হাজতে ঢুকিয়ে দেন তাকে।
এরপর ওসি ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং দাবিকৃত টাকা না দিলে হত্যা মামলার আসামি দেখিয়ে আদালতের সোপর্দপূর্বক রিমান্ডে এনে ক্রসফায়ারে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন। উপায়ান্তর না পেয়ে প্রাণ বাঁচাতে পরিবারের লোকজন ডেকে ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১টায় ওসি শাহ দ্বারা খানকে ২০ হাজার এবং পরদিন ২৮ জুন দুপুর ১২টায় বাকি টাকা পরিশোধ করে থানা থেকে ছাড়া পান। এ সময় ওসির সঙ্গে টাকা লেনদেনের পুরো ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী রাখা হয়।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি শাহ দ্বারা খানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, গত বছর জুন মাসের ঘটনায় এত দিন পর মামলা করেছে এমন বিষয় সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। শুনলাম, দেখি আসলে ঘটনা কী? খোঁজখবর নিচ্ছি।

ফ্রান্সে গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশি, আতঙ্কে প্রবাসীরা

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের নিকটবর্তী বাংলাদেশি-অধ্যুষিত গার সার্সেল এলাকায় জাবের আহমদ নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশির গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো সোমবার কাজ থেকে ফেরার পথে একদল আফ্রিকান সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে আহত হন সিলেটের গোলাপগঞ্জ এলাকার জাবের।
খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী গণেশ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ডাক্তাররা তাকে বিশ্রামের থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
এর আগেও ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় সন্ত্রাসীরা গুলি করে গুরুতর আহত করেছিল সিলেট এর গোলাপগঞ্জ এলাকায় রুহুল আমিন নামে এক প্রবাসীকে।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে প্রবাসীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
পাশাপাশি তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রবাসীরা জানায়, গার সার্সেল, সেন্ট ডেনিস, বারভেজ, লা কনোভ, ক্যাথ সীমাসহ প্যারিসের ভেতরে কয়েকটি এলাকায় প্রায় বাংলাদেশিদের আফ্রিকান ও আরবি সন্ত্রাসীদের দ্বারা ছিনতাই, হুমকি ও মারধরের ঘটনা ঘটছে।
বাংলাদেশিরা ভালোভাবে ফ্রান্সের স্থানীয় ভাষা না জানার কারণে প্রশাসনকে সমস্যার কথা বোঝাতে পারেন না। এর ফলে তারা সঠিক সহযোগিতা পায় না। এর ফলে বাংলাদেশিদের ওপর গুলির মতো ঘটনা ঘটছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
এ ধরনের হামলার শিকার নোয়াখালীর হালিম জানান, তিন দিন আগে কাজ থেকে ঘরে ফেরার সময় সেন্ট ডেনিস গারে আরবি সন্ত্রাসীরা পেছন থেকে তার মাথায় বাড়ি মারে, কোনো কিছু বোঝার আগেই তার স্যামসাং এস এইট মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে হালিম জানান, ফ্রান্সে ব্যাঙের ছাতার মতো বাংলাদেশ কমিউনিটির নামসর্বস্ব শতাধিক সংগঠন থাকলেও দু-একটি ছাড়া প্রবাসীদের অধিকার ও সমস্যা নিয়ে জোরালো দাবি করার মতো কেউ নেই।
নতুবা এ ধরনের ঘটনার পর হাজারও প্রবাসী নিয়ে জোরালো প্রতিবাদ হলে বাংলাদেশিদের ওপর বারবার এমন হামলা হতো না।
ভুক্তভোগীরা বলেন, কমিউনিটিতে ফেসবুক ও মাইক্রোফোন হাতে হাজারও নেতা আছেন ঠিকই, কিন্তু সমস্যা নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার কেউ নেই।
তবে অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন (আয়েবা), বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ফ্রান্স (বিসিএফ), অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব, ইপিবিএ, প্যারিস বাংলা প্রেসক্লাবের নেতারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন এবং আহত জাবেরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।

ব্যবসা বান্ধব বাজারের দিকে ঝুঁকছে বাহরাইন প্রবাসী বাংলাদেশিরা

সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পরেই মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শ্রমবাজার বাহরাইন। দেশটিতে প্রায় আড়াই লক্ষ্যেরও অধিক বাংলাদেশি রয়েছে। যাদের বেশিরভাগ শ্রম ভিসা নিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করেছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বাংলাদেশিরা শ্রমিক হিসেবে পরিচিত পেয়ে আসলেও সে জায়গা থেকে বেরিয়ে আসছে বলে মনে করেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।
বাহরাইনের রাজধানী মানামাতে এক দশকের বেশি সময় বাস করছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী মো. মোজিবুর রহমান।তিনি জানান, একটা সময় ছিল যখন শ্রম ভিসা নিয়ে বাহরাইনে বাংলাদেশিরা প্রবেশ করলে নির্মান, গৃহকর্মী, কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ফোরমান ছাড়া অন্য কিছুই চিন্তা করতে পারতো না।কিন্তু সেই চিন্তা থেকে বর্তমানে বাংলাদেশিরা বেরিয়ে আসছে।
এখন বাংলাদেশিরা যারা যাচ্ছে এবং দীর্ঘদিন আসে তাদের অধিকাংশ ব্যবসা সাথে জড়িত হচ্ছে।রাজধানী মানামা এবং আশপাশের বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশিরা রেস্টুরেন্ট ও পাইকারি ও ফার্মের ব্যবসার সাথে জড়িত হচ্ছে। এর বাইরে বাহরাইনের বড় বড় মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে দু-একজন বাংলাদেশি দেখা মেলে।পাশাপাশি বাহরাইনের নাগরিকদের সাথে স্পন্সরশীপ নিয়ে হোটেল এবং ট্যুরিস্ট ব্যবসার সাথে জড়িত হচ্ছেন।
ফার্মিং ব্যবসায়ও বাংলাদেশিরা বেশ সুনাম কুড়াচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ী মোজিবুর। তবে উপযুক্ত ট্রেনিং এবং কারিগরী দক্ষতা থাকলে বাইরাইনে শ্রম ভিসার বাইরে নানা ধরণের কাজ রয়েছে।এসব সেক্টরে বাংলাদেশি শ্রমিকরা যদি প্রোপার ট্রেনিং নিয়ে বাহরাইনে প্রবেশ করে তাহলে রেমিটেন্স ও বাজার দখলে ভারতীয় ও নেপালীদেরকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

সৌদিতে ১২ ধরণের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবেন না প্রবাসীরা

সৌদি আরবে ১২ ধরণের প্রবাসীরা আর কাজ করতে পারবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় । সৌদিকরণের ধারাবাহিকতায় এই ১২ রকমের দোকানে কেবলমাত্র সৌদি নাগরিকরাই কাজ করবে । এছাড়া মন্ত্রণালয়  নারী-পুরুষ বিক্রেতাদের জন্য এ ধরণের দোকানগুলো নির্দিষ্ট করে দিয়েছে । এই কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং আরবি নতুন বছরে পুরোপুরি কার্যকর করা হবে বলে জানা গেছে ।
১.নারী-পুরুষ, শিশুদের রেডিমেট সব কাপড়ের দোকান ২. আওয়ানি মঞ্জিলিয়া বা ক্রোকারিজ সামগ্রীর দোকান ৩. গাড়ির শোরুম বা বিক্রয়কেন্দ্র ৪. গাড়ির পার্টসের দোকান ৫.বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং বিদ্যুৎ চালিত সামগ্রীর দোকান । ৬. হাসপাতাল সামগ্রী, যন্ত্রপাতির দোকান । ৭. চকোলেট বা মিষ্টান্ন জাতীয় দোকান ৮.বাড়ি বা গৃহ নির্মাণ সামগ্রী ৯. চশমার দোকান ১০. ঘড়ির দোকান ১১. কার্পেট, পাপোষ জাতীয় দোকান ১২. ফার্নিচার বা ডেকোরেশনের দোকান এই পেশাগুলোতে হাজার হাজার প্রবাসী যুক্ত । ব্যবসা এবং প্রবাসী চাকরির বাজার ক্রমে ধ্বসে যাওয়া ধারাবাহিকতায় এই ঘোষণা প্রবাসীদের শ্রমবাজারকে আরো বৃহদাকারে সঙ্কুচিত করলো ।

বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গ্রেপ্তার

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজার সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 
তিনি গুলশান চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে বৈঠক শেষে নিজ বাসায় ফিরছিলেন। তাকে মিন্টো রোডে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গয়েশ্চর চন্দ্র রায়ের ব্যক্তিগত সহকারী আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত ১২টার দিকে ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, তাকে (গয়েশ্বর চন্দ্র রায়) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কি কারণে বা কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলেননি।

বিদ্রোহীদের দখলে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, পালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীও

জ্বলছে ইয়েমেন। খোদ প্রেসিডেন্টের বাসভবনই দখলে নিয়ে নিল দক্ষিণ ইয়েমেনের বিদ্রোহীরা। অবস্থা এতটাই সংকটজনক যে, প্রাণে বাঁচতে পালানোর চেষ্টা করছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রীও। তিনি সৌদি আরবে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রেসিডেন্ট আগে থেকেই সৌদি আরবে আছেন।
রাতভর নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পরে মঙ্গলবার বিদ্রোহী দল সাউদার্ন ট্রানজিশন্যাল কাউন্সিল দখল নেয় এডেনে অবস্থিত ইয়েমেনের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস ‘মাশিক’-এর। এই সাউদার্ন ট্রানজিশন্যাল কাউন্সিল চেষ্টা করছে, গোটা দেশ থেকে দক্ষিণ ইয়েমেনকে পৃথক করার। দক্ষিণ ইয়েমেনের এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন জোগাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতও।
রবিবার থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ। তার আগে সাউদার্ন ট্রানজিশন্যাল কাউন্সিল দেশের সরকারকে ডেডলাইন দেয় ক্ষমতা ছাড়ার। সরকার তা না মানায় রবিবার তারা বিশাল বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করে। তীব্র সংঘর্ষ হয় সেনাদের সঙ্গে। ১২ সেনা সদস্য নিহত হয়। এছাড়া আরো ৩৬ জন নিহত এবং প্রায় দুই শ জন আহত হয়েছেন।
ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদে রাব্বুহু মনসুর আল হাদি এই ঘটনাকে ‘আকস্মিক অভ্যুত্থান’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন।
সৌদি আরব এবং আরব আমিরাত ও বাহরাইন গত তিন বছর ধরে ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট আবদে রাব্বুহু মনসুর আল হাদির দলকেই সহায়তা করে আসছিল। কিন্তু আরব আমিরাতের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট আবদে রাব্বুহু মনসুর আল হাদির কিছু ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল। তার জেরেই রবিবার সাউদার্ন ট্রানজিশন্যাল কাউন্সিলকে লেলিয়ে দেয় আরব আমিরাত।
হাদির সঙ্গে মিশরভিত্তিক মুসলিম ব্রাদারহুডের যোগাযোগ থাকায় তাকে সন্দেহের চোখে দেখত আরব আমিরাত। সৌদি আরব অবশ্য এই বিরোধে চুপ থেকেছে।

স্ট্রোকের ঝুঁকি? খান শাকসবজি...

শাকসবজি বিশেষত যেগুলো সবুজ সেগুলো দারুন স্বাস্থ্য-হিতকর। টাটকা ও সবুজ শাকসবজি বহু জটিল রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। 
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ টাটকা শাকসবজি রাখলে তা 'স্ট্রেস' কমাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এর ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে যায় অনেকটা। 
আমরা জানি, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জন্য এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর নাগরিক জীবনে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকিঁ থাকে আরো বেশি। বর্তমানে বিভিন্ন কারণে আমাদের মধ্যে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে গেছে। 
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেয়ে থাকেন, তাদের মধ্যে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি ৬৪ শতাংশ কম থাকে। 
এর ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকিও হ্রাস পায় অনেকটা। 
তাই, যদি স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে চান, তবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় টাটকা সবুজ শাকসবজি রাখুন, ভালো থাকুন।

তথ্যসূত্র: জি-নিউজ

ঘুরে আসুন শ্রীলঙ্কার নান্দনিক ৫টি স্থানে

ভ্রমণের জন্য সত্যিই অভূতপূর্ব একটি দেশ শ্রীলঙ্কা। ছোট দেশটিতে অনায়াসেই দেখতে পারবেন প্রকৃতি, পুরাতত্ত্ব, ভিন্ন স্বাদের খাবার এবং আরো অনেক কিছু। 

জেনে নিন শ্রীলঙ্কার কয়েকটি স্থানের কথা যেখানে শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, মিলবে প্রাচীন ইতিহাসের উদ্ভাসিত পুরাতত্ত্বের নিদর্শনও।

১. ত্রিনকোমালির কোনেসওয়ারাম টেম্পল
মধ্যযুগের এক দৃষ্টিনন্দন মঠ এটি। স্থাপত্যের অলংকরণ এখানে বিমুগ্ধতা এনে দেয়। মিথলজিতে নিয়ে যাবে দেয়ালের চিত্রকর্মগুলো। এর নিচেই পানিতে ডলফিনের ক্রীড়া উপভোগ করতে পারবেন।

২. কলম্বো
শ্রীলঙ্কার প্রাচীন ইতিহাসের পুরোটা উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে যদি যান 'দ্য ন্যাশনাল মিউজিয়াম'-এ। রয়েছে সমুদ্রমুখী গ্যালে ফেস গ্রিন। এটা সমুদ্রের ধারের এক শহুরে পার্ক। এখানে স্ট্রিট ফুডের ছড়াছড়ি। প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ স্বাস্থ্য পরিচর্যায় আসেন। ঘুড়ি ওড়াতেও আসেন অনেকে। 

প্রথমবারের মতো গেলে যা দেখবেন তাতেই চমকে যাবেন আপনি। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়বেন যখন চোখের সামনে দেখবেন গঙ্গারামাইয়া মঠ। বুদ্ধের হস্তনির্মিত মূর্তিতে পরিপূর্ণ এই মঠ। হাঁটা পথেই পৌঁছে যাবেন সিমা মালাকা মঠে। এর স্থাপত্যশৈলী মুগ্ধ করবে। ব্যস্ত শহরে অনাবিল আনন্দ এনে দেবে শ্রীলঙ্কার বিখ্যাত স্থপতি জিওফ্রি বাওয়ার নকশার করা এই মঠ দেখলে।

কলম্বো থেকে সাড়ে ৫ ঘণ্টার পথ পেরোলে পাবেন ত্রিনকোমালির ক্রমশ ফিকে হয়ে আসা অতীতের রাজনৈতিক অস্থিরতার ইতিহাস। এই বন্দর নগরী তার প্রাকৃতির সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠছে। এখানকার জলজ জীবন সত্যিই দেখার মতো। আর আছে পাখির রাজত্ব। স্টর্ক-বিলড কিংফিশার। ডাইভিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।

৩. দ্য রয়াল রক কেভ টেম্পলস অব ডাম্বুল্লা
সিগিরিয়া থেকে ১৫ কিলোমিটারের পথ। বোদ্ধদের উপাসনালয়গুলো না দেখা বড় ভুল হয়ে যাবে। গুহার ভেতরে এদের অবস্থান। এসব গুহার ইতিহাস খ্রিস্টপূর্ব ১ শতকের বলে মনে করা হয়। অনেকের বিশ্বাস, এই মঠগুলো পবিত্র প্রাচুর্যে ভরপুর। 

৪. সিগিরিয়া
হারবানা থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। সেই পঞ্চম শতকের এক পাথুরে পাহাড়ের ওপর তৈরি দুর্গ। এটা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকাভুক্ত এক স্থান। এক আগ্নেয়গিরির লাভা থেকে এর সৃষ্টি হয়েছে বলেই মনে করেন ভূতত্ত্ববিদরা।

৫. হাবারানা
ত্রিনকোমালি থেকে দেড় ঘণ্টার পথ। প্রকৃতির রোমাঞ্চ পেতে হাবারানার মতো স্থান আর হয় না। এখানকার ন্যাশনাল পার্কগুলোতে যত ঘুরবেন, কেবল বিস্ময়ে ছেয়ে যাবে মন। পাখি আর প্রাণীদের অবাধ বিচরণ স্থান এখানকার মিনেরিয়া এবং কাদুল্লা ন্যাশনাল পার্ক। এসব পার্কে ঘুরতে গাইডের সহায়তা নিতে পারেন। তারা এখানকার প্রাণীদের বিচিত্র আচরণ সম্পর্কে ধারণা দেবে।







গোয়া ভ্রমণের আগে জেনে নিন কিছু তথ্য


সোনালী কঙ্কন উপকূলে আরব সাগর জুড়ে বিখ্যাত গোয়া অবস্থিত। কঙ্কনী শব্দ ‘গোইয়ান’ থেকে এর নামকরণ হয়েছে যার অর্থ এক টুকরো লম্বা ঘাস, ভারতের শ্রেষ্ঠ পর্যটক আকর্ষণকারী স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম। এটা ‘প্রাচ্যের মুক্তা’ নামে সুপরিচিত। 

ভারতের অন্যতম শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ স্থানের অন্যতম। এখানে ভ্রমণের যথার্থ সময় নভেম্বর থেকে এপ্রিলl প্রায় ডজন খানেক মনোরম সৈকত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এখানে। ‘আগুয়াডা ফোর্ট’, ‘তাজ ফোর্ট’, বেশকিছু গির্জা, মন্দির আর বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য। প্রতি বছর প্রায় ত্রিশ লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক আসেন এসব সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে। 

অনেকেই হয়তো সেখানে গিয়েছেন। আর যারা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের জন্য কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হল....

১.দামি পোশাক ও গহনা পরতে সবারাই ভালো লাগে। কিন্তু আরাম-আয়েশে ছুটি কাটাতে এগুলো নেওয়ার তেমন প্রয়োজন পড়ে না। তা ছাড়া হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়ারও ভয় থাকে। 

২. ছায়ার জন্য হ্যাট বা ক্যাপ নিন, চশমা নিলে আরো ভালো। এগুলো আপনাকে তীব্র রোদ থেকে বাঁচাবে।

৩. আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খায় এমন পোশাক আর জুতো নিয়ে নিন। গোয়ার রাস্তা আর ফুটপাথ কিন্তু খুব বেশি মসৃণ নয়।

৪. যদি গ্রীষ্মে এই সমুদ্রসৈকতে ভ্রমণ করতে যান তবে অবশ্যই সানস্ক্রিন নিতে ভুল করবেন না। যদি নিতে ভুলেও যান তো সেখান থেকে কিনে নিন।

৫. বেশি বেশি নগদ অর্থ বহনের দরকার নেই। ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের ব্যবস্থা নিয়ে যান। এটা নিরাপদ উপায়।

৬. যথেষ্ট পরিমাণ পানি খেতে হবে নিয়মিত। লেবু-পানির তো তুলনাই নেই। অন্যান্য ফলের রস খাবেন পর্যাপ্ত পরিমাণে।

৭. সৈকতে অবস্থানের সময় সব সময় লাইফগার্ডের নির্দেশনা মেনে চলুন। সাগরের অনেক শান্ত ঢেউয়ে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে মন চায়। কিন্তু এটা কখন বিপজ্জনক হয়ে ওঠে তা লাইফগার্ডই বলতে পারেন।

৮. খাবার নিয়ে আপনার বাছ-বিচার থাকলে রেস্টুরেন্টের ওয়েটারের কাছ থেকে খাবার সম্পর্কে জেনে নিন।

মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় কলকাতা থেকে সরাসরি গোয়ায় ভ্রমণ করা যাবে। সময় লাগবে আড়াই ঘণ্টা। এক্ষেত্রে ট্রেনে কিংবা বিমানে করেও যেতে পারেন।

ঘুরে অাসুন থিম্পুর কয়েকটি দর্শনীয় স্থান থেকে

ভূটান এক অপার সৌন্দর্যের লিলাভূমি। নাম শুনলেই যেতে ইচ্ছে করে। কম খরচে অনেক কিছু উপভোগ করা যায়। তাই ভ্রমণ পিপাসুদের প্রথম পছন্দ এই আপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশটি। যারা ভূটান যাবেন বলে ঠিক করেছেন তাদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু গাইডলাইন।

সুবিশাল হিমালয়ের কল্যাণে উঁচু পর্বতমালা, ঘন বনজঙ্গল, সবুজ ভ্যালি ভূটানের প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের অর্ন্তগত। প্রকৃতির অকৃত্রিম মমতা এবং সবুজে ছাওয়া বিস্তৃত অঞ্চল পর্যটকদের কাছে মনোহরী। ভূটানের ‘ল্যাণ্ড অব দ্য পিসফুল থাণ্ডার ড্রাগনস’ শান্তিময় ভ্রমণের স্বর্গরাজ্য।

ভূটানের মোহময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ট্যুরিষ্ট অ্যাট্রাকশন যারা ভ্রমণ ভালোবাসেন-তারা কিছুতেই উপেক্ষা করতে পারেন না। সব মিলিয়ে সার্কভূক্ত ক্ষুদ্র এই রাষ্ট্র ভ্রমণ পর্যটকদের জন্য বয়ে আনতে পারে সুখকর এবং নতুন এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।

থিম্পু
প্রত্যেকটি রাষ্ট্রের রাজধানীকে সে দেশের সরকার দর্শনীয় স্থান হিসেবে উল্লেখযোগ্য করে গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। ভূটানের রাজধানী থিম্পুও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বরং বলা যায় সমস্ত ভূটানের সবথেকে আকর্ষণীয় এবং নান্দনিক সৌন্দর্যের অবস্থানই হলো এই থিম্পুতে। থিম্পু নদীর তীরে সিলভান ভ্যালিতে অবস্থিত এথনিক ভূটানিজ কলা, স্থাপত্যশিল্প, সংস্কৃতির পীঠস্থান। থিম্পুতে আছে ইউনিক ফ্লেভার যা আপনাকে এখানে আসতে বারবার বাধ্য করবে।

থিম্পুতে কী দেখবেন
সিমতোখা জং ১৬২৭ সালে তৈরি এই জং থিম্পু ভ্যালির গেটওয়ে। থিম্পুর সবথেকে পুরনো এই জঙয়ে আছে রিগনে স্কুল ফর জঙঘা এ্যাণ্ড মোনাষ্টিক ষ্টাডিস। ফ্রেশকো এবং স্লেট কার্ভিংস সিমতোখার বিশেষ আকর্ষণ।

থিম্পু জং - (ফোট্রেস অব দ্য গ্লোরিয়াস রিলিজিয়ন)- থিম্পু জং হলো ভূটানের রাজধানী থিম্পু শহরের প্রাণকেন্দ্র। ১৬৬১ সালে এটি তৈরি। এখানে আছে সরকারি ডিপার্টমেণ্ট,দ্যা ন্যাশনাল এসেম্বলি,রাজার থ্রোন রুম এবং সেন্ট্রাণ মনাষ্টিক বডির গ্রীস্মকালীন হেডকোয়ার্টাস।

মেমোরিয়াল কর্টেন - এটি মূলত স্মৃতিস্তম্ভ। ভূটানের তৃতীয় রাজা জিগমে দরজি ওয়াঙচুকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১৯৭৪ সালে এই স্তুপ তৈরি হয়েছিলো। এর ভেতরের বিভিন্ন পেইণ্টিং এবং স্ট্যাচু বৌদ্ধ 
ফিলোসফির প্রতিবিম্ব।

থিম্পু পুনাখা- দোচুলা পাস হয়ে ড্রাইভ করে পৌঁছানো যায় থিম্পু শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পুনাখায়। আকাশ পরিস্কার থাকলে ৩০৫০ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট এই পাস থেকে আপনি পৃথিবীর সর্বোচ্চ প্রাকৃতিক নির্দশন হিমালয়কেও দেখতে পারবেন। পুনাখা ভূটানের সবথেকে উর্বর ভ্যালি। আরো দেখতে পাবেন ফো ছু এবং মো ছু নদী। সেই সঙ্গে পুনাখা জং।

এছাড়াও রয়েছে ন্যাশনাল লাইব্রেরি,হ্যাণ্ডিক্রাফট এম্পোরিয়াম,পেন্টিং স্কুল এবং ট্রাডিশনাল মেডিক্যাল ইনষ্টিটিউট। কয়েক পা বাড়ালেই যেগুলো দেখে আসতে পারেন।

থিম্পুর বাইরে
পারো কেবল থিম্পুই নয়, প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থাপনার সাম্রাজ্য ভূটানে আরো অজস্র দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথমে হিমালয়ের কোলে অবস্থিত ছোট্র শহর পারোর কথা বলা আবশ্যক। পারো জুড়ে আছে নানারকম গল্পকথা। তাছাড়া এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও ভোলার মত নয়। বিশেষ করে বসন্ত ঋতুতে পারোর রুপ হয়ে ওঠে অতুলনীয় এবং দর্শন সুখকর। পারোতে দেখতে পাবেন পারো জং,ন্যাশনাল মিউজিয়াম। তবে পারোর সবথেকে বড় আকর্ষণ টাইগার্স নেষ্ট। 

এই মনাষ্ট্রি পারো থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে একটি ক্লিফের উপর অবস্থিত। হেঁটে ওঠার পথটিও খুব সুন্দর। ভূটান ট্যুরিজম দর্শনার্থীদের গলা ভেজাতে এখানে একটি সুন্দর কফি হাউজ তৈরি করে দিয়েছে। পারোতে অবশ্য থাকার ব্যবস্থা কম। ভুটান ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রিত একটি হোটেল অবশ্য আছে কিন্তু আপনাকে অবশ্যই আগে থেকে এই হোটেলে বুকিং দিয়ে রাখতে হবে। নইলে পরে একটু ঝামেলায় পড়বেন।

বুমথাং
বুমথাংকে বলা হয় ভূটানের আধ্যাত্মিক হুদয়ভূমি। কারণ,ভূটানের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জং,মন্দির এবং মহল এই অঞ্চলে অবস্থিত। এখানে এলে দেখতে পাবেন ওয়াংগডিচোলিং প্যালেস,জাম্বে লাখাং মন্দির,এবং সবথেকে বড় ভূটানিজ মন্দির জাকার। এর পাশাপাশিই একটু হাঁটলে দেখতে পাবেন হট এরিয়া। জার্নিটা একটু ধকলের হলেও যাবার পথটা খুবই সুন্দর। এই পথ আপনার ক্লান্তিময় জার্নিকে অনায়াসেই সুখকর করে তুলতে পারে। এই এলাকায় ব্লু শিপ,মাস্ক ডিয়ার,হিমালয়ান ভাল্লুক চোখে পড়তে পারে। সমস্ত বুমথাংয়ে একমাত্র জাকারেই ভালো রেস্তরাঁ পাবেন।

ট্রাভেল চেকলিষ্ট
কোথায় থাকবেন থিম্পুতে হোটেলের সংখ্যা খুব বেশি না হলেও থাকার সমস্যা হয় না। পাইনউড হোটেল বা রিভারভিউ হোটেলে থাকতে পারবেন। বেশিরভাগ হোটেলই পাওয়া যাবে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা। অধিকাংশ হোটেলই তৈরি হয়েছে ভূটানিজ ঐতিহ্যের ষ্টাইলে। এই হোটেলগুলিতে থাকলে পেয়ে যাবেন এথনিক গ্রামে থাকার ফ্লেভার।

খাওয়াদাওয়া
এখানে নিরামিষ খাবারের প্রচলন বেশি। ডর্টসি বা গরুর দুধের পনির এবং এমা ডর্টসি বা গলানো পনিরে রান্না করা লাল মরিচ এখানকার অত্যন্ত পছন্দের খাবার।

কীভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে বিমানে করে পারো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে চলে যান। পারো ঘুরে মিনিবাস করে থিম্পু পৌঁছে যাবেন। থিম্পু থেকে ভূটানের অন্যান্য শহরে যাতায়াতের ব্যবস্থা আছে।

কখন যাবেন
ভূটান যাবার সবথেকে ভালো সময় হলো বছরের অক্টোবর এবং নভেম্বর মাস। কারণ এ সময়টায় আকাশ পরিস্কার থাকে এবং পাহাড়,নদী,বনাঞ্চল বেশ ভালো পরিস্কার দেখা যায়। পাশাপাশি আবহাওয়াও ভালো থাকে এবং এই সময়টাতেই ভূটানের অধিকাংশ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।   


 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates