প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, সৌদি আরব থেকে প্রতিবছর গড়ে ২ হাজার ৯২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসছে। জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে গোলাম দস্তগীর গাজীর (নারায়ণগঞ্জ-১) প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী সৌদি আরব থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ হাজার ১১৮ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ হাজার ৩৪৫ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৯৫৫ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৬৬৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এক হাজার ২০২ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী আরো জানান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ছাড়পত্র নিয়ে সৌদি আরবেই সর্বাধিক ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৭১ কর্মী কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে গত বছর গিয়েছে ৫ লাখ ৫১ হাজার ৩০৮ জন। এছাড়া বর্তমানে বিশ্বের ১৬৫ দেশে এক কোটি ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯৪৩ জন বাংলাদেশী কর্মী রয়েছে।
তিনি আরো জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে তারা দেশে ৬ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিলো ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে ২০১৭ সালে রেকর্ড সংখ্যক ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন কর্মী বিদেশে গিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অদক্ষ কর্মীর তুলনায় দক্ষ কর্মীর অভিবাসন ব্যয় কম, চাহিদা ও বেতন বেশী।
৮ বছরে ১৩১টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা:
বেগম রোকসানা ইয়াসমীন সুইটির প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রতরণার দায়ে বিগত ৮ বছরে ১৩১টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ২০১০ সালে ২৬, ২০১১ সালে ২২, ২০১২ সালে ১৬, ২০১৩ সালে ১৭, ২০১৪ সালে ১৩, ২০১৫ সালে ১২, ২০১৬ সালে ১১ এবং ২০১৭ সালে ১৪টি এজেন্সি বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এগুলোর লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে বহু এজেন্সির জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
বেগম রোকসানা ইয়াসমীন সুইটির প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রতরণার দায়ে বিগত ৮ বছরে ১৩১টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ২০১০ সালে ২৬, ২০১১ সালে ২২, ২০১২ সালে ১৬, ২০১৩ সালে ১৭, ২০১৪ সালে ১৩, ২০১৫ সালে ১২, ২০১৬ সালে ১১ এবং ২০১৭ সালে ১৪টি এজেন্সি বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এগুলোর লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে বহু এজেন্সির জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
No comments:
Post a Comment