Wednesday, April 27, 2016
চাকরি থাকা বা না থাকার ক্ষেত্রে ডিভোর্সের সম্ভাবনা কতটুকু?
আপনি এখনো বেকার আছেন কিংবা চাকরি করছেন। যাই হোক না কেন, এর সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে বিচ্ছেদের কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি? তা ছাড়া আপনার বংশগত ইতিহাস বা শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে কি অনুমান করা যায় যে, আপনার সম্পর্কে ছেদ ঘটবে? ক্যালিফোর্নিয়ার এক পরিসংখ্যানবিদ নাথান ইয়াও। তিনি আমেরিকান দম্পতিদের বিচ্ছেদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে একটি গ্রাফ তৈরি করেছেন। সেখানে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষা এবং কর্মজীবনের ওপর ভিত্তি করে ডিভোর্সের সম্ভাবনা কিভাবে কাজ করে। ইয়াও জানান, সবচেয়ে অবাক করেছে এ বিষয়ে নারী-পুরুষের অবস্থার পার্থক্য। বেশিরভাগ বিচ্ছেদের ঘটনার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের একই অবস্থা আশা করা হয়েছিল। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দুজনের মধ্যে বিস্তর ফারাক। গবেষণায় দেখা গেছে, কর্মজীবীদের ক্ষেত্রে নারীদের ডিভোর্সের সম্ভাবনা পুরুষদের অপেক্ষা ৫ শতাংশ বেশি। এই নারীদের দাম্পত্য জীবনে অন্তত একবার বিচ্ছেদ ঘটেছে। আর বেকার নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে ডিভোর্সের ঘটনা ও সম্ভাবনা উভয়ের ক্ষেত্রে সমানভাবে দেখা যায়। গবেষক বলেন, আমার ধারণা পুরুষরা সুবিধাগত দিক থেকে একটু এগিয়ে। কারণ তারা নারীদের চেয়ে বেশি বয়সে বিয়ে করেন এবং মৃত্যুও হয় তাদের আগে। কাজেই এ ঘটনা ঘটার ক্ষেত্রে তাদের সুযোগ ও সময় অনেক কম। আমেরিকানদের ওপর পরিচালিত এ গবেষণায় দেখা গেছে, নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে ডিভোর্সের সম্ভাবনা ৪৫ শতাংশের বেশি হয়। ওদিকে, ব্রিটিশদের ক্ষেত্রে এ সম্ভাবনা ৪২ শতাংশ। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ব্রিটেনে ২০১২-২০১৩ সালের মধ্যে দম্পতিদের বিচ্ছেদের ঘটনা ২.৯ শতাংশ কমেছে। আর ৪০-৪৪ বছর বয়সী নারী-পুরুষের মধ্যে ডিভোর্সের হার সবচেয়ে বেশি। মনোবিজ্ঞানী ও সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ জন গটম্যান জানান, সম্পর্কে বিচ্ছেদ অনেক ঘটনায় ঘটে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী হয়ে ওঠে বিষাক্ত উপাদানগুলো। যখন সঙ্গী-সঙ্গিনী বুঝতে পারেন যে আপনি তার প্রতি বিরক্ত, তখন এ ধারণা থেকে তাকে বের করে আনা খুব কঠিন কাজ। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট
Labels:
লাইফস্টাইল
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment