মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রমজান মাস শেষে ঈদ উল ফিতরে রিসেপশন আয়োজনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। ১৯৯৯ সাল থেকে পবিত্র রমজানে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট দুই দলের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরাই ইফতার পার্টি ডিনার অথবা ঈদ উল ফিতরে রিসেপশনের আয়োজন করে আসছিল।
রমজানের এই অনুষ্ঠানে কংগ্রেস সদস্য, মুসলিম সিভিল সোসাইটি ও ধর্মীয় নেতারা, মুসলিম দেশগুলোর কূটনীতিবিদ ও শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তারা মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়ে থাকেন। এই ইফতার পার্টিকে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও উন্নয়নের চেষ্টার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
রয়টার্সের এক্সক্লুসিভ রিপোর্টে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রিলিজিয়ন অ্যান্ড গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স ঈদের দিন রিসেপশন আয়োজনের প্রস্তাব করলে টিলারসন তা প্রত্যাখ্যান করেন। তার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানে এটা ধারণা করা হচ্ছে রমজানে কোনো হাই প্রোফাইল অনুষ্ঠান আয়োজন করবে না মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমরা এখনো ঈদ উল ফিতর পালনের বিভিন্ন বিকল্পগুলো বিবেচনা করে দেখছি। বিভিন্ন দেশের মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রমজান পালনের জন্য উৎসাহিত করা হয়।
ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাবের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই মুসলিমদের সঙ্গে দুরত্ব সৃষ্টি করে ফেলেছে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি ইসলামি জঙ্গিবাদের জোরালো বিরোধী হলেও ইসলামের সঙ্গে কোনো বিবাদ নেই। জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বারাক ওবামার সময়ে এই ইফতার পার্টির আয়োজনের দায়িত্ব পালন করা সাবেক মার্কিন কূটনীতিক বলেন, যদি টিলারসন এই বছর ইফতার পার্টি না করেন তাহলে মুসলিম বিশ্বে এই বার্তা যাবে যে তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার গুরুত্ব মার্কিন প্রশাসনের কাছে নেই।
শুক্রবার রমজান উপলক্ষে দেয়া এক বার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী টিলারসন বলেন, রমজান হচ্ছে নিষ্ঠা, মহত্ব ও আত্মজিজ্ঞাসার মাস। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এটা হচ্ছে পরিবার ও বন্ধুদের এক সঙ্গে হওয়ার প্রত্যাশিত সময় এবং যাদের ভাগ্য কম সুপ্রসন্ন তাদের সহযোগিতা করার ক্ষণ। রয়টার্স।
No comments:
Post a Comment