Wednesday, April 27, 2016
রাবি অধ্যাপক শফিউল হত্যা মামলায় যুবদল নেতার আত্মসমর্পণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি রাজশাহী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। আজ বুধবার রাজশাহী মহানগর হাকিম আদালত-১-এ তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মোকসেদা আজগর তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আনোয়ার হোসেনের আইনজীবী রইসুল ইসলাম বলেন, আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আনোয়ার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে দুপুর ২টার দিকে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে খুন হন এ কে এম শফিউল ইসলাম। এ ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রেজাউস সাদিক গত বছরের ৩০ নভেম্বর ১১ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। ১১ জন আসামিরা হলেন- আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আবদুস সামাদ পিন্টু, আরিফুল ইসলাম মানিক, সিরাজুল ইসলাম, সবুজ, আল-মামুন, আরিফ, সাগর, জিন্নাত আলী, ইব্রাহিম খলিল ও নাসরিন আখতার রেশমা। এদের মধ্যে আরিফ, সাগর ও জিন্নাত আলী পুলিশের হাতে আটক হন। আর নাসরিন আখতার রেশমাকে আটক করে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এই সকল আসামিদের বরাত দিয়ে র্যাব জানিয়েছিল, নাসরিনের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার কারণে শিক্ষক শফিউল ইসলামকে হত্যা করা হয়। নাসরিন যুবদল নেতা আবদুস সামাদ পিন্টুর স্ত্রী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার। তবে আটক এই ব্যক্তিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক কোনো জবানবন্দী দেয়নি। আসামিদের মধ্যে নয়জন কারাগারে আটক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে যুবদল নেতা আবদুস সামাদ পিন্টু এখনো কারাগারে আটক আছেন। বাকিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment