Social Icons

Tuesday, March 22, 2016

মুখোমুখি বাংলাদেশ-ভারত: টাইগারদের আজ শেষ সুযোগ

জানা গেলো টিম হোটেলে নিজেদের আলোচনায় মহেন্দ্র সিং ধোনির দল বাংলাদেশকে পাত্তাই দেন না। কিন্তু আসলেই কি সত্যি! নাকি ভয় তাড়ানোর জন্য তাদের এমন আলোচনা নিজেদের আত্মবিশ্বাস দেয়! তবে লোকে যা বলুক না কেন ভারতও যে ভয়ে আছে তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন আশিষ নেহেরা। আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলে তারা এগিয়ে থাকবে। কিন্তু পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে হেরে গেলে বদললে যাবে সব। কঠিন হবে নিজ দেশে সেমিফাইনাল খেলার সমীকরণ। তাই নেহারা বলেন, ‘এখন প্রতিটি ম্যাচই আমাদের নক আউট এর মতো। যে কারণে কোনো দলকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। বিশ্বকাপে টিকে থাকাতে হলে আমাদের প্রতিটি ম্যাচই জিততে হবে।’ অন্যদিকে দলের সহ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সব কিছুই উড়িয়ে দিয়ে অপেক্ষায় আছেন ভাল কিছু করার। আজ হারলে সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ। কিন্তু আজ ভারত ও শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলে গাণিতিকভাবে বেঁচে থাকবে সেই আশা। কঠিন সেই আশা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘সেমিফাইনাল খেলা হয়তো গাণিতিক ভাবে সম্ভব। কিন্তু এই জন্য আমাদের পরপর দুই ম্যাচ জিততে হবে। কঠিন হলেও আমি মনে করি শেষে ভালো কিছু হতেও পারে।’ আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। কিন্তু এই ম্যাচের আগে ভারত ও বাংলাদেশ জুড়ে যুদ্বের দামামা বাজছে। তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানির বিশ্বকাপে দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। সোস্যাল মিডিয়ায় মেতে উঠছে আলোচনার ঝড়। একটা সময় ছিল ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচের আগে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো। কিন্তু এখন সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে। ভারতের বিখ্যাত বাংলা দৈনিকের সংবাদকর্মী এর ব্যাখাও দিলেন। তিনি বলেন, ‘দেখ ভারত-পাকিস্তান যদি ৯ বার খেলে ভারত ৮ বারই জিতেছে। জিতবে। কিন্তু বাংলাদেশের কথা যদি বল তাহলে ভারতের বিপক্ষে ১০ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের অন্তত তো ৪টি ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা থাকে। বাংলাদেশ দলের এই পরিবর্তনটাই সবকিছু বদলে দিয়েছে। আর এই ম্যাচের আগে তাসকিন ও সানির ইস্যুটা আমি বলবো উত্তেজনার মাত্রাটা বাড়িয়ে দিয়েছে।’ সংবাদ সম্মেলনে আশিষ নেহেরা ও সাকিব অবশ্য যুদ্ধ, বিতর্ক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিতর্ক কোনোভাবেই খেলায় আনতে চান না। আশিষ বলেন, ‘আমি আসলে সেই পুরনো আমলের মোবাইল ফোনই ব্যবহার করি। পেপার পড়ি না, ফেসবুকও দেখি না। আমি মনে করি না বাইরে কী হচ্ছে তা নিয়ে কোনো আলোচনা ক্রিকেটে আসে।’ একই সুরে সাকিব বলেন, সোস্যাল মিডিয়ার সঙ্গে খেলার কী সম্পর্ক? আমি মনে করি না ক্রিকেটাররা এইগুলো খেলার মধ্যে চিন্তা করে। আমরা যেমন যুদ্ধ বা অন্য কিছু ভাবি না। তেমনি বিশ্বাস করি ভারতের কোনো ক্রিকেটারও ভাবে না।’ গতকাল ভারত পুরোদমে অনুশীলন করেন মাঠে। বিরাট কোহলিদের খুব সিরিয়াসভাবেই নেটে ব্যাট হাতে ঘাম ঝরাতে দেখা যায়। কিন্তু বাংলাদেশ দলের কোনো ক্রিকেটারই অনুশীলনে মাঠে আসেননি। শুধু গাড়িতে করে এসে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে হোটেলে ফিরে যান সাকিব। যাওয়ার আগে তামিম ইকবালের বিষয়ে কিছুই জানাতে পারলেন না। শুধু জানালেন, দুপুর পর্যন্ত ঘুমাচ্ছিল দলের এই সেরা ওপেনার। দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনও দুপুরে একই কথা শোনান। তামিম আজ খেলবেন কি না সেটির চেয়ে অবশ্য বড় আলোচনার বিষয় হচ্ছে মুস্তাফিজের একাদশে ফেরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণভাবেই শুরু করেছেন তিনি। তাই তামিম-সাকিব ছাড়াও নেহেরার মুখে বারবারই উঠে এলো মুস্তাফিজের নাম। ‘তাসকিন নেই তাতে কি, বাংলাদেশ দলের বোলিংয়ে এখনও মুস্তাফিজ আছে, আল আমিন আছে। সেই সঙ্গে সাকিব আছে। আমি বলবো তাদের বোলিং শক্তি অনেক ভালো। বাংলাদেশ বেশ কয়েক বছর ধরে যা খেলছে তা অকল্পনীয়। এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারিয়েছে, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। আমাদের কোনোভাবেই হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। আর মুস্তাফিজ ওপরওয়ালা প্রদত্ত প্রতিভা। আমি অবশ্য খুশি; কারণ আইপিএলে সে আমার দলেরই ক্রিকেটার।’ সাকলাইন সজীবের বিশ্বকাপ মঞ্চে অভিষেক হলেও নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর তিনি রাখতে পারেননি। তাই সাকলাইন সজীবের পরিবর্তে নাসির হোসেনকে খেলানোর দাবিটাও জোরালো হয়েছে। গতকাল মাঠের বাইরে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি তরুণ দাঁড়ানো ছিল। তাদের মধ্য থেকে রিয়াদ, আকিব, আলম এগিয়ে এসে বললেন, ‘নাসির ভাই এই মাঠেই ‘এ’ দলের হয়ে সেঞ্চুরি করেছে। আমরা সেই সময় মাঠে থেকে দেখেছি। এবার সে দলের সঙ্গেই আছে। কিন্তু তাকে না সুযোগ দিয়ে কেন সাকলাইনকে জায়গা দেয়া হলো। যদি নাসির ভাই খেলতো তার অভিজ্ঞতাই কাজে আসতে পারতো। ভারত স্পিন ভালো খেলে। আমরা চাই, সজীবের পরিবর্তে নাসির ভাইকে নিলে তার ব্যাটিং ও তার ডানহাতি বোলিংটা দলের জন্য কার্যকর হবে।’ নাসিরকে কেন খেলানো হচ্ছে না এই নিয়ে বিস্মিত অনেক ভারতীয় সংবাদকর্মীও। যদিও অধিনায়ক ব্যাখ্যা দিয়েছেন দলের ভারসাম্য বজায় রাখতেই নাসিরকে না খেলানোর সিদ্ধান্ত। এই পর্যন্ত ভারত-বাংলাদেশ ৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। যার প্রতিটিতে হেরেছে টাইগাররা। তবে আজ সুযোগ এসেছে মাঠের লড়াইয়ে জয়ের পাশাপাশি অনেক কিছুরই জবাব দেয়ার। হয়তো সে কারণেই ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেটের নতুন এই যুদ্ধে ভালো কিছু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates