ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ত্যাগ করার প্রক্রিয়া শুরু করার আগে ব্রিটেনের সরকারকে অবশ্যই পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হবে বলে রায় দিয়েছে দেশেটির সুপ্রিম কোর্ট।
গত বছর ২৩শে জুন এক গণভোটে ব্রিটেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটাররা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে যাবার পক্ষে ভোট দেয়। এর পর ব্রিটিশ সরকারের বক্তব্য ছিল যে ইইউ ত্যাগের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করতে সরকারকে প্রদত্ত রাজকীয় ক্ষমতাই যথেষ্ট - এ জন্য পার্লামেন্টের অনুমোদন নেবার দরকার নেই।
একে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট-এ করা এক আপিল মামলায় বিচারপতিরা এই রায় দিলেন।
এগারোজন বিচারপতির মধ্যে আট জনই মত দিয়েছেন যে, ইইউ ত্যাগের ফলে ব্রিটেনের আইনে পরিবর্তন ঘটবে - তাই এ ব্যাপারে পার্লামেন্টের অনুমোদন অবশ্যই নিতে হবে।
ইইউ ত্যাগের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করার অর্থ হচ্ছে, লিসবন চুক্তির ৫০ ধারা সক্রিয় করা - অর্থাৎ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো যে ব্রিটেন ইউনিয়ন ত্যাগ করতে যাচ্ছে। গণভোটের পর এটাই ছিল সরকারের করণীয়।
রায়ের পর প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে'র কার্যালয় থেকে জানানো হয়, তারা মার্চের শেষে এ প্রক্রিয়া শুরু করতে চান, এবং এ ব্যাপারে এমপিদের ভোটের ব্যবস্থা করে শিগগিরই একটি আইন করা হবে।
তবে ইইউ ত্যাগের পক্ষে ভোটাররা গণভোটে যে রায় দিয়েছেন - তা এমপিরা উল্টে দেবেন এমনটা মনে করা হচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা অবশ্য সর্বসম্মতভাবে রায় দিয়েছেন যে ব্রিটিশ সরকারকে এ জন্য যুক্তরাজ্যের অন্যান্য রাজ্য অর্থাৎ স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের সাথে পরামর্শ করার দরকার নেই।
সুপ্রিম কোর্টে এই আইনি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন জিনা মিলার নামে একজন ব্যবসায়ী মহিলা। তার করা মামলার প্রথম রায়েও একই রুলিং হয়েছিল এবং তার পর সরকার এর বিরুদ্ধে আপিল করলে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণ বেঞ্চে এর শুনানি হয়।
দ্বিতীয় রায়েও আগের রায়ই বহাল থাকলো, এবং সরকারের করা আপিল হেরে গেল। জিনা মিলার রায়ের পর বলেছেন, এতে প্রতিভাত হয়েছে যে পার্লামেন্টই সার্বভৌম।
বিবিসি
No comments:
Post a Comment