আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে ১৫৫ কিলোমিটার দূরে নানগরহর প্রদেশের জালালাবাদের সেই তোরা বোরা পাহাড়ের পাদদেশেই থাকতেন আল-কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে জানা যায়, পর্বতের পাদদেশে স্থাপিত ঘরগুলোতে পরিবার নিয়ে থাকতেন ওসামা বিন লাদেন। সেখানে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতাদের। সেখানে বসেই গোপন কার্যক্রম চালাতেন আল-কায়েদার প্রধান।
সিএনএনে প্রকাশিত ছবিগুলো থেকে দেখা যায়, ঘরের ভেতরটায় আসবাব ছিল খুবই কম। মাটির দেয়ালে ঝুলতে দেখা যায়, একটি হারিকেন কিংবা দরকারি কোনো সামগ্রী।
কোনো কক্ষের মেঝেতে বিছানো থাকত মাদুর। নিজের কিংবা অতিথিদের ব্যবহারের জন্য সেগুলোই ব্যবহার করতেন আল-কায়েদার সাবেক প্রধান।
বাড়ির একটি কক্ষের শেলফে ছিল সারি সারি বই। সেখানে একটি চৌকিতে বসেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে কয়েকবার সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিন লাদেন। কথা বলার সময় ব্নি লাদেনের পাশে রাখা হতো এক বা একাধিক বন্দুক।
সিএনএনের অনুসন্ধানে জানা যায়, বিশ্বজুড়ে আল-কায়েদা আতঙ্ক ছড়ানোর আগেই এ ছবিগুলো তোলা হয়। এ ছবিগুলো তোলার কয়েক বছর পর আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হামলা চালায় আল-কায়েদা। এরও পরে যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় যুক্ত করা হয় বিন লাদেনকে।
২০০১ সালের শেষ দিকে ওই বাড়িগুলোর কাছাকাছি চলে গিয়েছিল মার্কিন সেনারা। সে সময় পালিয়ে রক্ষা পেয়েছিলেন ওসামা বিন লাদেন।
বাড়িটির পাশে ছিল গোপন সুড়ঙ্গপথ। বিপদে এই গুহা ব্যবহার করে নিরাপদে সরে যেতে পরিবার-পরিজনকে পরামর্শ দিতেন বিন লাদেন।
পর্বতবেষ্টিত ওই আস্তানায় দীর্ঘদিন নিরাপদে থাকলেও ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর সেটি বিপজ্জনক হয়ে যায় বিন লাদেনের জন্য। এরপরও তিনি দীর্ঘদিন সেখানে ছিলেন। পরে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের একটি দোতলা বাড়িতে আশ্রয় নেন আল-কায়েদার প্রধান। সেখানেই ২০১১ সালের ২ মে মার্কিন যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হন বিন লাদেন।
No comments:
Post a Comment