জ্বলছে ইয়েমেন। খোদ প্রেসিডেন্টের বাসভবনই দখলে নিয়ে নিল দক্ষিণ ইয়েমেনের বিদ্রোহীরা। অবস্থা এতটাই সংকটজনক যে, প্রাণে বাঁচতে পালানোর চেষ্টা করছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রীও। তিনি সৌদি আরবে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রেসিডেন্ট আগে থেকেই সৌদি আরবে আছেন।
রাতভর নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষের পরে মঙ্গলবার বিদ্রোহী দল সাউদার্ন ট্রানজিশন্যাল কাউন্সিল দখল নেয় এডেনে অবস্থিত ইয়েমেনের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস ‘মাশিক’-এর। এই সাউদার্ন ট্রানজিশন্যাল কাউন্সিল চেষ্টা করছে, গোটা দেশ থেকে দক্ষিণ ইয়েমেনকে পৃথক করার। দক্ষিণ ইয়েমেনের এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন জোগাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতও।
রবিবার থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ। তার আগে সাউদার্ন ট্রানজিশন্যাল কাউন্সিল দেশের সরকারকে ডেডলাইন দেয় ক্ষমতা ছাড়ার। সরকার তা না মানায় রবিবার তারা বিশাল বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করে। তীব্র সংঘর্ষ হয় সেনাদের সঙ্গে। ১২ সেনা সদস্য নিহত হয়। এছাড়া আরো ৩৬ জন নিহত এবং প্রায় দুই শ জন আহত হয়েছেন।
ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদে রাব্বুহু মনসুর আল হাদি এই ঘটনাকে ‘আকস্মিক অভ্যুত্থান’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন।
সৌদি আরব এবং আরব আমিরাত ও বাহরাইন গত তিন বছর ধরে ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট আবদে রাব্বুহু মনসুর আল হাদির দলকেই সহায়তা করে আসছিল। কিন্তু আরব আমিরাতের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট আবদে রাব্বুহু মনসুর আল হাদির কিছু ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল। তার জেরেই রবিবার সাউদার্ন ট্রানজিশন্যাল কাউন্সিলকে লেলিয়ে দেয় আরব আমিরাত।
হাদির সঙ্গে মিশরভিত্তিক মুসলিম ব্রাদারহুডের যোগাযোগ থাকায় তাকে সন্দেহের চোখে দেখত আরব আমিরাত। সৌদি আরব অবশ্য এই বিরোধে চুপ থেকেছে।
No comments:
Post a Comment