কিভাবে ফরম সংগ্রহ করবেন:
আগের মতোই ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে ফরম সংগ্রহ করা যাবে। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেই (www.dip.gov.bd) এই ফরম পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ঢাকাসহ দেশের ১০টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকেও বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যাবে এই ফরম। উল্লেখ্য, ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত এমআরপির আবেদন ফরমটি নামিয়ে প্রিন্ট করে তাতে হাতে লিখতে হয়।
নতুন আবেদনপত্রে যা যা আছে:
চার পৃষ্ঠার এ আবেদনপত্রে আবেদনকারীকে নাম, বাবার নাম, মাতার নাম, তাদের পেশা, জাতীয়তা, জন্মস্থান, জন্ম তারিখ, জন্ম সনদপত্র নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, যোগাযোগের তথ্য প্রদান করতে হবে। এসব তথ্য সঠিক এবং নির্ভূল ভাবে পূরণ করে আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট জায়গায় স্বাক্ষর ও তারিখ লিখতে হবে। এ ছাড়া আবেদনকারীকে একটি ৫৫ × ৪৫ মিলিমিটার আকারের রঙিন ছবি (পাসপোর্ট সাইজ ছবি) ফরমে আঠা দিয়ে লাগানোর পর সত্যায়িত করতে হবে।ছবিটি এমনভাবে সত্যায়িত করতে হবে যেন সত্যায়নকারীর স্বাক্ষর এবং সীলমোহর এর অর্ধেক অংশ ছবির উপর আর বাকি অর্ধেক অংশ ফরমের কাগজে থাকে। এক্ষেত্রে, দুটি আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে।
যারা সত্যায়িত করতে পারবেন:
আবেদন ফরমের সত্যায়ন করতে পারবেন- ১. সাংসদ ২. সিটি করপোরেশনের মেয়র, ডেপুটি মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর ৩. গেজেটেড কর্মকর্তা ৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ৫. উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ৬. পৌরসভার মেয়র ৭. বেসরকারি কলেজের শিক্ষক ৮. বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ৯. দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ১০. পৌর কাউন্সিলর ১১. রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের নতুন জাতীয় বেতন স্কেলের সপ্তম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তারা।
খরচ:
এমআরপির জন্য নতুন ফি নির্ধারিত হয়েছে। সাধারণ পাসপোর্টের জন্য তিন হাজার টাকা এবং জরুরি পাসপোর্টের জন্য ছয় হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। টাকা জমা দিতে হবে আগের মতোই সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায়। (টাকা জমা দেয়ার সময় আরো ১০ টাকা চায় VAT হিসেবে) টাকা জমা দেয়ার পর আপনাকে দেয়া রশিদের অংশে একটি নম্বর লিখে দিবে। এই নম্বরটি আপনার পাসপোর্ট ফরমের ক্রমিক নং ২৫ এ নিদিষ্ট শূন্যস্থানে বসাতে হবে। এরপর রশিদটি আপনার পাসপোর্ট ফরমের ১ম পাতার উপরের অংশে ডানদিকে আঠা দিয়ে সংযুক্ত করতে হবে।
যে সকল কাগজপত্র লাগবে:
সঠিকভাবে পূরণ করা আবেদন ফরমের সঙ্গে প্রার্থীকে আবেদনকারীর একটি রঙিন ছবি আঠা দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে লাগিয়ে দিতে হবে, সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম সনদপত্রের ফটোকপি। অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৫ বছরের কম) আবেদনকারীর ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বাবা ও মায়ের একটি করে রঙিন ছবিও লাগবে।
আবেদন পত্র জমা দেওয়ার আগে:
আবেদন পত্র জমা দেওয়ার আগেই তা নির্দিষ্ট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা এটি ভেরিফিকেশন বা যাচাই করবেন। আবেদপত্রটি ভেরিফিকেশন করানোর আগে এর সঙ্গে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রশিদটি আঠা দিয়ে আবেদন পত্রের সঙ্গে যোগ করে দিতে হবে। এ ছাড়া আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত ছবিটিও যথাযথ কর্মকর্তাকে দিয়ে সত্যায়িত করে নিতে হবে।ছবিটি এমনভাবে সত্যায়িত করতে হবে যেন সত্যায়নকারীর স্বাক্ষর এবং সীলমোহর এর অর্ধেক অংশ ছবির উপর আর বাকি অর্ধেক অংশ ফরমের কাগজে থাকে। পাশাপাশি জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপিটিও সত্যায়িত হতে হবে। যদি কারও জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে তাহলে পাসপোর্ট ফরমের তৃতীয় পৃষ্ঠায় নির্দিষ্ট স্থানে বসবাসরত এলাকার জনপ্রতিধি দ্বারা প্রত্যয়ন করিয়ে নিতে হবে। এমআরপির আবেদন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাচ্ছে দেশের ১০টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। প্রতিটি আঞ্চলিক অফিসের অধীনে রয়েছে কয়েকটি জেলা।
আবেদনপত্র গ্রহণ অফিস
|
অন্তর্ভুক্ত এলাকাসমূহ
|
প্রধান কার্যালয়: পাসপোর্ট ভবন, ই-৭, আগারগাঁও, শের-ই-বাংলা নগর, ঢাকা – ১২০৭। ফোন: ৮১৫৯৫২৫ | মতিঝিল, পল্টন, খিলগাঁও, সবুজবাগ, মিরপুর, শাহ আলী, পল্লবী, কাফরুল, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, আদাবর, গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট, খিলক্ষেত, রমনা, শাহবাগ, নিউ মার্কেট, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, ধামরাই, সাভার। |
উত্তরা কার্যালয়: হাউজ # ২৯, রোড # ৭, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা। ফোন: ৮৯৬২০৩৯ | উত্তরা, দক্ষিনখান, উত্তরখান, তুরাগ, এয়ারপোর্ট, বাড্ডা, আশুলিয়া, গাজীপুর। |
যাত্রাবাড়ি কার্যালয়: হাউজ # ৩৬০৫, মুজাহিদনগর, রায়েরবাগ, কদমতলী, ঢাকা। | সবুজবাগ, ডেমরা, শ্যামপুর, কদমতলী, খিলগাঁও, গেন্ডারিয়া, কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা, কেরাণীগঞ্জ, দক্ষিণখান থানা, চক কোতয়ালী, দোহার, নবাবগঞ্জ, সূত্রাপুর, নারায়ণগঞ্জ। |
চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিস: ৫৪, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম। ফোন: ০৩১-২৫৫০০১০ | কোতয়ালী, পাহাড়তলী, চাঁদগাঁও, পাঁচলাইশ, বন্দর, ডবলমুরিং, কর্ণফুলী, খুলশী, হালিশহর, বায়েজিদ বোস্তামী বাকলিয়া, পতেঙ্গা, মিরসরাই, হাটহাজারী, সীতাকুন্ড, রাউজান থানা |
কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিস: রেসকোর্স, কুমিল্লা। ফোন: ০৮১-৬৫৭৮৬ | কুমিল্লা সদর (কোতয়ালী), চান্দিনা, বুড়িচং, দেবিদুয়ার, দাউদকান্দি, হোমনা, ব্রাহ্মণপাড়া, মুরাদনগর, মেঘনা, মনোহরগঞ্জ, তিতাস থানা |
ময়মনসিংহ পাসপোর্ট অফিস: জিলা স্কুল রোড, ময়মনসিংহ। ফোন: ০৯১-৬৬৩৫৭ | ময়মনসিংহ জেলা। |
গোপালগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস: চাঁদমারী রোড, গোপালগঞ্জ। ফোন: ০৬৬৮-৫৭০৮৯ | গোপালগঞ্জ জেলা। |
নোয়াখালী পাসপোর্ট অফিস: গাবুয়া, মাইজদী, নোয়াখালী। ফোন: ০৩২১-৬১৭৪০ | নোয়াখালী জেলা। |
রাজশাহী পাসপোর্ট অফিস: হামেতখান, রাজশাহী। ফোন: ০৭২১-৭৭২২৪৮ | রাজশাহী জেলা। |
রংপুর পাসপোর্ট অফিস: রোড নং # ৫, মুলাটোল, রংপুর। ফোন: ০৫২১-৬৩২৫০ | রংপুর জেলা। |
সিরাজগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস ফোন: ০৭৫১-৬২৯০৩ | সিরাজগঞ্জ জেলা। |
খুলনা পাসপোর্ট অফিস: সোনাডাঙ্গা, খুলনা। ফোন: ০৪১-৭৩২১৪৬ | খুলনা জেলা। |
যশোর পাসপোর্ট অফিস: চার খাম্বার মোড়, যশোর। ফোন: ০৪২১-৭৩৫০৭ | যশোর জেলা। |
বরিশাল পাসপোর্ট অফিস: ব্রান্ধি রোড, বরিশাল। ফোন: ০৪৩১-৬৪৫৪৯ | বরিশাল জেলা। |
সিলেট পাসপোর্ট অফিস: শেখ ঘাট, সিলেট। ফোন: ০৮২১-৭১৪০২২ | সিলেট জেলা। |
হবিগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস: কোরেশ নগর এলাকা, হবিগঞ্জ। ফোন: ০৮৩১-৫২৮৯৪ | হবিগঞ্জ জেলা। |
ফরিদপুর পাসপোর্ট অফিস: ঝিলতুলী, ফরিদপুর। ফোন: ০৬৩১-৬২৭৮৭ | ফরিদপুর জেলা। |
চাঁদপুর পাসপোর্ট অফিস ফোন: ০১৭১৬-৬০৭৮৬৪ | চাঁদপুর জেলা। |
মানিকগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস | মানিকগঞ্জ জেলা। |
মুন্সীগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস ফোন: ০১৮১৯-১৯৫৭০০ | মুন্সীগঞ্জ জেলা। |
বগুড়া পাসপোর্ট অফিস ফোন: ০১৭১২-০৫২০১৮ | বগুড়া জেলা। |
দিনাজপুর পাসপোর্ট অফিস ফোন: ০১৮১৯-২৯২৬৭২ | দিনাজপুর জেলা। |
পাবনা পাসপোর্ট অফিস ফোন: ০১৭১১-৯৪৮৬৮১ | পাবনা জেলা। |
পটুয়াখালী পাসপোর্ট অফিস ফোন: ০১৭১৬-০১৯৫৫০ | পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা। |
মৌলভীবাজার পাসপোর্ট অফিস ফোন: ০১৭১১-৩২৫৩৫২ | মৌলভীবাজার জেলা। |
টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিস ফোন: ০১৭১১-৫৬৬৮৯৫ | টাঙ্গাইল জেলা। |
চাঁদগাঁও, চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিস ফোন: ০১৭১১-১৪২৬১৮ | চাঁদগাঁও। |
কিশোরগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস ফোন: ০১৭১১-১৩৫০৬৯ | কিশোরগঞ্জ জেলা। |
নরসিংদী পাসপোর্ট অফিস ফোন: ০১৮১৯-২৬০৬৯৩ | নরসিংদী জেলা। |
ফেনী পাসপোর্ট অফিস ফোন: ০১৭১৪-৪৯২৮৮৩ | ফেনী জেলা। |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাসপোর্ট অফিস ফোন: ০১৭১১-১৪৫২৮৫ | ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। |
কক্সবাজার পাসপোর্ট অফিস ফোন: ০১৭৩৮-২৫৮৫৬১ | কক্সবাজার জেলা। |
রাঙ্গামাটি পাসপোর্ট অফিস ফোন: ০১৭১৮-১০১১১৬ | রাঙ্গামাটি জেলা। |
কুষ্টিয়া পাসপোর্ট অফিস ফোন: ০১৫৫২-৪৮৯০৩০ | কুষ্টিয়া জেলা। |
বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসসমূহের আওতায় সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখাসমূহের তালিকা:
বিভাগীয়/আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নাম
|
ব্যাংকের শাখার নাম
|
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, আগারগাঁও, ঢাকা। | আগারগাঁও, মহাখালী, কলেজগেট, মোহাম্মদপুর, আওলাদ হোসেন মার্কেট, বিবি এভিনিউ, দিলকুশা, মগবাজার, সেগুনবাগিচা, মালিবাগ, মিরপুর ১২ শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, মনসুরাবাদ, চট্টগ্রাম। | আগ্রাবাদ কর্পোরেট, পাঁচলাইশ ও মিঠাগলী শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, সিলেট। | সিলেট কর্পোরেট, স্টেশন রোড, মহাজন পট্টি শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, রাজশাহী। | রাজশাহী কর্পোরেট শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, রংপুর। | কর্পোরেট শাখা ও কাঁচারী বাজার শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, খুলনা। | খুলনা কর্পোরেট শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, বরিশাল। | বরিশাল কর্পোরেট শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, যাত্রাবাড়ি, ঢাকা। | সদরঘাট, খিলগাঁও ও যাত্রাবাড়ি শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, উত্তরা, ঢাকা। | উত্তরা শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, চাঁদগাঁও, চট্টগ্রাম। | কোটহিল, সদরঘাট, বহদ্দার হাট, পাঁচলাইশ শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, কুমিল্লা। | স্টেশন রোড, কুমিল্লা কর্পোরেট শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, নোয়াখালী। | মাইজদী কোর্ট শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। | ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, চাঁদপুর। | চাঁদপুর প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, হবিগঞ্জ। | হবিগঞ্জ প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, মৌলভীবাজার। | মৌলভীবাজার প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, কক্সবাজার। | কক্সবাজার প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, রাঙামাটি। | রাঙামাটি প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, বগুড়া। | বগুড়া প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, পাবনা। | পাবনা প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, সিরাজগঞ্জ। | সিরাজগঞ্জ প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, কিশোরগঞ্জ। | কিশোরগঞ্জ প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, টাঙ্গাইল। | টাঙ্গাইল প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, ময়মনসিংহ। | ময়মনসিংহ প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, দিনাজপুর। | দিনাজপুর প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, নরসিংদী। | নরসিংদী প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, ফরিদপুর। | ফরিদপুর প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, গোপালগঞ্জ। | গোপালগঞ্জ প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, কুষ্টিয়া। | কুষ্টিয়া প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, যশোর। | যশোর প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, পটুয়াখালী। | পটুয়াখালী প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, মুন্সীগঞ্জ। | মুন্সীগঞ্জ প্রধান শাখা। |
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, ফেনী। | ফেনী প্রধান শাখা। |
ভিসা সেল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা। | ভিসা সেল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শাখা, ঢাকা। |
ভিসা সেল, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম। | ভিসা সেল, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শাখা, চট্টগ্রাম। |
এখন থেকে সোনালী ব্যাংক ছাড়াও আরো পাঁচটি ব্যাংকে পাসপোর্টের টাকা টাকা জমা দেয়া যাবে। এ পাঁচটি ব্যাংক হলো ঢাকা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক। নতুন পাঁচটি ব্যাংকের যেকোনো শাখায় অর্থ জমা দেয়া যাবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হবে। এসব ব্যাংকে অনলাইনে ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইলের মাধ্যমেও পাসপোর্টের ফি পরিশোধ করা যাবে।
আবেদনপত্র জমা দেওয়ার নিয়ম:
আবেদন পত্রটির ভেরিফিকেশন করে দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবেদনপত্র যাচাই করে সিলসহ স্বাক্ষর করবেন। এরপর আবেদনপত্রটি নির্দিষ্ট স্থানে জমা দিতে হবে। পাসপোর্ট অফিসেই খোলা আছে বেশ কয়েকটি বুথ। এসব বুথেই জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রটি জমা দেবার সময় পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বরত ব্যাক্তি আপনার তথ্যগুলো কম্পিউটারে এন্ট্রি করে রাখবেন। এরপর তিনি আপনাকে একটি টোকেন দেবেন। এরপর সে টোকেনসহ আবেদনপত্রটি নিয়ে ছবি তোলার জন্য আরেকজন কর্মকর্তার কাছে যেতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য যেভাবে ছবি তোলা হয়েছিলো, এখানেও একইভাবে নির্দিষ্ট মাপের ছবি তোলা হবে। এছাড়াও দুই হাতের আঙ্গুলের ছাপও দিতে হবে ইলেকট্রনিক মেশিনে। এরপর নেয়া হবে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর। তবে, ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর আবেদন পত্রের স্বাক্ষরের সঙ্গে যেনো মিল থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই প্রক্রিয়া শেষে কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য একটি আলাদা ডকুমেন্ট দেবে এবং আবেদনপত্রটি রেখে দিয়ে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার তারিখও জানিয়ে দেবেন।আবেদন ফরম জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীকে অবশ্যই নিজে উপস্থিত থাকতে হবে। ফরম জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীর আঙুলের ছাপ রাখা হবে এবং মুখের ছবি তোলা হবে।
যাদের জন্য পুলিশ প্রতিবেদন প্রয়োজন নাই-
১. মাননীয় সংসদ সদস্য
২. তিন পার্বত্য জেল পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ
৩. সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরবৃন্দ
৪. উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ
৫. ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান
৬. সকল পর্যয়ে সামরিক-বেসামরিক সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী
৭. সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান/সংস্থার প্রত্যানয় সাপেক্ষে আধাসরকারী ও রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থায় কর্মরত স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারী
৮. অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং তাদের স্ত্রী
৯. সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং তাদের স্ত্রী এবং ১৫(পনের) বrসরের কম বয়সের সন্তান
১০. ৫ /১০ বৎসর অতিক্রান্ত কিন্তু ১২ বছরের অধিক নহে এমন বৈধ সমর্পনকৃত(সারন্ডারড)পাসর্পোটের ক্ষেত্রে পুলিশ প্রতিবেদনের প্রয়োজন নেই।
বি:দ্র: স্ত্রী / ১৫ বৎসরের নিচের বয়সের সন্তানদের ক্ষেত্রে- কর্মকর্তা/কর্মচারীরর সন্তান এবং তার উপর নির্ভরশীল মর্মে প্রত্যয়ন দিতে হবে।
পাসপোর্ট সংগ্রহ:
কর্তৃপক্ষের দেয়া তারিখে পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যাবে। তবে, এই সময়ের মধ্যে অবশ্যই পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ হতে হবে। পাসপোর্ট দেবার আগে ডিবি পুলিশ বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানায় ভেরিফিকেশন করে। আর পুলিশের রিপোর্ট প্রদানের পরই পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
বি:দ্র: ফরম জমা দেয়ার ১৮ দিনের মধ্যে আপনার উল্লিখিত ঠিকানায় পুলিশ আসবে ভেরিফিকেশনের জন্য। আপনার সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও পুলিশ মহাশয়কে খুশি করতে ৫০০-১০০০ টাকা খরচ দিতে হবে।
নতুন পাসপোর্টের বৈশিষ্ট্য:
নতুন যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট বিভিন্ন দেশের উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাসপোর্টের আদলে তৈরি। এ পাসপোর্টে উন্নত দেশগুলোর পাসপোর্টের মতোই বিশেষ কাপড়ের কভার ব্যবহার করা হয়েছে। হাতে লেখা পাসপোটের মতোই শুরু থেকে ৫ থেকে পঞ্চম পৃষ্ঠা পর্যন্ত ছবিসহ প্রয়োজনীয় এক পাতায় আছে। আছে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরও। পুরোনো পাসপোর্টে বিভিন্ন দেশের ভিসা লাগানো থাকলে সেগুলো এই পাসপোর্টে থাকছে না। এ পাসপোর্টে এক পাতার এসব তথ্যের পাশাপাশি একপাশে আছে বিশেষ সাংকেতিক নম্বর, যাকে ‘যন্ত্রে পাঠযোগ্য এলাকা’ বলা হয়। এই নম্বরের মধ্যেই থাকছে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য, যা কম্পিউটার পড়তে পারে। জানা গেছে, পুরো প্রক্রিয়াটিই চলছে আন্তর্জাতিক মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের অনুমোদন সংস্থা আইসিএভি-এর নির্দেশনা অনুসারে। এমআরপির তথ্যগুলো যখনই কম্পিউটার এই নম্বরের মধ্যে পড়ে, তখনই মনিটরে সেসব তথ্য দেখা যায়। এই পৃষ্ঠায় রয়েছে জাতীয় পশু বাঘ ও জাতীয় ফুল শাপলার জলছাপ। আরও আছে নানা ধরনের নিরাপত্তা দাগ। পাতার বিভিন্ন স্থানে বাঘের ছবির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের নাম ও শহীদ মিনারের ছবি। এসব জলছাপ বিশেষ আলো দিয়ে দেখলে লেজার রশ্মির মতো দেখায়। এমআরপির শেষ পাতায় আছে সংসদ ভবনের ছবি ও পরিচিতি।
কিছু লক্ষণীয় বিষয়:
- যে কোন সমস্যায় দায়িত্বরত আনসারদের সহায়তা নিন।
- যে কোন সময় ব্যবহারের জন্য স্ট্যাপলার, পিন, আঠা, কলম ইত্যাদি সঙ্গে রাখবেন।
- পুরো ঢাকা নগরীকে তিনটি অধিক্ষেত্রে বিভক্ত করা হয়েছে- উত্তরা, আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী অধিক্ষেত্র। টাকা জমা দেয়ার ক্ষেত্রে যার ঠিকানা যে অধিক্ষেত্রের অন্তগত, তাকে সেই অধিক্ষেত্রের পাসপোর্ট অফিসে টাকা জমা দিতে হবে।
- ছবি তোলার দিন পরিচ্ছন্ন কাপড় পরে যাবেন।
অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন
নির্দিষ্ট ব্যাংক পাসপোর্ট আবেদনের জন্য হিসাবে টাকা জমা দিতে হবে।সোনালী ব্যাংক সহ আর ৫টি ব্যাংকে পাসপোর্ট আবেদনের টাকা জমা দেওয়া যায়। রেগুলার পাসপোর্টের জন্য ফি ৩০০০/- টাকা ( ১ মাসের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে হলে) আর জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্টের জন্য ফি ৬০০০/- টাকা ( ১৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে হলে) ।
অনলাইনে আবেদনের প্রথমেই টাকা জমা দিতে হবে কারণ, অনলাইন আবেদন করার সময় টাকা জমা দেওয়ার তারিখ, ব্যাংকের নাম , ব্যাংকের শাখা এবং জমা দানের স্ক্রল নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
যে যে ব্যাঙ্কে টাকা জমা দেওয়া যাবে
(১) সোনালী ব্যাংক
(২) ঢাকা ব্যাংক
(৩) ব্যাংক এশিয়া
(৪) প্রিমিয়ার ব্যাংক
(৫) ওয়ান ব্যাংক ও
(৬) ট্রাস্ট ব্যাংক
ফর্ম পূরণ
বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইটে গিয়ে ফর্ম পূরণ করতে হবে । ওয়েবসাইটে দেওয়া নির্দেশনা গুলো ভালোভাবে দেখে, একটি একাউন্ট খুলতে হবে । নাম ও ব্যক্তিগত তথ্যাদি ( নামের বানান, বাবা-মার নাম ) যেন শিক্ষাগত সার্টিফিকেট অনুযায়ি হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন, কেননা এই তথ্যাদি পরিবর্তন বেশ ঝামেলা সাপেক্ষ। ফর্ম পূরণের ক্ষেত্রে একটি ই-মেইল আইডি এবং একটি মোবাইল নাম্বার প্রয়োজন হবে। ই-মেইল আইডি ও মোবাইল নাম্বার রেগুলারটা দেওয়া উচিত, কেননা এর মাধ্যমেই বিভিন্ন তথ্যাদি আবেদন কারীকে জানানো হবে।
টাকা জমা দেওয়ার তারিখ, ব্যাংকের নাম , ব্যাংকের শাখা এবং জমা দানের স্ক্রল নম্বর ইত্যাদি একটু খেয়াল করে উল্লেখ করতে হবে, কেননা ভুল তথ্য দেওয়া আবেদন বাতিল বলে গন্য হবে। যেসব খালিঘরের পুর্বে লাল তারকা চিহ্নিত, সেগুলো অবশ্যই পুরন করতে হবে।সব খালিঘর সঠিক ভাবে পূরণ করার পর পরবর্তি ধাপে যেতে হবে।
সবশেষে যেদিন ছবি তোলা ও হাতের ছাপ হবে, সুবিধামত তারিখ ঠিক করে সাবমিট করতে হবে। নিজের পছন্দসই সময়েই যাওয়া যাবে (সরকারী ছুটির দিন ব্যতীত)। একবার সব তথ্য ঠিক আছে কিনা তা দেখে নেওয়া প্রয়োজন। সবশেষে আবেদনটি সাবমিট করতে হবে । সঠিক ভাবে পূরনকৃত আবেদনটি সাবমিশন শেষ হলে পূরণকৃত আবেদনের একটি পিডিএফ কপি আবেদনের সময় দেওয়া ই-মেইলে চলে যাবে ।
জমা দেওয়ার পূর্বে ফর্মের প্রিন্ট এবং সত্যায়ন
পূরণকৃত ফর্মের যেই পিডিএফ কপিটা ই-মেইলে পাঠানো হয়েছে, সেটার ২ কপি কালার প্রিন্ট করতে হবে। কিছু খালিঘর হাতে পূরণ করতে হতে পারে ।
আবেদনকারির ৪ কপি ছবি , জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি এবং পাসপোর্ট ফর্ম পরিচিত কোন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার কাছ থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে। পরিচিত কাউকে দিয়েই সত্যায়ন করতে হবে কারন ,কর্মকর্তার নাম , যোগাযোগ ও ফোন নাম্বার ফর্মে লিখতে হবে। সত্যায়ন শেষে পুরো ফর্মটি সব তথ্য ঠিক আছে কিনা তা আরও একবার দেখে নেওয়া প্রয়োজন। ।
ব্যাংকের রিসিট এবং সত্যায়িত ৪ কপি ছবি আঠা দিয়ে ফর্মের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপিটি রাখতে হবে। আবেদন ফর্মটি জমা এখন দেয়ার জন্য প্রস্তুত।
পূরণকৃত ফর্মের যেই পিডিএফ কপিটা ই-মেইলে পাঠানো হয়েছে, সেটার ২ কপি কালার প্রিন্ট করতে হবে। কিছু খালিঘর হাতে পূরণ করতে হতে পারে ।
আবেদনকারির ৪ কপি ছবি , জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি এবং পাসপোর্ট ফর্ম পরিচিত কোন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার কাছ থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে। পরিচিত কাউকে দিয়েই সত্যায়ন করতে হবে কারন ,কর্মকর্তার নাম , যোগাযোগ ও ফোন নাম্বার ফর্মে লিখতে হবে। সত্যায়ন শেষে পুরো ফর্মটি সব তথ্য ঠিক আছে কিনা তা আরও একবার দেখে নেওয়া প্রয়োজন। ।
ব্যাংকের রিসিট এবং সত্যায়িত ৪ কপি ছবি আঠা দিয়ে ফর্মের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপিটি রাখতে হবে। আবেদন ফর্মটি জমা এখন দেয়ার জন্য প্রস্তুত।
ছবি তোলা এবং অন্যান্য
নির্ধারিত দিনে সকল কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি আগারগাও পাসপোর্ট অফিস এর ৮ম তলায় অবস্থিত ৮০৪ নাম্বার রুমে গিয়ে সেখান থেকে ফরমটি ভেরিফাই করে নিতে হবে। সেখান থেকে স্বাক্ষর সহ একটি সিরিয়াল নাম্বার দেওয়া হবে। এবার যেতে হবে পাশের অফিস এর ৩য় তলার ৩১০ নাম্বার রুমে (রুম নাম্বার পরিবর্তন হতে পারে, সিরিয়াল নেওয়ার সময় জিজ্ঞাস করলে জানা যাবে)। যতই ভিড় থাকুক না কেন সরাসরি উপ-কমিশনার এর রুমে চলে যেতে হবে। কেননা অনলাইন আবেদন এর জন্য লাইনে দাড়াতে হয় না। এখানে ভেরিফিকেশন করার পরে যেতে হবে পাশের অফিস এ ছবি তোলার জন্য।
পুলিশ ভেরিফিকেশন ও পাসপোর্ট রিসিভ ডেট
পুলিশ ভেরিফিকেশনই একটু ঝামেলার। যদি আবেদনকারীর স্থায়ী আর বর্তমান ঠিকানা এক না হয় , তবে দুই জায়গাতেই ভেরিফিকেশন হবে। পুলিশের এস বি ( স্পেশাল ব্রাঞ্চ) এই ভেরিফিকেশনের কাজটা করে থাকে। এইটা করতে পুলিশ বখশিশ হিসাবে টাকা চেয়ে বসেতে পারে। টাকার পরিমান ৫০০-১০০০ পর্যন্ত হতে পারে। তবে স্ট্রিক্ট থাকলে এটা এড়ানো সম্ভব। আবেদনকারী কীভাবে তাদের ফেইস করবে সেটার উপর নির্ভর করেবে বিষয়টি।
ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে হলে আবেদনকারীর মোবাইলে এস এম এস আসবে। যেদিন এস এম এস আসবে তারপরেই আপনি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।
ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে হলে আবেদনকারীর মোবাইলে এস এম এস আসবে। যেদিন এস এম এস আসবে তারপরেই আপনি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।
পাসপোর্ট সংগ্রহ
নিরধারিত তারিখে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হবে। কলম এবং সাথে রিসিট সাথে রাখা প্রয়োজন। সকাল ৯ টার পর গেইট খুলবে। লাইন ধরে প্রবেশ করতে হবে। রিসিট জমা দিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। যখন আবেদনকারীর নাম ডাকবে নির্দিষ্ট স্থানে স্বাক্ষর করে পাসপোর্ট বুঝে নিতে হবে।
কিছু লক্ষ্যনীয় বিষয়
(১) অনলাইনে ফর্ম পুরনের সময় সব তথ্য কয়েকবার যাচাই করা উচিত
(২) সাথে সব সময় কলম রাখা উচিত
(৩) আঠা, স্ট্যাপলার, এক্সট্রা ছবিও সাথে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে
(৪) পাসপোর্টটি হাতে পেয়ে চেক করা উচিত। আবেদনকারীর সরবরাহকৃত তথ্য গুলো ঠিক এসেছে কিনা তা একবার মিলিয়ে নেওয়া উচিত।
অনলাইনে পাসপোর্ট চেকিং:
নির্ধারিত ডেলিভারী তারিখে আপনার পাসপোর্ট ডেলিভারী নিতে পারবেন কিনা তা অনলাইনে জানতে পারবেন। বিস্তারিত দেখুন এই লিংকে: www.immi.gov.bd/passport_verify.php
খুঁটিনাটি তথ্য:
নতুন/১২ বছর উত্তীর্ণ পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন:
দুই কপি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে অতিরিক্ত পাসপোর্ট সাইজের এককপি এবং ষ্ট্যাম্প সাইজের এক কপি ছবি জমা দিতে হবে।
অতি জরুরী হলে আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য খরচ পড়ে ৬.০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের খরচ হয় ২,৫০০ টাকা। পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর ৭২ ঘন্টার মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
জরুরী পাসপোর্টের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক হলে ৩,৫০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য খরচ পড়ে ২,০০০ টাকা। ১১ দিন অতিক্রান্ত হলে পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর ১২ দিন থেকে ২১ দিনের মধ্যে পাসনপোর্ট পাওয়া যাবে। অন্যথায় ২১ দিন পর।
সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আন্তর্জাতিক হলে ২,৫০০ টাকা এবং বিশেষ হলে ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। ২১ দিন অতিক্রান্ত হলে পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর ৩০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। অন্যথায় ৩০ দিন পর।
দশ বছর উত্তীর্ণ এর ক্ষেত্রে পাসপোর্টের জন্য আবেদন:
আবেদনপত্রের সাথে এক কপি ছবি জমা দিতে হবে। জরুরী পাসপোর্ট প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ৩,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ২,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আবেদনপত্র জমা হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
আর সাধারণ হলে আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ২,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আবেদনপত্র জমা হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
হারানো পাসপোর্টের বিপরীতে পাসপোর্টের জন্য আবেদন:
এ ক্ষেত্রে জিডির কপিসহ আবদেন করতে হবে। জরুরী প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ৩,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ২,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আবেদনপত্র জমা হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আন্তর্জাতিক হলে ২,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্ট হলে ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আবেদনপত্র জমা হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
পুরাতন রেকর্ড যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলে হারানো পাসপোর্টের বিপরীতে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়।
পাতা শেষ/ ছবির মিল নেই/পাতা নষ্ট হবার কারণে পাসপোর্টের জন্য আবেদন:
এক কপি ছবি আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে। জরুরী পাসপোর্ট এর জন্য আন্তর্জাতিক ৩,০০০ টাকা এবং বিশেষ ২,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আবেদনপত্র জমা হওয়ার ৭ (সাত) দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়। পুরাতন রেকর্ড যাচাই করে সঠিক পেলে অন্যথায় তদন্তে প্রেরণ করতে হবে। রিপোর্ট প্রাপ্তির পর পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়।
আর সাধারণ হলে আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট এর জন্য ২,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আবেদনপত্র জমা হওয়ার ১০ (দশ) দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। পুরাতন রেকর্ড যাচাই করে সঠিক পেলে অন্যথায় তদন্তে প্রেরণ করতে হবে। রিপোর্ট প্রাপ্তির পর পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়।
সরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্বশাষিত সংস্থা, কর্পোরেশনের কর্মকর্তা/ কর্মচারী এবং তাঁদের ১৫ বছর বয়সেরনীচের সন্তানদের পাসপোর্টের আবেদন:
মন্ত্রণালয়/বিভাগ/ অধিদপ্তর/ দপ্তর প্রধানের নিকট হইতে নির্ধারিত ফরমে এনওসি আবেদন পত্রের সাথে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র জমা হওয়ার ৭ (সাত) দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। সাধারণ আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ২,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়।
সরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্বশাষিত সংস্থা, কর্পোরেশনের কর্মকর্তা/ কর্মচারী এবং তাঁদের ১৫ বছরের অধিকবয়সের সন্তানদের পাসপোর্টের আবেদন:
আবেদনপত্রের সাথে কেবলমাত্র নির্ভরশীল সন্তানদের ক্ষেত্রে বাবা/মায়ের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে।
জরুরী আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ৩,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ২,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। ১১ দিন অতিক্রান্ত হলে পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর ১২ দিন থেকে ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। অন্যথায় ২১ দিন পর।
আর সাধারণ আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ২,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। ২১ দিন অতিক্রান্ত হলে পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর ৩০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। অন্যথায় ৩০ দিন পর।
শিক্ষা সফরে বিদেশ গমণ ইচ্ছুক ছাত্র/ ছাত্রীদের পাসপোর্টের জন্য আবেদন:
আবেদনপত্র অবশ্যই দলগত ভাবে হতে হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত থাকতে হবে। সাধারণ আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ২,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের ক্ষেত্রে:
পেনশন অর্ডার কিংবা পেনশন বহির ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে। সাধারণ আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ২,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আবেদনপত্র জমা দেয়ার ৭ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।
সেনা/নৌ/ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের ক্ষেত্রে:
আর্মি গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশ থাকতে হবে। সাধারণ আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ২,০০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আবেদনপত্র জমা দেয়ার ৭ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়।
নবায়ন:
নতুন পাসপোর্টের জন্য নির্ধারিত ফি এবং নবায়ন ফি উভয়ই প্রদান করতে হবে।
জরুরী আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ২,৫০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ১,৫০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। আবেদনপত্র জমা দেয়ার ৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হয়। কোন পাসপোর্টের নবায়ন/সংযোজনের ক্ষেত্রে জাল সনাক্ত হলে উক্ত পাসপোর্ট বাতিল করে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় (নতুন পাসপোর্ট ও নবায়ন উভয় ফি গ্রহণ সাপেক্ষে)।
সাধারণ আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ১,৫০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ১,০০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আবেদনপত্র জমা দেয়ার ১০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হয়। কোন পাসপোর্টের নবায়ন/সংযোজনের ক্ষেত্রে জাল সনাক্ত হলে উক্ত পাসপোর্ট বাতিল করে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় (নতুন পাসপোর্ট ও নবায়ন উভয় ফি গ্রহণ সাপেক্ষে)।
সংযোজন (প্রমাণ পত্রসহ):
নতুন পাসপোর্টের জন্য নির্ধারিত ফি এবং সংযোজন ফি উভয়ই প্রদান করতে হবে।
জরুরী আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ৫০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ৩০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আবেদনপত্র জমা দেয়ার ৫ (পাঁচ) দিনের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হয়। কোন পাসপোর্টের নবায়ন/সংযোজনের ক্ষেত্রে জাল সনাক্ত হলে উক্ত পাসপোর্ট বাতিল করে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় (নতুন পাসপোর্ট ও নবায়ন উভয় ফি গ্রহণ সাপেক্ষে)।
সাধারণ আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ৩০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ২০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। আবেদনপত্র জমা দেয়ার ১০ (দশ) দিনের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করা হয়। কোন পাসপোর্টের নবায়ন/সংযোজনের ক্ষেত্রে জাল সনাক্ত হলে উক্ত পাসপোর্ট বাতিল করে নতুন পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় (নতুন পাসপোর্ট ও নবায়ন উভয় ফি গ্রহণ সাপেক্ষে)।
বিদ্যমান পাসপোর্টে সন্তানের নাম সংযোজনের আবদেন:
এ ক্ষেত্রে আবেদনকারীর দুই কপি আবেদন জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সাথে বাবা/মায়ের ছবি সত্যায়িত করে সংযুক্ত করতে হবে। প্রতিটি সন্তানের জন্য অতিরিক্ত দুই কপি করে ষ্ট্যাম্প সাইজের ছবি জমা দিতে হবে। জরুরী আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের জন্য ৫০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ৩০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
আর সাধারণ আন্তর্জাতিক পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ৩০০ টাকা এবং বিশেষ পাসপোর্টের জন্য ২০০ টাকা ফি প্রদান করতে হয়। পুলিশ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
সংশোধন ও সংযোজন:
বয়সঃ- বয়স সংশোধনের ক্ষেত্র এস এস সি কিংবা সমমানের পরীক্ষার সনদ অথবা অর্থোপেডিক ডাক্তারের সনদ অথবা জন্ম নিবন্ধিবরণ সনদপত্র আবশ্যক হবে।
নামঃ- নাম সংশোধনের ক্ষেত্র এস এস সি কিংবা সমমানের পরীক্ষার সনদ বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতের হলফনামা (এফিডেভিট) এবং পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি আবশ্যক হবে।
পেশাঃ- পরিবর্তিত পেশার স্বপক্ষে সনদ।
ঠিকানাঃ- স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা বাড়ির দলিল আবশ্যক হবে।
সন্তানের নাম কর্তনঃ- আবেদনপত্রের ‘খ' এর ৮নং কলাম পুরণ করতে হবে।
সন্তান সংযোজনঃ সন্তানের জন্ম সনদ দিতে হবে । সন্তানের নাম সংযোজনের ক্ষেত্রে পুলিশ /তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া গেলে পাসপোর্ট দেওয়া সম্ভব হবে না।
No comments:
Post a Comment