বাল্টিক সাগরের পূর্ব তীরে লিথুনিয়া ও এস্তোনিয়ার মধ্যবর্তী ছোট্ট দেশ লাটভিয়া।উচ্চশিক্ষায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছুটে চলা বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীদের বড় একটি অংশ দেশটিতে আসলেও, পরবর্তীতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করছে, ফলে সেসব দেশে অবৈধ হয়ে দিন কাটাচ্ছে।অথচ ২/৩বছর পড়াশুনা করেই ইউরোপের যেকোন দেশে বৈধ ও স্থায়ীভাবে থেকে যেতে পারে এসব শিক্ষার্থীরা ।কিন্তু সেপথ অনুসরণ না করে তাড়াহুড়া করে উচ্চশিক্ষার গন্ডি না পেরোতেই অনেকেই চলে যাচ্ছে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতে। যার কারণে একদিকে যেমন বাংলাদেশের প্রতি বিরুপ ধারণা হচ্ছে, অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যত থাকলেও সেপথ তারা নষ্ট করে দিচ্ছে।এমনটি জানিয়েছেন লাটভিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তারেক আহম্মদ। যিনি সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে লাটভিটার ‘একা ইউনিভার্সিটি’র ব্যবস্থাপনা বিভাগে পড়াশুনা করেছেন। পাশাপাশি কনসালটেন্সি খুলে দেশটিতে শিক্ষার্থী নিয়ে যাচ্ছেন এই তরুণ।ভয়েস বাংলার সাথে কথা হলে জানান, সেখানকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এমন কার্যকলাপের কথা।
তিনি জানান, ‘লাটভিয়ায় আগে যেসব শিক্ষার্থীরা এসেছে তাদের অনেকেই ইউরোপের অন্যান্য দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার আশায় পালিয়ে গেছে। ফলে, বাংলাদেশিদের সম্পর্কে ইউরোপিয়ানদের মধ্যে বিরুপ ধারণা দিন দিন বাড়ছে।আর এ কারণে বাংলাদেশ থেকে আগে শিক্ষার্থী আনলেও এখন তিনি শ্রীলংকা কিংবা ভারতীয় শিক্ষার্থী ছাড়া অন্যকোন দেশের শিক্ষার্থী আনেন না।কারণ এ দু’দেশের শিক্ষার্থীদের পালিয়ে যাওয়ার মনোভাব খুবই কম’। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে পরামর্শের কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘যদি তারা দেশটিতে উচ্চশিক্ষা পুরোপুরি শেষ না করে, তাহলে যেন দেশটিতে প্রবেশ না করে। আর যদি কেউ আসে তাহলে বলবো পড়াশুনা শেষ করলে জব ভিসা নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভালো চাকুরি বা স্থায়ীভাবে থেকে যেতে পারবে এবং ভালো ভবিষ্যৎ গড়ার পাশাপাশি বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পারবে’।
No comments:
Post a Comment