প্রেসিডেন্ট মিচেল তেমের পদত্যাগের দাবিতে ব্রাজিলের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভের ফলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানী ব্রাসিলিয়ায়। হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল থেকে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকটি সরকারি ভবনে। এর জেরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীতে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
গত সপ্তাহে দুর্নীতির বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে এক সাক্ষীকে ঘুষ দেয়ার অভিযোগ উঠে তেমারের বিরুদ্ধে। এরপর থেকে তার পদত্যাগের দাবিতে পথে নামেন দেশটির মানুষ। দাবি তোলেন আগাম নির্বাচনের এবং তেমারের অর্থনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনা বাতিলের। চলমান বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ব্রাসিলিয়াসহ পুরো দেশে। গত বুধবার রাজধানীতে বিক্ষোভে অংশ নেন অন্তত ৩৫ হাজার মানুষ। সংঘর্ষ হয় পুলিশের সঙ্গে। এক পর্যায়ে কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকটি সরকারি দফতরে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা। এর পাশাপাশি দেশটির কংগ্রেস অভিমুখে মিছিল করেন অন্তত ১০ হাজার বিক্ষোভকারী।
এ ঘটনার পরপরই ব্রাসিলিয়ার আইন শৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণ নিতে ফেডারেল বাহিনীকে নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট তেমার। নগরীটির বিশেষ বিশেষ জায়গায় অবস্থান নিয়েছে সেনারা। নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সরকারি দফতরগুলোর। ব্রাজিলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাউল জুঙ্গমান জানান, প্রাথমিকভাবে ফেডারেল ভবনগুলোর নিরাপত্তা ভার সামলাবে সেনারা। বিক্ষোভ দমনে তারা সরাসরি ভূমিকা রাখবে না। তবে প্রেসিডেন্ট ডিক্রি জারি করলে পুরো রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে সেনারা। রাউল আরো বলেন, ‘চলমান বিক্ষোভ পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমার এ বিক্ষোভ সহ্য করবেন না।’ টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায়, সেনারা ইতিমধ্যে দেশটির কৃষি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অবস্থান নিয়েছে। নিরাপত্তা বিধান করছে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই মন্ত্রণালয় ভবনের।
এদিকে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। তদন্ত সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন না বলে জানিয়েছেন তেমের। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। বিশ্লেষকদের ধারণা, চলমান বিক্ষোভ তেমারের ক্ষমতায় থাকার ওপর হুমকি সৃষ্টি করেছে। রয়টার্স ও আল জাজিরা।
No comments:
Post a Comment