পৃথিবীতে প্রতিদিন হাজারটা ঘটনা ঘটে থাকে। তবে এসব ঘটনার ভেতরে সবসময় আমাদের আকর্ষণের সবটা জুড়ে থাকে অমীমাংসিত আর ভূতুড়ে ঘটনাগুলোই। এই যেমন- সেই চিরাচরিত জ্যাক দ্যা রিপার বা বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের অস্বাভাবিক রহস্য! কিন্তু আপনি কি জানেন যে, সম্প্রতি এরকমই কিছু হাজার বছরের রহস্যময় আর অমীমাংসিত ঘটনার সমাধান চলে এসেছে মানুষের হাতে? চলুন দেখে আসি সেই বিখ্যাত রহস্যের সমাধানগুলোকে।
১. শ্রাউড অব তুরিন
শ্রাউড অব তুরিন হচ্ছে একটি লিনেনের কাপড়। যেটার ওপরে থাকা মানুষের স্পষ্ট অবয়বের কারণে এতদিন ধরে মনে করা হত যে এটি কোন না কোন ভাবে যীশু খ্রীষ্টের সাথে জড়িত। বিশেষ করে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র এই কাপড়টি যীশু খ্রীষ্ট্রের মৃত্যুর পর তার শরীরে জড়িয়ে রাখা হয়েছিল বলে ধারনা ছিল সবার। তবে সম্প্রতি হাজার বছরের এই ভ্রান্ত ধারণা ও শ্রাউড অব তুরিনের রহস্যের সমাধান করেছেন অনুসন্ধানকারীরা। কার্বন ডেটিংএর মাধ্যমে কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে এই কাপড়টির বয়স। আর সেই অনুসারেই বলা যায় যে, এটি কোনভাবেই যীশুর সাথে জড়িত কিছু নয়। বরং তার চাইতে অনেক পরে ১২৬০ এডিতে তৈরি হয়েছিল কাপড়টি ( টেলিগ্রাফ )।
২. সাঁতার কাটা পাথর
ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালির রেসট্র্যাক প্লায়া খালটির পানি শুকিয়ে গিয়েছে অনেকদিন আগেই। কিন্তু এর ওপর দিয়ে কি করে যেন বেশকিছু ভারী পাথর মাঝে মাঝেই নিজে নিজেই গতিপথ পাল্টে কিংবা নিজের অবস্থান পাল্টে চলে যায় অনেকটা দূরে। কিন্তু কি করে এমনটা হয়? এতদিন ধরে এলিয়েন বা অতিপ্রাকৃত কোন কারণকেই দোষ দিয়ে এসে সকলে এই অমীমাংসিত রহস্যের কারণে। কিন্তু ২০০৬ সালে রালফ লরেঞ্জ নামের একজন বিজ্ঞানী কৌতুহলী হয়ে গবেষনা রেন ব্যাপারটিকে নিয়ে আর শেষমেশ সিদ্ধান্তে আসেন যে, মাঝে মাঝেই প্রচন্ড তাপমাত্রা কমে গেলে ডেথ ভ্যালির শুষ্ক পাথরের নীচ দিয়েও পানি আর বরফের স্রোত চলতে শুরু করে। আর এই বরফ বা পানির কারণেই প্রায়ই চলতে শুরু করে নিজের মতন এখানকার পাথরগুলো ( দি রিচেস্ট )।
৩. জ্যাক দ্যা রিপার
ব্রিটেনের বিখ্যাত এই সিরিয়াল কিলারের কথা কে না জানে! কিন্তু কেউ কখনো টিকিটাও ছুঁতে পারেনি এই খুনীর। বরং গরীব থেকে ধনী- সবাইকে নিজের শিকারে পরিণত করেছে জ্যাক। সম্প্রতি একটি নিলামে এক পুলিশ কর্মকর্তার পরিবার পুলিশ কর্মকর্তার পাওয়া জ্যাক দ্যা রিপারের হাতে খুন হওয়া ক্যাথরিন এডোউসের রক্তমাখা একটি শাল বেচেন। আর সেখান থেকেই সেটাকে কিনে নিয়ে পরীক্ষা করতে শুরু করেন রাসেল অ্যাডওয়ার্ডস। এবং খুব আশ্চর্যজনকভাবে তিনি খেয়াল করেন যে শালের রক্তের ডিএনএ মিলে যায় পুলিশের চোখে অনেকদিন ধরে পালিয়ে থাকা কুখ্যাত অপরাধী এরন কমিন্সকির ডিএনএর সাথে ( দি রিচেস্ট )। তবে কি জ্যাক দ্যা রিপারের রহস্যের এখানেই সমাপ্তি? সেটা একমাত্র জানা সম্ভব এরনকে হাতে পাওয়ার পরেই।
৪. বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল
বছরের পর বছর ধরে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল আর এর রহস্য মাথার ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছে মানুষের। জাহাজ, বিমান, মানুষ- কোথায় হারিয়ে যায় সবাই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে এসে? কি হয় তাদের? ভীনগ্রহবাসীদের হাতে সমস্তরহস্যের চাবিকাঠি তুলে দিয়ে এতদিন নিশ্চিন্তেই ছিল মানুষ। তবে কিছুদিন আগেই জানা যায় এই রহস্যময় স্থানটিকে নিয়ে একটু অন্যরকম কথা। ১৯৭৫ সালে লাইব্রেরিয়ান আর বিমানচালক লরেন ডেভিড কুশে বেরিয়ে পড়েন বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্য উদঘাটন করতে। আর সেখানেই তিনি বারমুডায় ঘটা সব অস্বাভাবিক আর হারিয়ে যাওয়া ঘটনার খোঁজ খবর করে বের করেন তিনি যে হারিয়ে যাওয়ার সময় ভীনগ্রহবাসী নয়, বরং খারাপ আবহাওয়া বা সমুদ্রের অস্বাভাবিকতার সামনে পড়েছিল বিমান আর জাহাজগুলো ( হাউ স্টাফ ওয়ার্কস )
No comments:
Post a Comment