প্রত্যেক মানুষই মৃত্যুর মিছিলের নীরব যাত্রী। ইচ্ছা-অনিচ্ছায় সবাইকে সেই শুভযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে। কেউ জানে না কার, কোথায়, কিভাবে মৃত্যু হবে। মানুষের মৃত্যুর স্থান ও সময় জানেন শুধু রাব্বুল আলামিন।
মৃত্যুকে নিয়ে মানুষ অনেক ভেবেছে; কিন্তু কেউই এ থেকে রেহাই পায়নি। মৃত্যুকে ঠেকানো পৃথিবীর কারো মতা নেই মহান আল্লাহ ব্যতীত। দুনিয়ার সব দার্শনিক ও বিজ্ঞানীরা এক বাক্যে স্বীকার করেছেন মানুষ মরণশীল।
তবে মৃত্যুর পর আমাদের মৃতদেহ পচে-গলে যায় এটা আমরা সবাই জানি, কিন্তু মহাকাশে মৃতদেহের কি হয় তা কি আমরা জানি? কারণ মহাকাশে অল্প ঘনত্বের বস্তু বিদ্যমান। অর্থাৎ শূন্য মহাশূন্য পুরোপুরি ফাঁকা নয়।
প্রধানত, অতি অল্প পরিমাণ হাইড্রোজেন প্লাজমা, তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ, চৌম্বক ক্ষেত্র এবং নিউট্রিনো এই শূন্যে অবস্থান করে। তাত্ত্বিকভাবে, এতে কৃষ্ণবস্তু এবং কৃষ্ণশক্তি বিদ্যমান। মহাশূন্য এমন অনেক কিছু আছে যা মানুষ এখনও কল্পনা করতে পারেনি। তাই পৃথিবীর মত মহাকাশে মৃতদেহ পচে না। তবে কি হয়?
মহাকাশে লাশটা পচার সুযোগ পাবেনা। কারণ রেডিয়েশন ও বায়ুশূন্যতায় শরীরের যত ব্যাকটেরিয়া আছে, ওগুলো মারা যাবে বা শীতনিদ্রায় চলে যাবে। লাশটা যদি পৃথিবীর কক্ষপথের সাথে চলে তবে তা কম চাপের কারণে সিদ্ধ হয়ে মমিতে পরিণত হবে। অনেকটা ইতালির পম্পেইতে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ধ্বংস হওয়া নগরীতে যেমন লাশ উদ্ধার হয়েছিল তেমন।
আবার যদি লাশটা পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে সৌরজগতের বাইরের দিকে থাকে, যেখানে তাপমাত্রা শূন্যের নীচে, লাশটা জমে শক্ত হয়ে যাবে। যেহেতু বায়ুশূন্যতায় তাপের পরিবহনও দ্রুত হয়না তাই এরকম হতে কয়েকদিন এমনকি কয়েক সপ্তাহও লেগে যেতে পারে।
মাউন্ট এভারেস্ট বা আল্পস পর্বতমালার হিমবাহের মাঝে লাশ যেমন বছরের পর বছর ভাল থাকে, তেমনি মহাকাশেও লাশটা কয়েক মিলিয়ন বছর পরেও চেনা যাবে, যতক্ষণ না এটা কোন জ্যোতিষ্কে পতিত হচ্ছে। তথ্য সূত্র: স্ল্যাট, নিউ অ্যামেরিকা
No comments:
Post a Comment