রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ দুই কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে সিন্ডিকেটের সভায় ওই তিনজনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
বহিষ্কৃত তিনজন হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের বিবিএ-র শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের অব্যহতি পাওয়া সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল হোসেন তুহিন, মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ও ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি তন্ময় আনন্দ অভি এবং একই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও শহীদ হবিবুর রহমান হলের বর্তমান কমিটির সভাপতি মামুন-অর-রশিদ।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে তৌহিদ আল হোসেন তুহিনকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।
ওই বছর ২৮ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তুহিনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ছাত্রলীগকর্মীর সঙ্গে প্রকৌশলী সিরাজুম মুনীরের বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর মারধরের শিকার হন ওই প্রকৌশলী।
ওই দপ্তরের অফিস সহকারী সুমন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের প্রহরী আবুল কাশেমকেও মারধর করা হন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুই দিন পর উপাচার্য ওই তিন ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তুহিনসহ তিনজনের নামে মতিহার থানায় চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে একটি মামলাও করে।
এরপর চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে তিন ছাত্রলীগ নেতাকে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। ওই সুপারিশ সিন্ডিকেটে তোলার পর তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
২০১২ সালে জুলাই মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাতেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তখনকার সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিনের বিরুদ্ধে। ওই বছর জুন মাসে পদ্মা সেতুর নামে চাঁদাবাজির অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষেও তার জড়িত থাকার কথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment