যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি: এ ইয়ার ইনসাইড দ্য ট্রাম্প হোয়াইট হাউস’ বইয়ের লেখক সাংবাদিক মাইকেল উলফ গত সপ্তাহে টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ট্রাম্প ও হ্যালির যৌন সম্পর্কের বিষয়ে তিনি সম্পূর্ণ নিশ্চিত। তার এ বক্তব্যের পর ট্রাম্পের সঙ্গে নিকি হ্যালির যৌন সম্পর্কের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এ অনৈতিক সম্পর্কের গুঞ্জন অস্বীকার করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। তিনি এ অভিযোগকে বিরক্তিকর ও অশোভন বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি মার্কিন ম্যাগাজিন পলিটিকো-কে বলেছেন, “এ কথা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা।”
নিকি হ্যালি বলেছেন, “ট্রাম্পের সরকারি বিমান ‘এয়ার ফোর্স ওয়ানে’ আমি আমার ব্যক্তিগত প্রচুর সময় ব্যয় করেছি বলে উলফ তার বইয়ে যে কথা বলেছেন তাতে একটি তথ্যগত ভুল রয়েছে।
হ্যালি বলেন, “আমি আক্ষরিক অর্থে এয়ার ফোর্স ওয়ানে একবার গিয়েছিলাম কিন্তু তখন ট্রাম্পের রুমে বেশ কয়েকজন লোক ছিল।” এছাড়া নিকি হ্যালি তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ওভাল অফিসে বহুবার কথা বলেছেন -এমন অভিমতও নিকি হ্যালি নাকচ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে কখনো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলিনি এবং আমি কখনো একা তার রুমে যাইনি।”
২০ বছর আগে নিকি হ্যালি বিয়ে করেছেন এবং তার দুই সন্তান রয়েছে। তিনি ছিলেন প্রথম কোনো নারী গভর্নর যিনি সাউথ ক্যারোলাইনাতে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তিনি বর্তমানে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করছেন। তার বিরুদ্ধে ছড়িয়ে পড়া গুঞ্জনকে তিনি সফল নারীর পথে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা বলে মন্তব্য করেন।
তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এক ডজনেরও বেশি নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন এবং ট্রাম্প তা অস্বীকার করেছেন। গত মাসে সিএনএন পরিচালত এক জরিপে দেখা গেছে- আমেরিকার শতকরা ৬১ ভাগ মানুষ বিশ্বাস করেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসব যৌন হয়রানি করেছেন তবে শতকরা ৩২ ভাগ মানুষ বলেছেন, এসব অভিযোগের বেশির ভাগই সত্য নয়।
No comments:
Post a Comment