সোনালী কঙ্কন উপকূলে আরব সাগর জুড়ে বিখ্যাত গোয়া অবস্থিত। কঙ্কনী শব্দ ‘গোইয়ান’ থেকে এর নামকরণ হয়েছে যার অর্থ এক টুকরো লম্বা ঘাস, ভারতের শ্রেষ্ঠ পর্যটক আকর্ষণকারী স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম। এটা ‘প্রাচ্যের মুক্তা’ নামে সুপরিচিত।
ভারতের অন্যতম শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ স্থানের অন্যতম। এখানে ভ্রমণের যথার্থ সময় নভেম্বর থেকে এপ্রিলl প্রায় ডজন খানেক মনোরম সৈকত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এখানে। ‘আগুয়াডা ফোর্ট’, ‘তাজ ফোর্ট’, বেশকিছু গির্জা, মন্দির আর বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য। প্রতি বছর প্রায় ত্রিশ লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক আসেন এসব সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে।
অনেকেই হয়তো সেখানে গিয়েছেন। আর যারা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের জন্য কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হল....
১.দামি পোশাক ও গহনা পরতে সবারাই ভালো লাগে। কিন্তু আরাম-আয়েশে ছুটি কাটাতে এগুলো নেওয়ার তেমন প্রয়োজন পড়ে না। তা ছাড়া হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়ারও ভয় থাকে।
২. ছায়ার জন্য হ্যাট বা ক্যাপ নিন, চশমা নিলে আরো ভালো। এগুলো আপনাকে তীব্র রোদ থেকে বাঁচাবে।
৩. আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খায় এমন পোশাক আর জুতো নিয়ে নিন। গোয়ার রাস্তা আর ফুটপাথ কিন্তু খুব বেশি মসৃণ নয়।
৪. যদি গ্রীষ্মে এই সমুদ্রসৈকতে ভ্রমণ করতে যান তবে অবশ্যই সানস্ক্রিন নিতে ভুল করবেন না। যদি নিতে ভুলেও যান তো সেখান থেকে কিনে নিন।
৫. বেশি বেশি নগদ অর্থ বহনের দরকার নেই। ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের ব্যবস্থা নিয়ে যান। এটা নিরাপদ উপায়।
৬. যথেষ্ট পরিমাণ পানি খেতে হবে নিয়মিত। লেবু-পানির তো তুলনাই নেই। অন্যান্য ফলের রস খাবেন পর্যাপ্ত পরিমাণে।
৭. সৈকতে অবস্থানের সময় সব সময় লাইফগার্ডের নির্দেশনা মেনে চলুন। সাগরের অনেক শান্ত ঢেউয়ে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে মন চায়। কিন্তু এটা কখন বিপজ্জনক হয়ে ওঠে তা লাইফগার্ডই বলতে পারেন।
৮. খাবার নিয়ে আপনার বাছ-বিচার থাকলে রেস্টুরেন্টের ওয়েটারের কাছ থেকে খাবার সম্পর্কে জেনে নিন।
মাত্র পাঁচ হাজার টাকায় কলকাতা থেকে সরাসরি গোয়ায় ভ্রমণ করা যাবে। সময় লাগবে আড়াই ঘণ্টা। এক্ষেত্রে ট্রেনে কিংবা বিমানে করেও যেতে পারেন।
No comments:
Post a Comment