তিন বছর আগের অগাস্ট মাসের কথা। ঘরের ফ্যানটা বড্ড শব্দ করছিল। এ সময় দূর থেকে স্বামী কিছু একটা চান। কিন্তু ফ্যানের শব্দে স্ত্রী শুনতে পাননি। কথা শুনতে ফ্যান সুইচ অফ করে দেন তিনি। ব্যস, আর যায় কোথায়! স্বামীর মাথায় চড়ে যায় রক্ত। দু'জনকে সাক্ষী রেখে সঙ্গে সঙ্গে তিন তালাক বলে দেন! ঘটনাটি ঘটে ভারতের মুম্বাইয়ে।
ভারতের এবিপি আনন্দের খবর, ৩ বছর আগের এই ঘটনা নিয়ে মুম্বাইয়ের পাইধনির পাবলিক কমপ্লেইন্ট সেন্টারে শুনানি শুরু হয়েছে। এই সেন্টারে শরিয়ত সংক্রান্ত কোনো বিতর্ক দেখা দিলে সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করা হয়। এক্ষেত্রে অবশ্য শুনানি তালাকের বৈধতা নিয়ে নয়, তালাক পাওয়ার পরেও স্ত্রী কেন বাড়ি ছাড়ছেন না, তা নিয়ে।
তালাক দেওয়া স্বামীর বয়স ৬৫। আগে ট্যাক্সি চালাতেন, এখন দীর্ঘদিন বেকার। ৫৫ বছরের স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দায় চুকিয়েছেন ৩ বছর আগে। তাঁদের ৫টা ছেলেমেয়ে রয়েছে। এখন স্বামীর ক্ষোভ, স্ত্রী বাড়ি ছাড়ছেন না কিছুতেই, ফলে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারছেন না।
এদিকে, পাবলিক কমপ্লেইন্ট সেন্টার স্ত্রীর প্রতি নোটিশ ইস্যু করেছে।
খবরে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় হাজি আলি দরগার মুফতি বিচ্ছেদ নিয়ম মেনে হয়েছে জানিয়ে স্ত্রীর প্রতি ফতোয়া জারিও করেছেন। পাবলিক কমপ্লেইন্ট সেন্টার এখন চেষ্টা করছে, অসহায় বয়স্ক নারী যাতে একই বাড়িতে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে থাকতে পারেন, তা দেখতে। যদিও গতকালের শুনানিতে স্বামী হাজির হননি।
এখানেই অবশ্য শেষ নয়। এই সংস্থার হাতে এমন আরও একটি তালাকের মামলা এসেছে। এক্ষেত্রে দুই ভাই একসঙ্গে চিঠি লিখে তালাক দিয়েছেন তাঁদের স্ত্রীদের, যাঁরা আবার সম্পর্কে দুই বোন।
No comments:
Post a Comment