মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ বা আমেরিকার পরিবর্তে ছোট দ্বীপদেশ মালদ্বীপে বাংলাদেশির অবস্থান দেখে অবাক হতে হয়। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের তুলনায় বাংলাদেশিদের সংখ্যাই বেশি। এ কারণে স্থানীয় বাসিন্দারাও কিছুটা অসন্তুষ্ট। দেশটিতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানায়, মাছ ও পর্যটনশিল্পের মাধ্যমে শুরু হয় ছোট্ট এই দ্বীপ রাষ্ট্রের উন্নয়ন। বর্তমানে দেশটি বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল পর্যটনকেন্দ্র।
উন্নয়নের এসব খাতে রয়েছে বাংলাদেশিদের ব্যাপক অংশগ্রহণ। মালদ্বীপ ছোট দেশ হলেও এখানে বৈধ-অবৈধ বাংলাদেশিদের সংখ্যা অসংখ্য। সে জন্য সমস্যাও অনেক। অবশ্য, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাজের মান নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা খুশি। যার জন্য প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশিদের কাজ করার সুযোগ দেয়। মালদ্বীপের স্থানীয় নাগরিকেরা তুলনামূলকভাবে শান্তিপ্রিয়। সংঘাত নেই বললেই চলে। নিজেদের প্রচেষ্টায় সীমিত সম্পদকে কাজে লাগিয়ে একটি সুন্দর সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। এ ক্ষেত্রে প্রবাসী বাঙালিদের অবদানও কম নয়। মালদ্বীপের বেশিরভাগ হোটেলের কর্মী বাংলাদেশি। জানা যায়, মালদ্বীপের জনসংখ্যা মাত্র সাড়ে ৩ লাখ হলেও সেখানে ৯০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি কাজ করে। মালদ্বীপের মানুষগুলো বাংলাদেশিদের ভালোবাসে।
তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্য, রাশিয়া, ইউরোপ আর চীনের কাছে ভ্রমণের জন্য খুবই আর্কষণীয় দেশ মালদ্বীপ। ফলে পর্যটক নির্ভর এ দেশের আয় খুব ভালো। মালদ্বীপে একজন বাংলাদেশি কর্মী মাসে দুইশ’ থেকে আটশ’ ডলার র্পযন্ত দেশে পাঠাতে পারে। আবার পর্যটকনির্ভর দেশে দেশ-বিদেশ থেকে বহু মানুষ আসায় তাদের সংস্পর্শে অনেকেই শিক্ষিত হয়ে যায়। শিখতে পারে নতুন নতুন ভাষা আর আচার-ব্যবহার। তবে দু:খজনক হলেও সত্যি, মালদ্বীপের সাথে বাংলাদেশের নেই কোন জনশক্তি রপ্তানি চুক্তি। আবার কূটনৈতিক সর্ম্পক যে খুব ভালো- তাও নয়।
তাই ওখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা খুবই প্রশ্নবিদ্ধ এবং কখনো কোন সমস্যা হলে স্বাভাবিকভাবেই তারা দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা পায় না।
No comments:
Post a Comment