গুরুত্বপূর্ণ নিউইয়র্ক প্রাইমারি বাছাইয়ে ডেমোক্রেটিক দলে ভোট দিচ্ছেন ৫৮ লাখ নিবন্ধিত ভোটার। অন্যদিকে, রিপাবলিকান দলে ভোট দিচ্ছেন নিবন্ধিত ২৭ লাখ ভোটার। এ প্রাইমারিতে কোনো দলের জন্য স্বাধীন ভোটার নেই। নিউইয়র্কে ডেমোক্রেটিক দলের ডেলিগেট সংখ্যা ২৯১ ও রিপাবলিকানদের ৯৫। ডেমোক্রেটিক দলের হিলারি ক্লিনটন এ পর্যন্ত সংগ্রহ করেছেন ১৭৯০ ডেলিগেট ভোট এবং সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের রয়েছে ১১১৩ ভোট। মনোনয়ন পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ২৩৮৩ ডেলিগেট ভোট পেতে হবে যে কাউকে। যদিও এখনও বাকি রয়েছে ১৯৩১ ডেলিগেট। দলের মধ্যে এগিয়ে থাকা হিলারি ক্লিনটনের বাকি রয়েছে ৫৯৩ ডেলিগেট ভোট। নিউইয়র্ক প্রাইমারিতে জিতলে কাঙ্ক্ষিত ডেলিগেট সংখ্যা অনেকটাই নিশ্চিত হবে সাবেক এই নিউইয়র্ক সিনেটরের।
জনমত জরিপও হিলারির পক্ষেই রয়েছে। রিয়ালক্লিয়ারপলিটিক্সের জরিপের ফলে দেখা গেছে, হিলারি ক্লিনটন স্যান্ডার্সের চেয়ে ১০ শতাংশ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। হিলারির সমর্থন রয়েছে ৫৩ শতাংশ, সেখানে স্যান্ডার্সের সমর্থন রয়েছে ৪৩ শতাংশ।
এদিকে, রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঝুলিতে আছে ৭৪৪টি ডেলিগেট সমর্থন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেড ত্রুক্রজের আছে ৫৫৯টি ডেলিগেট। অপর প্রার্থী জন কাসিচের রয়েছে ১৪৪ ডেলিগেট। এদের যে কাউকে মনোনয়ন পেতে অর্জন করতে হবে কাঙ্ক্ষিত ১২৩৭ ডেলিগেট ভোট। প্রাইমারি হয়নি এমন অঙ্গরাজ্যগুলো মিলিয়ে বাকি রয়েছে ৮৩৮ ডেলিগেট। সেক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্ক প্রাইমারিতে জিততে না পারলে মনোনয়ন পাওয়ার ম্যাজিক নম্বর তার জন্য দুরূহ হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে মনোনয়ন লড়াই চলে যাবে দলের জাতীয় কনভেনশনে। সেখানে দলের মধ্যেই বিরোধিতার মুখে থাকা ট্রাম্পকে বাদ দিয়ে বেছে নেওয়া হতে পারে অন্য কাউকে।
তবে নিউইয়র্কের প্রাইমারিতে জিতে পুরো ৯৫ ডেলিগেটই বাগিয়ে নেওয়ার আশা ট্রাম্পের। নিউইয়র্ক প্রাইমারির আগে অনুষ্ঠিত রিয়ালক্লিয়ারপলিটিক্সের জনমত জরিপে দেখা গেছে, নিজের বাড়ি রাজ্য নিউইয়র্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫৩.১ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে রয়েছেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী টেড ত্রুক্রজের সমর্থন রয়েছে ২২.৮ শতাংশ। এ ছাড়া জন কাসিচ ১৮.০১ শতাংশ সমর্থন নিয়ে লড়াইয়ে রয়েছেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা :ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার নির্বাচনী প্রচার কর্মকর্তা কোরেই লিয়ানডোস্কির বিরুদ্ধে চার মিলিয়ন ডলারের মানহানি মামলা করেছেন রিপাবলিকান দলের নীতিনির্ধারক শেরি জ্যাকবস। সম্প্রতি শেরি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের সমালোচনা করায় তার ওপর ক্ষেপে যান ট্রাম্প। এ নিয়ে ট্রাম্প নিজেই শেরিকে লক্ষ্য করে অপমানসূচক মন্তব্য পোস্ট করতে থাকেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার নিউইয়র্কে ওই মানহানি মামলা করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment