রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে নারী পাচারকারী চক্রের সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা এসব পাচারকারীর সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে রোহিঙ্গা পাচারকারী চক্রের। ক্যাম্পে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করে বিদেশে পাঠানোর নামে যুবতী নারী সংগ্রহ করছে চক্র গুলো। পরে নিষিদ্ধ পল্লীতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া খবর পাওয়া গেছে। এসব নারী পাচারকারীদের খপ্পর থেকে ঢাকা খিলগাঁও থানার পুলিশ চারজন রোহিঙ্গা নারীকে উদ্ধার করে শনিবার সকালে উখিয়া থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে।
শনিবার নারী পাচারকারীদের কবল থেকে রক্ষা পায় কুতুপালং ক্যাম্পের শামশুল আলমের মেয়ে হামিদা বেগম (২২), বালুখালী ক্যাম্পের কলিমুল্লাহর মেয়ে রুমা আকতার (১৬), একই ক্যাম্পের মো. তৈয়বের মেয়ে শামশুন নাহার (১৬) ও আব্দুর রহিমের মেয়ে বুজোয়া আকতার (১৫)।
উখিয়া থানা পুলিশে হস্তান্তরের সময় রুমা আকতার জানান, তাদের দুঃসম্পর্কের আত্মীয় অলি উল্লাহর মাধ্যমে অচেনা দুইজন পাচারকারীর সঙ্গে তাদের সরাসরি কথা হয়। ওই পাচারকারীরা বিনা পয়সায় পাসপোর্ট ভিসা ও বিমান ভাড়া দিয়ে মালয়েশিয়া পাঠানোর লোভ দেখায়। তাদের কথা মতো চলতি মাসের প্রথম দিকে রোহিঙ্গা দালাল অলি উল্লাহর সঙ্গে ওই দুই পাচারকারীসহ তারা ক্যাম্প ত্যাগ করেন।
কক্সবাজার লিংক রোড যাওয়ার পর শহরমূখী গাড়ি পাল্টানোর সময় অলি উল্লাহ উধাও হয়ে যান। এ সময় সন্দেহ হয় রুমা আকতারের। সঙ্গে থাকা দুই দালালের কাছে জানতে চান অলি উল্লাহ কোথায়? জবাবে দালাল চক্র বলেন, তিনি পেছনের গাড়িতে করে আসছেন। ওই দিন রাত ৮টার দিকে তারা চট্টগ্রামে পৌঁছে একটি হোটেলে রাত যাপন করেন। পরদিন ভোরে তাদের নিয়ে ঢাকায় রওনা দেওয়া হয়। বিকেল ৪টার দিকে ঢাকায় পৌঁছে তাদের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্ধারকারী পুলিশ অফিসার খিলগাঁও থানা ডিএমপি’র উপ-পরিদর্শক মো. জুয়েল মিয়া জানান, বিশ্বস্ত খবরের ভিত্তিতে রেলওয়ে কলোনির একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে চার নারীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দালাল চক্র পালিয়ে যাওয়ার কারণে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের জানান, উদ্ধারকৃত চার রোহিঙ্গা নারীকে ক্যাম্প ইনচার্জের নিকট হস্তান্তর করার জন্য নিদেশ দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment