ফরিদপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের বেধড়ক পিটুনিতে সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়েছে। এ সময় মিছিল থেকে ২০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রেসক্লাবের পাশে সুপার মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
জানা যায়, সকাল থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে সুপার মার্কেট চত্বরে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার এসআই নাসিরের নেতৃত্বে পুলিশ মিছিলে বাধা দিতে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশ মিছিলকারীদের ব্যানার কেড়ে নেয়। পুলিশ কয়েক দফায় বিএনপির নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে ও সাংবাদিকদের দায়িত্বপালনে বাধা দেয়।
এ সময় মিছিল থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২০ নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৩ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম সেখানে পৌঁছলে পুলিশ বেপরোয়া হয়ে ওঠে। পুলিশ বাঁশের লাঠি ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েলসহ নেতাকর্মীদের পেটাতে থাকে।
এ সময় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ কোনো সতর্ক না করে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এতে সাংবাদিক ও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী এবং ব্যবসায়ী আহত হয়।
এদিকে বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ ইসলাম ফরিদপুর প্রেসক্লাবে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পুলিশি হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে জেলা বিএনপির সভাপতি শাহাজাদা মিয়ার নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ওসি নাজিম উদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, এ পর্যন্ত মোট ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৩ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment