জাতিসংঘ থেকে বিশেষ সংবাদদাতা, ১৬ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফান ডোজারিক বলেছেন, বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাসের বিষয় জাতিসংঘ গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এঘটনায় জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন এবং আমাদের উদ্বেগ অব্যাহত আছে। আমরা আশা করি বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
শুক্রবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত নিয়মিত ব্রিফিংএ এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান মুখপাত্র ডোজারিক।
ব্রিফিংএ বাংলাদেশের সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান-
আপনি জানেন যে, বাংলাদেশের প্রধান বিরোধীনেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারান্তোরীন আছেন। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ জনতা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের মধ্য দিয়ে তাঁর মুক্তি দাবি করছে। যা এএফপিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে। বেগম জিয়াকে আগামী নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বাংলাদেশের শাসকদল তাঁর বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নিয়েছে মর্মেও রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। ইইউ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার অনেক দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করে বেগম জিয়ার খোঁজখবর নিচ্ছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের তরফে কি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে? কেনোনা বেগম জিয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার মুখামুখি।
জবাবে মুখোপাত্র ডোজারিক বলেন, আপনি জানেন যে, আমরা এর আগেও বলেছি পুরো পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ইতোমধ্যে বেগম জিয়ার বিষয়ে আমরা আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। আমরা আশা করছি বাংলাদেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। এসকল ক্ষেত্রে সকল দেশের জন্য আমাদের অবস্থান শক্ত ও অভিন্ন।
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন বিষয়ক এই প্রতিবেদকের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মহাসচিবের এই মুখপাত্র বলেন প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ। জোরপূর্বক নয়।
মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান-
মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে ঢাকা সফর করছেন। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ৮ হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গা শরনার্থীর একটি তালিকা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার কতৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করেছে। আপনি কি মনে করেন রোহিঙ্গাদের এই ফিরে যাওয়া নিরাপদ হবে?
জবাবে মুখপাত্র বলেন প্রত্যাবাসন বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান অত্যন্ত পরিস্কার। আমি দৃঢ় ভাবে বলতে চাই প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায়।
ব্রিফিংএ বাংলাদেশের সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী জানতে চান-
মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে ঢাকা সফর করছেন। বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ৮ হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গা শরনার্থীর একটি তালিকা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার কতৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করেছে। আপনি কি মনে করেন রোহিঙ্গাদের এই ফিরে যাওয়া নিরাপদ হবে?
জবাবে মুখপাত্র বলেন প্রত্যাবাসন বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান অত্যন্ত পরিস্কার। আমি দৃঢ় ভাবে বলতে চাই প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায়।
No comments:
Post a Comment