Social Icons

Thursday, February 22, 2018

খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে যেসব যুক্তি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনে নিম্ন আদালতের পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ৪৪টি যুক্তি দেখানো হয়েছে। পাশাপাশি সম্পূরক হিসেবে জামিন চাওয়া হয়েছে।
আগামী রোববার শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। ওই দিন দুপুর ২টায় আবেদনটি শুনানি হবে। আদেশে এ মামলায় বিচারিক আদালতের নথি তলব করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তা হাইকোর্টে পাঠাতে সংশ্লিষ্ট আদালতকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ খালেদা জিয়ার আপিল গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনে বলা হয়েছে, আবেদনকারীর বয়স ৭৩ বছর। তিনি শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। তিনি ৩০ বছর ধরে গেঁটে বাত, ২০ বছর ধরে ডায়াবেটিস, ১০ বছর ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও আয়রন স্বল্পতায় ভুগছেন। ১৯৯৭ সালে তার বাম হাঁটু প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং ডান পায়ের হাঁটু ২০০২ সালে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। হাঁটু প্রতিস্থাপনের কারণে তার গিঁটে ব্যথা হয়, যা প্রচণ্ড যন্ত্রণাদায়ক। এমনকি হাঁটাহাঁটি না করার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ রয়েছে। শারীরিক এসব জাটিলতার কারণ বিবেচনায় তার জামিন মঞ্জুরের সবিনয় আরজি জানাচ্ছি।
আরেকটি যুক্তিতে বলা হয়েছে, উপমহাদেশ এবং দেশের উচ্চ আদালতসমূহে দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে, যখন আসামি একজন নারী হয় তখন তার অনুকূলে জামিন বিবেচনা করা হয়ে থাকে। সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আবেদনকারীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হোক।
আপিলের আরেক যুক্তিতে বলা হয়েছে, ২০০৭-০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের নির্মূলে যে পদক্ষেপ নিয়েছিল এ মামলাটি তারই অংশ। তাছাড়া মামলার প্রথম অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা জামিন আবেদনকারীর বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলার কোনো খুঁজে পায়নি।
জামিন আবেদনকারী বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন। বিচারিক আদালত তার এই বিষয়টি উপেক্ষা করেছে। তাছাড়া যে মামলায় তাকে সাজা দেয়া হয়েছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাকে হয়রানি করার জন্য।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ১ হাজার ২২৩ পৃষ্ঠার আপিল দায়ের করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজাক খান এ আপিল দায়ের করেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রায় প্রদানকারী বিচারক ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামানের স্বাক্ষরের পর ১ হাজার ১৭৮ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ মামলার রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। রায়ে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি ছয় আসামির সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই অর্থ সবাইকে সমানভাবে ভাগ করে পরিশোধ করতে বলা হয়। রায়ের দিন আদালত ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়েন। রায়ের পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates