রক্তচোষা বাদুড়ের (ভ্যাম্পায়ার ব্যাট) আক্রমণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ব্রাজিলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাহিয়া প্রদেশের বাসিন্দারা। এই বাদুড়ের আক্রমণে এরই মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের। এ ছাড়া এই বাদুড়ের কামড়ে ‘র্যাবিস’ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে আরো ৪০ জন।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম ইদিভালসন ফ্রানসিসকো সোউজা (৪৬)। তিনি বাহিয়ার পারামিরিম শহরের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল জানায়, খামারে গরুর দুধ দোহন করছিলেন সোউজা। সে সময় একটি রক্তচোষা বাদুড় তাঁকে কামড়ে দেয়। এতে র্যাবিসে আক্রান্ত হন তিনি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সোউজার। ২০০৪ সালের পর তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি বাদুড়ের কামড়ে মারা গেলেন।
স্থানীয় সময় শনিবার ওই বাদুড় দমনে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বাদুড় ধরে ও সেগুলোর গায়ে বিষাক্ত মলম লাগিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিন মাস ধরেই বাদুড় বিভীষিকা ছড়াচ্ছে। রাতের বেলা শুরু হয় তাদের আক্রমণ। অনেকেই ঘুম ভেঙে দেখতে পান বিছানা রক্তে ভেসে গেছে। পায়ের আঙুল, গোড়ালি ও হাতের কনুইতে বাদুড়ের কামড় থেকেই ওই রক্তের উৎপত্তি।
রক্তচোষা বাদুড়ের আক্রমণের শিকার ম্যাথিউস আন্দ্রাদে জানান, চলতি মে মাসেই তাঁকে তিনবার বাদুড় কামড়েছে। তবে প্রথমে তিনি বুঝতে পারেননি। দ্বিতীয় দিন কামড় খেয়ে টের পান যে সেগুলোর জন্য দায়ী বাদুড়। রক্তচোষা বাদুড় কামড়ালে কোনো ব্যথা অনুভূত হয় না বলেও জানান ম্যাথিউস।
রক্তচোষা এই বাদুড়গুলো প্রায় আট ইঞ্চি লম্বা হয়। সেগুলো মানুষ ও পশুর দেহ থেকে রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। শুধু আমেরিকা অঞ্চলে এই বাদুড় দেখতে পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment