লক্ষ্য ৩৪২ রান। এই পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খেয়েছিল পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা দলীয় মাত্র ১৯ রানের মাথায় দুই উইকেট হারিয়ে বসে। এই অবস্থা দেখে মনে হয়েছিল খুব বেশিদূর যেতে পারবে না তারা। তা ছাড়া দলীয় ২৮০ রানের মাথায় আট উইকেট হারিয়ে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যায় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। অবশ্য এই কঠিন অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানকে এই নাটকীয় জয় এনে দিয়েছেন নবম উইকেট জুটিতে অসাধারণ খেলা ফাহিম আশরাফ ও হাসান আলী। তাঁরা ৯৩ রানের দারুণ একটি জুটি গড়ে দলকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।
বিশেষ করে ফাহিম দারুণ একটি ঝড়ো ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন। তিনি ৩০ বলে ৬৪ রান করেন। চারটি চার ও চারটি ছক্কার মার ছিল তাঁর এই ইনিংসে। আর হাসান ১৫ বলে ২৭ রান করেন।
যদিও শুরুতেই ওপেনার আজহার আলী ও ওয়ানডাউনে খেলতে নামা বাবর আজমের উইকেট বেশ বিপাকে পড়ে যায় পাকিস্তান। অবশ্য তৃতীয় উইকেট জুটির দৃঢ়তায় কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিক অসাধারণ দৃঢ়তা দেখিয়ে দলকে শুধু বিপর্যয় থেকে টেনে তোলেননি, বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে লড়াইয়ে ফেরেন তাঁরা।
এরপর অবশ্য হাফিজ ৪৯ রানে সাজঘরে ফিরে যান। দারুণ দৃঢ়তা দেখানো মালিক আউট হন ৭২ রানে। অধিনায়ক সরফরাজ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের শিকার হয়ে। এর কিছুক্ষণ পর ইমাদ ওয়াসিম ও শাদাব খান ফিরে গেলে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যায় পাকিস্তান। কিন্তু এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
এরপর অবশ্য হাফিজ ৪৯ রানে সাজঘরে ফিরে যান। দারুণ দৃঢ়তা দেখানো মালিক আউট হন ৭২ রানে। অধিনায়ক সরফরাজ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের শিকার হয়ে। এর কিছুক্ষণ পর ইমাদ ওয়াসিম ও শাদাব খান ফিরে গেলে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যায় পাকিস্তান। কিন্তু এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
এর আগে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে করেছে ৩৪১ রান। তামিম ইকবালের অসাধারণ সেঞ্চুরিতেই (১০২) এই বিশাল সংগ্রহ গড়ে।
অবশ্য শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। সপ্তম ওভারে দলীয় ২৭ রানের মাথায় জুনায়েদ খানের বলে স্লিপে বাবর আজমকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। ১৯ রান করেন তিনি। এরপর ইমরুলকে নিয়ে ১৪২ রানের জুটি বাঁধেন তামিম ইকবাল। দলীয় ১৬৯ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যান ইমরুল। ৬২ বলে আটটি চারে ৬১ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
অবশ্য শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। সপ্তম ওভারে দলীয় ২৭ রানের মাথায় জুনায়েদ খানের বলে স্লিপে বাবর আজমকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার। ১৯ রান করেন তিনি। এরপর ইমরুলকে নিয়ে ১৪২ রানের জুটি বাঁধেন তামিম ইকবাল। দলীয় ১৬৯ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরে যান ইমরুল। ৬২ বলে আটটি চারে ৬১ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
পাকিস্তানি বোলারদের বেশ ভালোভাবেই সামলেছেন তামিম। ওয়াহাব রিয়াজ, হাসান আলী, জুনায়েদ খানদের মতো বোলারদের বেধড়ক পিটিয়েছেন এই বাঁহাতি। ৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর ৮৯ বলে শতকও পূর্ণ করেন এই ব্যাটসম্যান। শতক হওয়ার পরই অবশ্য ফিরে গেছেন তামিম। ৯৩ বলে ১০২ রান করার পর শাদাব খানের বলে জুনায়েদকে ক্যাচ দেন তিনি।
এরপর মুশফিকুর রহিম ৪৬, সাকিব আল হাসান ২৩ ও মাহমুদউল্লাহ ২৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
জুনায়েদ, হাসান আলী ও শাদাব দুটি করে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের পথে খুব একটা বাধা হতে পারেননি।
আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্ব র্যাং কিংয়ে ছয় নম্বর দল হিসেবে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। পাকিস্তান বর্তমানে অষ্টম স্থানে রয়েছে।
আয়ারল্যান্ড থেকে ফিরেই প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য অনুশীলন শুরু করে দেয় বাংলাদেশ দল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও সাত ব্যাটসম্যান নিয়ে মাঠে নেমেছে মাশরাফির দল।
No comments:
Post a Comment