মাহমুদউল্লাহ ৩৬ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসটি ছিল ছয়টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো। মুশফিক ৪৫ বলে ৪৫ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসটি ছিল ৩টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো।
ষষ্ঠ উইকেটের ওই জুটিতে মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক ৭২ রান করে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। দুজনই শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন।
খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন মুশফিকুর রহিম। আর সিরিজ সেরা হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টম লাথাম।
এর আগে বুধবার ডাবলিনে টস জিতে কিউইদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা।
অধিনায়ক টম লাথামের ৮৪, নেইল ব্রুমের ৬৩ আর রস টেইলরের অপরাজিত ৬০ রানের সুবাদে ৮ উইকেটে ২৭০ রান করে নিউজিল্যান্ড।
২৭১ রানে টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতেই সৌম্য সরকারের (০) উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় টাইগাররা। তবে তামিম ইকবাল আর সাব্বির রহমান তা সামাল দেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা ১৩৬ রান সংগ্রহ করে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান।
তামিম ৮০ বলে ৬৫ রান করেন। তার ইনিংসটি ছিল ৬টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো। আর সাব্বির রহমানের ৮৩ বলে করা ৬৫ রানের ইনিংসটি ছিল ৯টি চারে সাজানো।
এক ওভার পরই অনেকটা উইকেট বিলিয়ে ফেরেন সাব্বির রহমান। মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউট হওয়ার আগে তার সংগ্রহ ছিল ৬৫ রান।
এরপর জিতন প্যাটেলের বলে মোসাদ্দেক (১০) লেগ বিফোর হলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। মাত্র ৪ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় টাইগাররা। এরপর সাকিব এসেও ক্রিজে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। মাত্র ১৯রান করে বিদায় নিলে বাংলাদেশ তখন হারের শংকায় পড়ে যায়।
তবে শেষ পর্যন্ত দুই ’ভায়রা ভাইয়ের’ জুটিতে প্রথমবারের মত বিদেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় পায় বাংলাদেশ।
No comments:
Post a Comment