মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় গত ৬ মাসে দেশটির সীমান্তরক্ষীদের হাতে ধরা পড়েছেন দেড় শতাধিক বাংলাদেশি।১৭ এপ্রিল বিবিসি`র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, গত বছর অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৭১ জনকে আটক করেছে মার্কিন সীমান্তরক্ষীরা। মেক্সিকানদের সঙ্গে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় তাঁদের আটক করা হয়।এর আগে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১৮০ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছিল।
বাংলাদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার এই পরিসংখ্যানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির অভিবাসন বিরোধী প্রভাবশালী সংগঠন ফেডারেশন ফর আমেরিকান ইমিগ্রেশন রিফর্মস (এফএআইআর)। ইমিগ্রেশন রিফর্ম ডট কম নামে ওয়েবসাইটে সংস্থাটির গবেষণা বিভাগের প্রধান ম্যাট ও ব্রায়েন লিখেছেন, টেক্সাসের লারেডো সীমান্ত ল্যাটিন আমেরিকা হয়ে দক্ষিণ এশীয় এবং আফগান অবৈধ অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার প্রধান রাস্তা। এতে শঙ্কা প্রকাশ করে তাঁরা বলেন, বেশকিছু জঙ্গিগোষ্ঠী বাংলাদেশে তৎপর এবং এরা বাংলাদেশ থেকে সদস্য সংগ্রহ করছে। বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের কারও সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনগুলোর যোগাযোগ থাকতে পারে বলেও উল্লেখ করেন এই দুই গবেষক। এছাড়া, সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের এই পরিসংখ্যানে অন্য দেশেগুলো থেকেও অবৈধ অভিবাসীদের অনুপ্রবেশের আগ্রহ বাড়বে বলেও আশঙ্কা করেন তাঁরা।
গত বছর মার্কিন সাময়িকী লস এঞ্জেলস টাইমসের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, ল্যাটিন আমেরিকা হয়ে মেক্সিকো‘র বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি, ভারতীয়, নেপালি ও পাকিস্তানিদের অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার সংখ্যা ব্যাপকহারে বেড়েছে। ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত এই চার দেশের প্রায় ৪,০৬০ নাগরিক এই পথে আমেরিকায় ঢোকে, যাদের মধ্যে ৩,৬০৪ জনকে আটক করা হয়। অথচ সাত বছর আগে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ২২৫ জন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দক্ষিণ এশীয় এসব অবৈধ অভিবাসী দুবাই থেকে চার্টার্ড বিমানে ব্রাজিলে এসে নামে। তারপর সেখান থেকে স্থলপথে বলিভিয়া, পেরু, ইকুয়েডর, পানামা সিটি এবং গুয়েতেমালা হয়ে মেক্সিকোতে ঢোকে। এতো পথ পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে পৌঁছতে কয়েক মাস লেগে যায়।
এছাড়া, বিপজ্জনক জঙ্গল, পাহাড়, চাঁদাবাজ এবং ডাকাতের উৎপাততো রয়েছেই। এরপরও সীমান্তরক্ষীদের কাছে অনেক সময় ধরা পড়েন অনেকে। পালিয়ে বাঁচতে পারলেও অনেকে ধরা দিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চান সেদেশে।
No comments:
Post a Comment