Tuesday, April 26, 2016
মন্ত্রীর সঙ্গে পর্ণ তারকার দু’বছরের সম্পর্ক!
বৃটিশ মন্ত্রী জন হুইটিঙ্গডেলের সঙ্গে সাবেক এক পর্নো তারকার কমপক্ষে দু’বছরের সম্পর্ক ছিল। ওই পর্নো তারকার নাম স্টেফানি হাডসন (৩৬)। এই সম্পর্কের সময় তাকে সরকারি সব স্পর্শকাতর ফাইল দেখিয়েছেন ওই মন্ত্রী। একজন মন্ত্রীর যেসব গোপন ফাইল থাকে তা রাখার জন্য মিনিস্টেরিয়াল রেড বক্স থাকে। সেই রেড বক্সের ডকুমেন্ট সরকারি অতি গোপনীয় তথ্য থাকে। এটা বাইরের কারো কাছে কখনো প্রকাশ করা হয় না। কিন্তু সেগুলো তিনি স্টেফানিকে প্রদর্শন করেছেন। খবর-অনলাইন স্টেফানি সাবেক পেজ-থ্রি গার্ল। টপলেস হয়ে অনেক পোজ দিয়েছেন। জমজ বোন সামান্থার সঙ্গে প্রথমবার টপলেস পোজ দিয়েছেন নিউজপেপারসে। তাদের এ পোজ দ্য বুবি টুইনস নামে পরিচিত। এছাড়া স্টেফানি প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বল্পমাত্রার পর্নো ছবিতে অভিনয় করেছেন। হোটেল এরাটিকা নামের একটি টিভি সিরিজে তিনি অভিনয় করেছেন। সমকামী নারী হিসেবে অভিনয় করেছেন। তার সঙ্গে একটি অনলাইনে পরিচয় হয় মন্ত্রী হুইটিঙ্গডেলের ২০১৩ সালে। তারপর থেকে ওই মন্ত্রী নিজেকে অনেক বড় বলে প্রকাশ করতে থাকেন তার কাছে। স্টেফানির কাছে নিজেকে রাশিয়ান অস্ত্রের ডিলার বলে পরিচয় দেন। একবার তারা সেভয় হোটেলে মদ্যপ অবস্থায় অসঙ্গত আচরণ করেন। এ জন্য তাদেরকে ওই হোটেল থেকে চলে যেতে বলা হয। একবার তিনি স্টেফানিকে নিয়ে হাউজ অব কমন্সে প্রবেশ করেন। কিন্তু সে সময় সিসিটিভির লাইট বন্ধ করে দেন যাতে তাদেরকে সনাক্ত করা না যায়। এ সময় তারা একে অন্যকে চুম্বন করেন। স্টেফানির সঙ্গে অসংলগ্ন আচরণ করেন। এসব কথা বলেছেন স্টেফানি। জন হুইটিঙ্গডেল বৃটিশ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী। তিনি এসেক্কের ম্যালডোন থেকে নির্বাচিত এমপি। এ নিয়ে অনলাইন ডেইলি মেইলে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বলা হয়েছে, এসব অভিযোগ নিয়ে ডেইলি মেইল তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু হুইটিঙ্গডেল মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে ডেইলি মেইল তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তাতে বলা হয়েছে, তারা জানতে পেরেছে যে, পূর্ব ইউরোপের সঙ্গে রাজনৈতিক যোগসূত্র রয়েছে হুইটিঙ্গডেলের। স্টেফানি বাদেও পূর্ব ইউরোপের দু’জন নারীর সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। ওই দুই নারীর বয়স তার চেয়ে ২০ বছর কম। স্টেফানি বলেছেন, এক সকালে দীর্ঘ সময় গোসল শেষে হুইটিঙ্গডেল তার এসেক্সের বাসায় মন্ত্রীপরিষদের গোপন কাগজপত্র নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। তার সকালের নাস্তার টেবিলে উন্মুক্ত তখন রেড বক্স। পুরো টেবিলে তখন ছড়িয়ে আছে কাগজপত্র। তিনি আমাকে তার কাজের শিডিউল দেখালেন। তার পাশে বসলাম। তিনি সব চিঠি দেখালেন আমাকে। তিনি সব সময়ই নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখাতেন। স্টেফানির মোবাইল ফোনে রয়েঠে হুইটিঙ্গডেলের ফোন নম্বর। সেখানে হুইটিঙ্গডেলের নাম লেখা হয়েছে ‘সেক্সিবাম’।
Labels:
আন্তর্জাতিক
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment