ঢাকা থেকে মোঃ নুর হুসাইন -----
******************************
তীব্র গরমে অস্থির হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জনজীবন।গত কয়েকদিন ধরেই চলছে এ তাপদাহ।দেশের কোথাও কোথাও মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ অবস্থা আরও চারদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বাসসকে জানান, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। রাজশাহী,ঈশ্বরদী,পাবনা ও মাইজদীকোর্ট অঞ্চলসহ কোথাও কোথাও মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তিনি জানান,আবহাওয়ার এ অবস্থায় আগামী দু’তিনদিন বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর ও খুলনায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সকাল ৯ টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার এক পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়। আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে যা উত্তর বঙ্গোপসাগর বিস্তৃত রয়েছে।আগামী ৭২ ঘন্টায় আবহাওয়া সামন্য পরিবর্তন হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেছেন, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির নিচে থাকলে মাঝারি মাপের তাপপ্রবাহ বলে বর্ণনা করা হয়। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে এখন তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধির দিকে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাতাসের আর্দ্রতা, যা গরমের ভাবকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বজলুর রশিদ আরো বলেন, এ সময় সাধারণত গরম এ রকমই হয়। বৃষ্টি কম হয়, তাপমাত্রা বেশি থাকে। তাপমাত্রার সঙ্গে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকে। এ কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। তিনি জানান, এখন ঢাকা, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগ পুরোটা হিট ওয়েভে বা তাপ প্রবাহের আওতায় রয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী অঞ্চলের রাজশাহী, পাবনা এবং অন্যদিকে নোয়াখালী ও কুমিল্লায়ও হিট ওয়েভ রয়েছে। এখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ডিগ্রি রয়েছে যশোর ও খুলনায়। এ ক্ষেত্রে ৪০ ডিগ্রির ওপর তাপমাত্রা হলে সেটিকে প্রবল তাপপ্রবাহ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এখন যে তাপমাত্রা রয়েছে সেটি আগামী দুই থেকে তিন দিন বজায় থাকবে। এর উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হবে না। এ বছরটি অন্য বছরের চেয়ে ব্যতিক্রম ছিল বলে মনে করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কারণ এবার মার্চ-এপ্রিল মাসে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। গত মাসে ২০০ শতাংশ বৃষ্টি বেশি হয়েছে। এখন তাপমাত্রা যেটি থাকার কথা তার চেয়ে দুই-তিন ডিগ্রি বেশি রয়েছে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের সিলেট ও দিনাজপুরে গরম অন্য জায়গার তুলনায় কিছুটা কম।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment